জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আহতদের সেবা দিচ্ছেন আলেপ্পোর চিকিৎসকরা
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ এখন আর নিছক সংঘর্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দিন যাচ্ছে আর সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধের তীব্রতা এবং হিংস্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মনে হয় যেন দেশ দখল নিয়ে দুটি ভিন্ন জাতির মধ্যে সংগ্রাম চলছে।
কয়েকটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর আসাদ বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছে বিদ্রোহীদের নির্মূলে। কিন্তু যুদ্ধের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এর সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছে না আলেপ্পোসহ সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
শক্রবার জাতিসংঘ তার এক প্রতিবেদনে দেখিয়েছে সিরিয়ায় গত ১৭ মাসের যুদ্ধে দুই লাখেরও অধিক মানুষ তাদের বাসগৃহ ছেড়ে পালিয়েছে। মরণাস্ত্রের আঘাতে সরকারি সেনা, বিদ্রোহী ও সাধারণ নাগরিকসহ তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
সিরিয়ার অধিকাংশ জনগণ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নেতৃত্বের অবসান চান। যারা শান্ত প্রকৃতির এবং যুদ্ধ থেকে বিরত আছেন তারাও চান আসাদ সরে যাক। সেখানকার বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররাও জীবনে ঝুঁকি নিয়ে নিয়ে নিরলসভাবে আহত বিদ্রোহীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আসাদের বিমান হামলায় আহত হচ্ছেন স্বয়ং ডাক্তাররাও। কিন্তু তার পরও তারা কর্মস্থল ত্যাগ করছেন না। কারণ তারাও চান বিদ্রোহীরা তাদের মিশন নিয়ে এগিয়ে যাক।
সিরিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক শহর আলেপ্পোর দার আল-শিফা হাসপাতালের কাছের একটি ভবনে হেলিকপ্টার থেকে রকেট হামলা চালানো হয়। হাসপাতাল থেকে বিকট শব্দ শোনা যাওয়ার পর পরই কর্মীরা আরো কিছু লোকের চিকিৎসার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন।
হাসপাতালটিকে লক্ষ্য করেও চার দফা হামলা চালানো হয়। এতে মাত্র দু’টি তলা ছাড়া পুরো হাসপাতাল থেকে সবাই অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়।
হামলার কিছুক্ষণ পর দু’জন শিশু দৌড়ে হাসপাতালে প্রবেশ করে। তাদের মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল। মুখ, হাত ও জামা রক্ত ও ধুলোয় মেখে একাকার। আট বছর বয়সী শিশু মাহমুদ কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারেনি।
বেশ কিছু সময় স্ট্রেচারে নিস্তব্ধ পড়ে থাকার পর মাহমুদ বলল, ‘আমি ও আমার ছোট বোন সানা রান্না ঘরের মেঝেতে বসে ছিলাম। এমনন সময় আমাদের বাড়িতে একটি রকেট আঘাত হানে। আমাদের মাথার ওপর ছাদটি ধসে পড়ে।’
মাহমুদ আরো বলে, আমার বাবা-মা এখনো বাড়িতে।
হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ছোট একটি কক্ষে ২৫ বছর বয়সী চিকিৎসক মোহাম্মদ আহত এক যোদ্ধার চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। আহত যোদ্ধা সাইল আল-দৌলায় এক গ্রেনেড হামলায় আহত হন। শহরটিতে বিদ্রোহী ও সরকারি সেনাদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে।
মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি এক মাস ধরে এখানে আছি। চার দিন ধরে একটানা কাজ করছি। হাসপাতালে যারাই চিকিৎসার জন্য আসছেন, তাদেরই চিকিৎসা করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা অবশ্যই অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। তবে আমি একে আমার দায়িত্ব ও মানবিক কাজ হিসেবে মনে করছি।’
হাসপাতালটির উপরের দিকের অধিকাংশ তলাই ব্যবহারযোগ্য নেই। গোলার আঘাতে এর অধিকাংশ কামরাই ধবংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক আবু মোহাম্মদ বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের ওপর রকেট হামলা চালানো হচ্ছে। যারা আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন তাদের অধিকাংশই বেসামরিক লোক, নারী ও শিশু। গোলা ও যন্ত্রণাকাতর আওয়াজ আমাদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই কাজকে বিদ্রোহে সহায়তা করা বলে মনে করি। আমি যুদ্ধ করতে পারি না। কিন্তু আমার কর্মদক্ষতা দিয়ে বিদ্রোহীদের সহায়তা করতে পারি।’ সূত্র: এএফপি।
শক্রবার জাতিসংঘ তার এক প্রতিবেদনে দেখিয়েছে সিরিয়ায় গত ১৭ মাসের যুদ্ধে দুই লাখেরও অধিক মানুষ তাদের বাসগৃহ ছেড়ে পালিয়েছে। মরণাস্ত্রের আঘাতে সরকারি সেনা, বিদ্রোহী ও সাধারণ নাগরিকসহ তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
সিরিয়ার অধিকাংশ জনগণ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নেতৃত্বের অবসান চান। যারা শান্ত প্রকৃতির এবং যুদ্ধ থেকে বিরত আছেন তারাও চান আসাদ সরে যাক। সেখানকার বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররাও জীবনে ঝুঁকি নিয়ে নিয়ে নিরলসভাবে আহত বিদ্রোহীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আসাদের বিমান হামলায় আহত হচ্ছেন স্বয়ং ডাক্তাররাও। কিন্তু তার পরও তারা কর্মস্থল ত্যাগ করছেন না। কারণ তারাও চান বিদ্রোহীরা তাদের মিশন নিয়ে এগিয়ে যাক।
সিরিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক শহর আলেপ্পোর দার আল-শিফা হাসপাতালের কাছের একটি ভবনে হেলিকপ্টার থেকে রকেট হামলা চালানো হয়। হাসপাতাল থেকে বিকট শব্দ শোনা যাওয়ার পর পরই কর্মীরা আরো কিছু লোকের চিকিৎসার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন।
হাসপাতালটিকে লক্ষ্য করেও চার দফা হামলা চালানো হয়। এতে মাত্র দু’টি তলা ছাড়া পুরো হাসপাতাল থেকে সবাই অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়।
হামলার কিছুক্ষণ পর দু’জন শিশু দৌড়ে হাসপাতালে প্রবেশ করে। তাদের মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল। মুখ, হাত ও জামা রক্ত ও ধুলোয় মেখে একাকার। আট বছর বয়সী শিশু মাহমুদ কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারেনি।
বেশ কিছু সময় স্ট্রেচারে নিস্তব্ধ পড়ে থাকার পর মাহমুদ বলল, ‘আমি ও আমার ছোট বোন সানা রান্না ঘরের মেঝেতে বসে ছিলাম। এমনন সময় আমাদের বাড়িতে একটি রকেট আঘাত হানে। আমাদের মাথার ওপর ছাদটি ধসে পড়ে।’
মাহমুদ আরো বলে, আমার বাবা-মা এখনো বাড়িতে।
হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ছোট একটি কক্ষে ২৫ বছর বয়সী চিকিৎসক মোহাম্মদ আহত এক যোদ্ধার চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। আহত যোদ্ধা সাইল আল-দৌলায় এক গ্রেনেড হামলায় আহত হন। শহরটিতে বিদ্রোহী ও সরকারি সেনাদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে।
মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি এক মাস ধরে এখানে আছি। চার দিন ধরে একটানা কাজ করছি। হাসপাতালে যারাই চিকিৎসার জন্য আসছেন, তাদেরই চিকিৎসা করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা অবশ্যই অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। তবে আমি একে আমার দায়িত্ব ও মানবিক কাজ হিসেবে মনে করছি।’
হাসপাতালটির উপরের দিকের অধিকাংশ তলাই ব্যবহারযোগ্য নেই। গোলার আঘাতে এর অধিকাংশ কামরাই ধবংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক আবু মোহাম্মদ বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের ওপর রকেট হামলা চালানো হচ্ছে। যারা আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন তাদের অধিকাংশই বেসামরিক লোক, নারী ও শিশু। গোলা ও যন্ত্রণাকাতর আওয়াজ আমাদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই কাজকে বিদ্রোহে সহায়তা করা বলে মনে করি। আমি যুদ্ধ করতে পারি না। কিন্তু আমার কর্মদক্ষতা দিয়ে বিদ্রোহীদের সহায়তা করতে পারি।’ সূত্র: এএফপি।
No comments