মা-বাবার সামনেই বাস কেড়ে নিল শিশুটির প্রাণ
বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা-বাবার চোখের সামনেই প্রাণ গেল শিশু মো. আরাফাতের। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে ঘটেছে এ মর্মান্তিক ঘটনা। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরাফাতের বাবা শাহজাহান ও মা অঞ্জনা বেগম। গুরুতর আহত শাহজাহানকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল চারটার দিকে শাহজাহান স্ত্রী ও দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে বনানীর কাকলী মোড়সংলগ্ন সড়ক পার হচ্ছিলেন। আরাফাত বাবা শাহজাহানের হাত ধরে ছিল। ছোট ভাই আবীরকে কোলে নিয়ে মা অঞ্জনা ছিলেন তাদের একটু পেছনে। এ সময় গুলিস্তানগামী ক্রাউন ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাস আরাফাত ও শাহজাহানকে ধাক্কা দেয়। এতে শাহজাহান সড়কের এক পাশে ছিটকে পড়লেও বাসের চাকার নিচে চলে যায় আরাফাতের শরীর। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। মা অঞ্জনা সামান্য আহত হন। তবে তাঁর কোলে থাকা আবীর অক্ষত থাকে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, পুলিশ আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। তার বাবা শাহজাহানকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে টঙ্গীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁদের বাসা বনানীর ডিওএইচএস রোডে। টঙ্গী থেকে বাসে বনানীতে নেমে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে রাস্তা পার হচ্ছিলেন তাঁরা।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূঁইয়া মাহবুবুল হাসান বলেন, ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও বাস আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, পুলিশ আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। তার বাবা শাহজাহানকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে টঙ্গীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁদের বাসা বনানীর ডিওএইচএস রোডে। টঙ্গী থেকে বাসে বনানীতে নেমে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে রাস্তা পার হচ্ছিলেন তাঁরা।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূঁইয়া মাহবুবুল হাসান বলেন, ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও বাস আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
No comments