ব্যাপক খাদ্যমন্দার আশঙ্কা-পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি বাড়াতে হবে
জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেই আশঙ্কা সত্য হতেও শুরু করেছে। ফলে বাংলাদেশেও বৈশ্বিক খাদ্যমন্দা যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। ২০০৭-২০০৮ সালের বাস্তবতা থেকেই আমরা তা কিছুটা অনুমান করতে পারি।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের যতটুকু প্রস্তুতি রয়েছে, তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। যদিও গত দুই বছর বাংলাদেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চালের মজুদ পরিস্থিতিও সন্তোষজনক। কিন্তু দ্বিতীয় খাদ্যদ্রব্য গম এমনিতেই বাংলাদেশে উৎপাদন হয় চাহিদার তুলনায় অনেক কম। বছরে এখানে গমের চাহিদা ৩৫ লাখ টন হলেও উৎপাদন হয় মাত্র ১০ লাখ টন। সেই হিসাবে বাংলাদেশকে প্রতিবছর ২৫ লাখ টন গম আমদানি করতে হয়। বিশ্ববাজারে গমের দাম বেড়ে যাওয়া এবং উৎপাদন কম হওয়ায় বাংলাদেশকে গমের ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। ভাবতে হবে গম উৎপাদনকারী দেশগুলোর রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা, গমের মূল্য, দেশের আমদানি ক্ষমতা ও গুদামজাতকরণের সক্ষমতার বিষয়টিও।
ভোজ্য তেলের চাহিদা বছরে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টন। সনাতন পদ্ধতিতে বাংলাদেশের কিছু এলাকায় সরিষা ও সামান্য কিছু সয়াবিন চাষ হয়। বাংলাদেশের সরিষার তেলের উৎপাদনমাত্রা এতই কম, যা ভোক্তার চাহিদা পূরণে অবদান রাখতে পারে সামান্যই। যে কারণে ভোজ্য তেলের প্রায় পুরোটাই বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়। দেশের অভ্যন্তরেও ব্যবসায়ী সমাজের একটি বড় অংশ ভোজ্য তেল নিয়েই কারসাজি করে বেশি। দেখা গেছে, বিশ্বে যে হারে তার দাম বাড়ে তারা সেই তুলনায় অনেক বেশি দাম বাড়িয়ে দেয়।
একই পরিস্থিতি চিনির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। চিনি আমদানি করে পরিশোধন করে বাজারে সরবরাহ করে ২০টি কারখানা। যার মধ্যে ১৫টিই সরকারি মালিকানাধীন। অথচ বেসরকারি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানই চাহিদার ৯০ শতাংশের বেশি সরবরাহ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে নিজ প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে পারে, সেখানে স্বচ্ছতা ও সততা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীলতা কমে আসবে। দেশে চিনির কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করার প্রমাণ আছে। এই মুহূর্তে চিনির আন্তর্জাতিক মন্দা তৈরির আভাস স্পষ্ট হওয়ার পর বাংলাদেশকে নিকট অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
বাংলাদেশে খাদ্যাভাবের মতোই খাদ্যগুদামের অভাব প্রকট। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে; কিন্তু খাদ্যগুদাম বাড়েনি। সরবরাহব্যবস্থাও উন্নত হয়নি। বরং খাদ্যগুদামগুলোর সঙ্গে থাকা রেলসংযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে। কাজেই খাদ্যনিরাপত্তার স্বার্থে খাদ্য মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন। এই মুহূর্তে ভোজ্য তেল, চিনি ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা পূরণে উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে টিসিবিকে কাজে লাগাতে না পারলে বাংলাদেশে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য পরিস্থিতি চূড়ান্ত অস্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে। বিশ্ব পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভোজ্য তেলের চাহিদা বছরে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টন। সনাতন পদ্ধতিতে বাংলাদেশের কিছু এলাকায় সরিষা ও সামান্য কিছু সয়াবিন চাষ হয়। বাংলাদেশের সরিষার তেলের উৎপাদনমাত্রা এতই কম, যা ভোক্তার চাহিদা পূরণে অবদান রাখতে পারে সামান্যই। যে কারণে ভোজ্য তেলের প্রায় পুরোটাই বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়। দেশের অভ্যন্তরেও ব্যবসায়ী সমাজের একটি বড় অংশ ভোজ্য তেল নিয়েই কারসাজি করে বেশি। দেখা গেছে, বিশ্বে যে হারে তার দাম বাড়ে তারা সেই তুলনায় অনেক বেশি দাম বাড়িয়ে দেয়।
একই পরিস্থিতি চিনির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। চিনি আমদানি করে পরিশোধন করে বাজারে সরবরাহ করে ২০টি কারখানা। যার মধ্যে ১৫টিই সরকারি মালিকানাধীন। অথচ বেসরকারি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানই চাহিদার ৯০ শতাংশের বেশি সরবরাহ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে নিজ প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে পারে, সেখানে স্বচ্ছতা ও সততা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীলতা কমে আসবে। দেশে চিনির কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করার প্রমাণ আছে। এই মুহূর্তে চিনির আন্তর্জাতিক মন্দা তৈরির আভাস স্পষ্ট হওয়ার পর বাংলাদেশকে নিকট অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
বাংলাদেশে খাদ্যাভাবের মতোই খাদ্যগুদামের অভাব প্রকট। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে; কিন্তু খাদ্যগুদাম বাড়েনি। সরবরাহব্যবস্থাও উন্নত হয়নি। বরং খাদ্যগুদামগুলোর সঙ্গে থাকা রেলসংযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে। কাজেই খাদ্যনিরাপত্তার স্বার্থে খাদ্য মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন। এই মুহূর্তে ভোজ্য তেল, চিনি ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা পূরণে উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে টিসিবিকে কাজে লাগাতে না পারলে বাংলাদেশে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য পরিস্থিতি চূড়ান্ত অস্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে। বিশ্ব পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
No comments