দলে দলে লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়ের সন্ধানে পাশের দেশগুলোতে পালিয়ে যাচ্ছে সিরীয় উদ্বাস্তুর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে: জাতিসংঘ
সিরিয়ায় সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশটি থেকে দলে দলে লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়ের সন্ধানে পাশের দেশগুলোতে পালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই সব দেশে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় উদ্বাস্তুর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
এদিকে সিরিয়া থেকে হাজার হাজার লোক বিশেষত তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান ও ইরাকে পালিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী সরকারবিরোধীদের অবস্থান লক্ষ করে দেশজুড়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শুক্রবার এমনই এক অভিযানে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা বলেছে, সহিংসতা থেকে বাঁচতে সিরিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া উদ্বাস্তুর সংখ্যা বেড়ে দুই লাখ দুই হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে। সংস্থার মুখপাত্র অ্যাড্রিয়ান এডওয়ার্ডস বলেন, ‘চলতি আগস্টে এই অঞ্চলে সিরীয় উদ্বাস্তুর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। ২০১২ সালে এই অঞ্চলে এক লাখ ৮৫ হাজার লোক উদ্বাস্তু হতে পারে বলে আমাদের যে ধারণা ছিল, তা ছাপিয়ে এটি এখন দুই লাখের ওপরে পৌঁছেছে।’
জর্ডান সরকার গতকাল বলেছে, দেশটিতে বৃহস্পতিবার রাতে রেকর্ড পরিমাণ দুই হাজার ৩২৪ জন উদ্বাস্তু প্রবেশ করে। তুরস্ক বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে প্রবেশ করেছে তিন হাজার ৫০০-এর বেশি উদ্বাস্তু। তুর্কি কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের মার্চে প্রেসিডেন্ট বাশারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান শুরুর পর এখন পর্যন্ত এক দিনে আগমনকারী উদ্বাস্তুর সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ। এ নিয়ে তুরস্কে উদ্বাস্তুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজারের বেশি। গত মাসে দেশটিতে নিবন্ধিত উদ্বাস্তুর সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার। তুরস্ক আরও বলেছে, এক লাখের বেশি উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। উদ্বাস্তুর ঢল ঠেকাতে জাতিসংঘ সিরিয়ার অভ্যন্তরেই একটি নিরাপদ শিবির স্থাপন করতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছে আঙ্কারা।
ইতিমধ্যে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাশারের অনুগত সেনারা যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ ইউনিটের সহায়তায় উত্তরাঞ্চলীয় নগর আলেপ্পোসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সংস্থাটি বলেছে, শুক্রবার সিরিয়াজুড়ে সহিংসতায় ৯০ জনের বেশি নিহত হয়। এদের মধ্যে দেইর আল-জর শহরের ২২ জন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছে। এর আগের দিন নিহত হয় প্রায় ২২০ জন।
সিরিয়ার দারায়া থেকে আবু কিনান নামের একজন মানবাধিকার কর্মী টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, শহরটিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িঘরের নিচে অনেক মৃতদেহ চাপা পড়ে রয়েছে। ভীতসন্ত্রস্ত অনেক মানুষ রাজধানী দামেস্কের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিট রমনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে দামেস্কের রাসায়নিক অস্ত্রের বিস্তার প্রতিরোধে তিনি প্রয়োজনে সিরিয়ায় আমেরিকান সেনা পাঠাবেন।
ওদিকে সিরিয়ায় জাতিসংঘের সদ্য বিলুপ্ত পর্যবেক্ষক মিশনের প্রধান জেনারেল বাবাকার গাইয়ে গতকাল দামেস্ক ছেড়ে গেছেন। দেশটিতে সহিংসতা বেড়ে যাওয়া ও গত ১৮ মাস ধরে চলা সহিংসতার অবসান নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বিভক্তির মধ্যে গত রোববার মধ্যরাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মিশনের মেয়াদ শেষ হয়। আল জাজিরা, রয়টার্স ও এএফপি।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা বলেছে, সহিংসতা থেকে বাঁচতে সিরিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া উদ্বাস্তুর সংখ্যা বেড়ে দুই লাখ দুই হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে। সংস্থার মুখপাত্র অ্যাড্রিয়ান এডওয়ার্ডস বলেন, ‘চলতি আগস্টে এই অঞ্চলে সিরীয় উদ্বাস্তুর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। ২০১২ সালে এই অঞ্চলে এক লাখ ৮৫ হাজার লোক উদ্বাস্তু হতে পারে বলে আমাদের যে ধারণা ছিল, তা ছাপিয়ে এটি এখন দুই লাখের ওপরে পৌঁছেছে।’
জর্ডান সরকার গতকাল বলেছে, দেশটিতে বৃহস্পতিবার রাতে রেকর্ড পরিমাণ দুই হাজার ৩২৪ জন উদ্বাস্তু প্রবেশ করে। তুরস্ক বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে প্রবেশ করেছে তিন হাজার ৫০০-এর বেশি উদ্বাস্তু। তুর্কি কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের মার্চে প্রেসিডেন্ট বাশারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান শুরুর পর এখন পর্যন্ত এক দিনে আগমনকারী উদ্বাস্তুর সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ। এ নিয়ে তুরস্কে উদ্বাস্তুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজারের বেশি। গত মাসে দেশটিতে নিবন্ধিত উদ্বাস্তুর সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার। তুরস্ক আরও বলেছে, এক লাখের বেশি উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। উদ্বাস্তুর ঢল ঠেকাতে জাতিসংঘ সিরিয়ার অভ্যন্তরেই একটি নিরাপদ শিবির স্থাপন করতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছে আঙ্কারা।
ইতিমধ্যে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাশারের অনুগত সেনারা যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ ইউনিটের সহায়তায় উত্তরাঞ্চলীয় নগর আলেপ্পোসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সংস্থাটি বলেছে, শুক্রবার সিরিয়াজুড়ে সহিংসতায় ৯০ জনের বেশি নিহত হয়। এদের মধ্যে দেইর আল-জর শহরের ২২ জন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছে। এর আগের দিন নিহত হয় প্রায় ২২০ জন।
সিরিয়ার দারায়া থেকে আবু কিনান নামের একজন মানবাধিকার কর্মী টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, শহরটিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িঘরের নিচে অনেক মৃতদেহ চাপা পড়ে রয়েছে। ভীতসন্ত্রস্ত অনেক মানুষ রাজধানী দামেস্কের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিট রমনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে দামেস্কের রাসায়নিক অস্ত্রের বিস্তার প্রতিরোধে তিনি প্রয়োজনে সিরিয়ায় আমেরিকান সেনা পাঠাবেন।
ওদিকে সিরিয়ায় জাতিসংঘের সদ্য বিলুপ্ত পর্যবেক্ষক মিশনের প্রধান জেনারেল বাবাকার গাইয়ে গতকাল দামেস্ক ছেড়ে গেছেন। দেশটিতে সহিংসতা বেড়ে যাওয়া ও গত ১৮ মাস ধরে চলা সহিংসতার অবসান নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বিভক্তির মধ্যে গত রোববার মধ্যরাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মিশনের মেয়াদ শেষ হয়। আল জাজিরা, রয়টার্স ও এএফপি।
No comments