রাজনীতিকের নামে অপবাদ-বিবিসির ক্ষমা প্রার্থনা
সাম্প্রতিক ঘটনা বিষয়ে বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান নিউজনাইটের একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি কর্তৃপক্ষ। ওই প্রতিবেদনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এক রাজনীতিবিদের নামে 'মিথ্যা অপবাদ' দেওয়া হয়। ক্ষমা চাওয়া ছাড়াও নিউজনাইটের সব তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিবিসি।
এ ঘটনা বিবিসিকে নতুন করে 'বিব্রতকর পরিস্থিতি'তে ফেলেছে বলে সমালোচনা করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো।
গত ২ নভেম্বর নিউজনাইটে সম্প্রচারিত এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলোতে কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক কোষাধ্যক্ষ লর্ড ম্যাকআলপাইনের নামে 'শিশু যৌন নির্যাতনকারীর' অপবাদ ছড়িয়ে পড়ে। নিউজনাইটে ম্যাকআলপাইনের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। নিউজনাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টিভ মেসহাম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ১৯৭০-এর দশকে ওয়েলসের ব্রাইন এসটিন চিলড্রেন্স হোমে থাকার সময় এক রাজনীতিবিদের কাছে যৌন নিপীড়নের শিকার হন তিনি। এই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ম্যাকআলপাইনকেই সম্ভাব্য অপরাধী হিসেবে ধরে নেওয়া হয় এবং ইন্টারনেটে তাঁর নামে অপবাদ চাউর হয়। ম্যাকআলপাইন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সময় কনজারভেটিভ পার্টির কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন এবং ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন।
গত শুক্রবার ম্যাকআলপাইন তাঁর নামে ছড়িয়ে পড়া গুজব উড়িয়ে দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'আমি মেসহাম বা চিলড্রেন্স হোমের কোনো শিশুকেই যৌন নির্যাতন করিনি।' তাঁর আইনজীবীরা জানান, ম্যাকআলপাইনের নামে অপবাদ ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত সব গণমাধ্যমের ব্যাপারে তাঁরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই মেসহাম জানান, তাঁর ওপর যিনি নির্যাতন চালিয়েছেন, তিনি ম্যাকআলপাইন নন। ভুল করে ম্যাকআলপাইনকে অপরাধী ভাবা হচ্ছে। এর পরপরই বিবিসি ক্ষমা চায়। এক বিবৃতিতে বিবিসি জানায়, 'মেসহামের বিবৃতি এটাই স্পষ্ট করে যে তিনি তাঁর নির্যাতনকারীরকে ঠিকমতো শনাক্ত করতে পারেননি। এর জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। প্রতিবেদনটি প্রচারের জন্য আমরাও অকপটভাবে ক্ষমা চাচ্ছি।' কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী নিউজনাইট অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ক্ষমা চান। 'সম্পাদনা কৌশল ও তত্ত্বাবধানবিষয়ক পর্যালোচনার জন্য' নিউজনাইটের সব তদন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিবিসির মহাপরিচালক জর্জ এন্টসহুইসেল। ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন সব অনুষ্ঠান স্থগিত করা হচ্ছে।
ম্যাকআলপাইনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো বিবিসির সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে। বিবিসির সাংবাদিকতার মান নিয়েই তারা প্রশ্ন তুলেছে। প্রয়াত সংবাদ উপস্থাপক জিমি সেভিলের যৌন নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগেই সমালোচনার শিকার হয় বিবিসি। নিউজনাইটের সম্পাদক সেভিল-সংক্রান্ত তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গত ২ নভেম্বর নিউজনাইটে সম্প্রচারিত এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলোতে কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক কোষাধ্যক্ষ লর্ড ম্যাকআলপাইনের নামে 'শিশু যৌন নির্যাতনকারীর' অপবাদ ছড়িয়ে পড়ে। নিউজনাইটে ম্যাকআলপাইনের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। নিউজনাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টিভ মেসহাম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ১৯৭০-এর দশকে ওয়েলসের ব্রাইন এসটিন চিলড্রেন্স হোমে থাকার সময় এক রাজনীতিবিদের কাছে যৌন নিপীড়নের শিকার হন তিনি। এই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ম্যাকআলপাইনকেই সম্ভাব্য অপরাধী হিসেবে ধরে নেওয়া হয় এবং ইন্টারনেটে তাঁর নামে অপবাদ চাউর হয়। ম্যাকআলপাইন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সময় কনজারভেটিভ পার্টির কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন এবং ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন।
গত শুক্রবার ম্যাকআলপাইন তাঁর নামে ছড়িয়ে পড়া গুজব উড়িয়ে দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'আমি মেসহাম বা চিলড্রেন্স হোমের কোনো শিশুকেই যৌন নির্যাতন করিনি।' তাঁর আইনজীবীরা জানান, ম্যাকআলপাইনের নামে অপবাদ ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত সব গণমাধ্যমের ব্যাপারে তাঁরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই মেসহাম জানান, তাঁর ওপর যিনি নির্যাতন চালিয়েছেন, তিনি ম্যাকআলপাইন নন। ভুল করে ম্যাকআলপাইনকে অপরাধী ভাবা হচ্ছে। এর পরপরই বিবিসি ক্ষমা চায়। এক বিবৃতিতে বিবিসি জানায়, 'মেসহামের বিবৃতি এটাই স্পষ্ট করে যে তিনি তাঁর নির্যাতনকারীরকে ঠিকমতো শনাক্ত করতে পারেননি। এর জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। প্রতিবেদনটি প্রচারের জন্য আমরাও অকপটভাবে ক্ষমা চাচ্ছি।' কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী নিউজনাইট অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ক্ষমা চান। 'সম্পাদনা কৌশল ও তত্ত্বাবধানবিষয়ক পর্যালোচনার জন্য' নিউজনাইটের সব তদন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিবিসির মহাপরিচালক জর্জ এন্টসহুইসেল। ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন সব অনুষ্ঠান স্থগিত করা হচ্ছে।
ম্যাকআলপাইনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো বিবিসির সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে। বিবিসির সাংবাদিকতার মান নিয়েই তারা প্রশ্ন তুলেছে। প্রয়াত সংবাদ উপস্থাপক জিমি সেভিলের যৌন নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগেই সমালোচনার শিকার হয় বিবিসি। নিউজনাইটের সম্পাদক সেভিল-সংক্রান্ত তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments