ধিক্কার জানাই এ বর্বরতাকে by মোঃ শফিকুল ইসলাম খোকন
কী অমানবিক, নৃশংস, বর্বর এ ঘটনা! আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, তখনও এরকম খবর দেখতে হচ্ছে_ এটা খুবই লজ্জার। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে 'যৌতুকের দাবিতে আট দিন ধরে স্ত্রীকে শিকলবন্দি' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন চোখে পড়ল।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় গৃহবধূ খালেদাকে স্বামী মাহমুদুল করিম বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে প্রতিনিয়ত নির্যাতন চালাত। মাঝে মধ্যে যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতনও চালাত। পাষণ্ড স্বামী স্ত্রী খালেদাকে যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। সবশেষ গত ৯ ফেব্রুয়ারি কুতুবদিয়া থানা পুলিশ খালেদাকে রান্নাঘর থেকে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। ধন্যবাদ জানাই পুলিশ প্রশাসন এবং এলাকাবাসীকে। কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে স্বামী! শিকল দিয়ে বেঁধেই ক্ষান্ত হয়নি, আট দিন স্ত্রীকে খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত দেয়নি সে। ওই প্রতিবেদনটি পড়ে জানা যায়, খালেদা কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্বামী মাহমুদুলকে জানান, 'আমার বাবা বেঁচে নেই, আমি কীভাবে টাকা জোগাড় করব? দয়া করে আমাকে আর মেরো না।' দুই বছর আগে কুতুবদিয়ার করলাপাড়া গ্রামের মাহমুদুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয় খালেদার। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য খালেদার ওপর নানা ধরনের নির্যাতন চালাত তার পাষণ্ড স্বামী। এভাবে নির্যাতনের পরও মাহমুদুলের স্ত্রীর প্রতি এতটুকু মায়া হয়নি। এসব কাপুরুষকে ধিক্কার জানাই। সমাজ থেকে মাহমুদুলের মতো পাষণ্ডদের বিতাড়িত করতে হবে। বিভিন্ন এনজিও সংস্থা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে অনেকদিন ধরে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সত্যিকারের নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
প্রতিহিংসা পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে প্রতিহত করার পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজের গণ্যমান্যদের এসব বিষয়ে আইন সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। সবচেয়ে জরুরি হলো সামাজিক ও পারিবারিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, সবার মধ্যে সচেতনতা বোধ গড়ে তোলা এবং মানুষকে মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত করা।
আমাদের দেশে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারধর করার ঘটনা নতুন নয়। আমাদের দেশে অনেককে যৌতুকের বলি হতে হয়েছে। আসুন, আমরা খালেদার মতো গৃহবধূকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করি। খালেদারা যেন আর এমন নির্যাতনের শিকার
না হন।
msi.khokon@yahoo.com
প্রতিহিংসা পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে প্রতিহত করার পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজের গণ্যমান্যদের এসব বিষয়ে আইন সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। সবচেয়ে জরুরি হলো সামাজিক ও পারিবারিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, সবার মধ্যে সচেতনতা বোধ গড়ে তোলা এবং মানুষকে মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত করা।
আমাদের দেশে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারধর করার ঘটনা নতুন নয়। আমাদের দেশে অনেককে যৌতুকের বলি হতে হয়েছে। আসুন, আমরা খালেদার মতো গৃহবধূকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করি। খালেদারা যেন আর এমন নির্যাতনের শিকার
না হন।
msi.khokon@yahoo.com
No comments