সিরিয়ার শরণার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে : জাতিসংঘ
সিরিয়ায় চলমান সহিংসতার কারণে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এ তথ্য জানায়। কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল জাজিরার অনলাইন সংস্করণে গত শুক্রবার এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র আড্রিয়ান এডওয়ার্ডস গত শুক্রবার বলেন, 'সিরিয়ার শরণার্থীর সংখ্যা চলতি মাসে নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় এ সংখ্যা এখন দুই লাখের ওপরে, যা আমাদের ২০১২ সালের মোট হিসাবের বাইরে চলে গেছে। আমাদের ধারণা ছিল এ বছর এক লাখ ৮৫ হাজার লোক শরণার্থী হিসেবে সিরিয়া ছাড়বে।' তিনি জানান, এখন তাদের হিসাব অনুসারে মোট শরণার্থীর সংখ্যা দুই লাখ দুই হাজার ৫০০।
গত এক সপ্তাহে হাজার হাজার সিরীয় শরণার্থী সীমান্ত পার হয়ে তুরস্ক, ইরাক, লেবানন ও জর্দানে গেছে। সিরিয়া সরকার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর ওপর হামলা অব্যাহত রাখায় এখনো মানুষ এসব দেশে আশ্রয় নিচ্ছে।
জর্দান সরকার জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে রেকর্ডসংখ্যক দুই হাজার ৩২৪ শরণার্থী তাদের দেশে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে তুরস্ক গত শুক্রবার জানায়, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন হাজার শরণার্থী দেশটিতে ঢুকেছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে ৭৮ হাজারেরও বেশি সিরীয় শরণার্থী তুরস্কে অবস্থান করছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। সিরিয়ায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী আন্দোলন চলছে। এ সময়ে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা দাবি করেছে। লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ার মানবাধিকারবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়, শুধু আগস্টেই চার হাজার জন নিহত হয়েছে। এক মাসের মধ্যে এটাই নিহতের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
লেবাননে সহিংসতা অব্যাহত
লেবাননের ত্রিপোলি শহরে সুনি্ন ও আলায়িতি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। চলমান সহিংসতায় গত শুক্রবার অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে এক সুনি্ন মুসলিম ধর্মীয় নেতা নিহত হন। এ নিয়ে গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭-তে দাঁড়িয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ নিজে আলায়িতি গোষ্ঠীভূক্ত। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভরত বিদ্রোহীরা মূলত সুনি্ন সম্প্রদায়ের। সিরিয়ার প্রতিবেশী লেবাননের ত্রিপোলি শহরে এ দুই সম্প্রদায়ের লোকজনেরই বসবাস রয়েছে। মূলত সিরিয়া সংকটকে কেন্দ্র করেই ত্রিপোলিতে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে এই দুই পক্ষ। সূত্র : এএফপি, আল জাজিরা।
গত এক সপ্তাহে হাজার হাজার সিরীয় শরণার্থী সীমান্ত পার হয়ে তুরস্ক, ইরাক, লেবানন ও জর্দানে গেছে। সিরিয়া সরকার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর ওপর হামলা অব্যাহত রাখায় এখনো মানুষ এসব দেশে আশ্রয় নিচ্ছে।
জর্দান সরকার জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে রেকর্ডসংখ্যক দুই হাজার ৩২৪ শরণার্থী তাদের দেশে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে তুরস্ক গত শুক্রবার জানায়, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন হাজার শরণার্থী দেশটিতে ঢুকেছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে ৭৮ হাজারেরও বেশি সিরীয় শরণার্থী তুরস্কে অবস্থান করছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। সিরিয়ায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী আন্দোলন চলছে। এ সময়ে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা দাবি করেছে। লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ার মানবাধিকারবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়, শুধু আগস্টেই চার হাজার জন নিহত হয়েছে। এক মাসের মধ্যে এটাই নিহতের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
লেবাননে সহিংসতা অব্যাহত
লেবাননের ত্রিপোলি শহরে সুনি্ন ও আলায়িতি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। চলমান সহিংসতায় গত শুক্রবার অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে এক সুনি্ন মুসলিম ধর্মীয় নেতা নিহত হন। এ নিয়ে গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭-তে দাঁড়িয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ নিজে আলায়িতি গোষ্ঠীভূক্ত। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভরত বিদ্রোহীরা মূলত সুনি্ন সম্প্রদায়ের। সিরিয়ার প্রতিবেশী লেবাননের ত্রিপোলি শহরে এ দুই সম্প্রদায়ের লোকজনেরই বসবাস রয়েছে। মূলত সিরিয়া সংকটকে কেন্দ্র করেই ত্রিপোলিতে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে এই দুই পক্ষ। সূত্র : এএফপি, আল জাজিরা।
No comments