পুরুষের আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন ‘মেয়েলি’

বগুড়ার ধুনট উপজেলার একটি ক্লিনিক থেকে এক পুরুষ রোগীর আলট্রাসনোগ্রাম করে তাঁকে মেয়েলি রোগবিষয়ক প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে শুভ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের একটি ক্লিনিক রয়েছে।


দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়। এ কারণে উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের আবুল হোসনের ছেলে গোলাম মোস্তফা তলপেটে ব্যথা অনুভব করায় ১১ আগস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সহকারী আবদুল জব্বারের কাছে যান। তিনি গোলাম মোস্তফাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আলট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেন। তখন ওই রোগী শুভ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩০০ টাকা দিয়ে আলট্রাসনোগ্রাম করান। পরে সেখান থেকে চিকিৎসক এনামুল হক স্বাক্ষরিত একটি আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন রোগীর হাতে দেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে গোলাম মোস্তফার জরায়ু ও ডিম্বাশয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে উল্লেখ রয়েছে। এ সময় ওই রোগী প্রতিবেদন নিয়ে অন্য চিকিৎসকের কাছে গেলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
আবদুল জব্বার বলেন, ভুয়া প্রতিবেদনের কারণে রোগীকে সঠিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এনামুল হক বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনো রোগীকে চিকিৎসা দিইনি। এ ছাড়াও ওই প্রতিবেদনের স্বাক্ষরটিও আমার নয়। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য দালালচক্র এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।’
শুভ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, আলট্রাসনোগ্রামের প্রতিবেদন কম্পোজ করতে কম্পিউটার অপারেটর ভুল করেছেন। চিকিৎসকের কোনো ভুল ছিল না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হোসনে ফিরোজা বলেন, ‘এমন প্রতিবেদন কোনো চিকিৎসক দিতে পারেন না। তবে এটা ভুয়া প্রতিবেদন হতে পারে। এ বিষয়ে কেউ আমাকে আগে অবগত করেনি।’

No comments

Powered by Blogger.