সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক by রশিদ মামুন
নানামুখী বিতর্কের মধ্যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি (ইজিসিবি) সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য অর্থ ছাড় করেছে। ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাকি অর্থের যোগান দিতে হবে সরকারকে।
অতি সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক প্রকল্প ব্যয়ের প্রথম কিস্তি ছাড় করেছে। বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ খবর জানায়।
পদ্মা সেতু বিতর্ক এবং আইসিটি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা বন্ধের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য চুক্তি অনুযায়ী অর্থ ছাড়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ইজিসিবি বলছে এর ফলে বিদ্যুতকেন্দ্রটির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে।
বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছিলাম। দেশের বিদ্যুত খাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার জন্য বিদ্যুত বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্যাংকের সদর দফতরে গিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যার ফলে বিশ্বব্যাংক ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি নিয়েও অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। প্রকল্পটিতে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেয়ার সুপারিশ করে ইজিসিবির মূল্যায়ন কমিটি। কিন্তু কোবরা ইনস্টলেশন সার্ভিস এসএ এর ৩০০ কোটি টাকা কমে দেয়া দরপত্রটি গ্রহণ করেনি বিশ্বব্যাংক। অভিযোগ রয়েছে আলোচিত পদত্যাগী মন্ত্রী আবুল হোসেনের সাঁকো ইন্টারন্যাশনাল আইসোলাক্স এসএ ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।
সূত্রমতে, এই প্রকল্পের অধীনে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাখরাবাদ পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার গ্যাস পাইপ লাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মানিক নগর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার ২৩০ কেভি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন ও সাবস্টেশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন এবং সাবস্টেশন নির্মাণ করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এবং গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করবে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, বাখরাবাদ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার গ্যাস পাইপ লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পাইপ লাইন দিয়ে শুধু বিদ্যুতকেন্দ্রের গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এর মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ এলাকার বিদ্যুতকেন্দ্রগুলোতে গ্যাসের যে ঘাটতি ছিল তা দূর হবে। লাইনটির নির্মাণ ব্যয় ৪৬০ কোটি টাকা এর ব্যাস ৩০ ইঞ্চি। বিশ্বব্যাংক প্রকল্পটিতে ১২৪ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। বাদ বাকি অর্থ সরকার যোগান দেবে। ধারণা করা হচ্ছে পাইপ লাইনটি আগামী বছর সেপ্টেম্বরে চালু করা সম্ভব হবে। তবে বিদ্যুত বিভাগের তরফ থেকে পাইপ লাইনটির নির্মাণ কাজ ছয় মাস এগিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যৌথভাবে এ বিদ্যুতকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে স্পেনের আইসোলাক্স এসএ ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং সিএ্যান্ডটি কর্পোরেশন জয়েন্ট ভেঞ্চার। বিদ্যুতকেন্দ্রটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা (৩৩ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার ডলার)। চুক্তি অনুযায়ী এ বিদ্যুতকেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন উৎপাদনে আসবে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, কম্বাইন্ড সাইকেল উৎপাদনে আসবে একই বছরের ডিসেম্বরে। গ্যাসচালিত এ বিদ্যুতকেন্দ্রের দক্ষতা প্রায় ৫৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ইজিসিবি সূত্র জানায়, প্রকল্প নিয়ে বহুদিন থেকে ইসিজিবি ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে নানা টানাপোড়েন চলে আসছিল। পুনর্মূল্যায়িত এ প্রকল্পের জন্য ৪১৫ দশমিক এক মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন ছিল। যার পুরোটাই দেয়ার কথা ছিল বিশ্বব্যাংকের। গত ১২ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংক এক চিঠিতে ইজিসিবিকে জানায়, তারা এ প্রকল্পের জন্য ২২১ মিলিয়ন ডলার দিতে পারবে। বাকি অর্থ বাংলাদেশকেই যোগাড় করতে হবে। বাংলাদেশ তাতেও রাজি হয়। পরে ওই প্রকল্পের অর্থায়ন কিছুটা বৃদ্ধি করে তারা।
পদ্মা সেতু বিতর্ক এবং আইসিটি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা বন্ধের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য চুক্তি অনুযায়ী অর্থ ছাড়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ইজিসিবি বলছে এর ফলে বিদ্যুতকেন্দ্রটির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে।
বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছিলাম। দেশের বিদ্যুত খাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার জন্য বিদ্যুত বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্যাংকের সদর দফতরে গিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যার ফলে বিশ্বব্যাংক ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি নিয়েও অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। প্রকল্পটিতে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেয়ার সুপারিশ করে ইজিসিবির মূল্যায়ন কমিটি। কিন্তু কোবরা ইনস্টলেশন সার্ভিস এসএ এর ৩০০ কোটি টাকা কমে দেয়া দরপত্রটি গ্রহণ করেনি বিশ্বব্যাংক। অভিযোগ রয়েছে আলোচিত পদত্যাগী মন্ত্রী আবুল হোসেনের সাঁকো ইন্টারন্যাশনাল আইসোলাক্স এসএ ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।
সূত্রমতে, এই প্রকল্পের অধীনে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাখরাবাদ পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার গ্যাস পাইপ লাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মানিক নগর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার ২৩০ কেভি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন ও সাবস্টেশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন এবং সাবস্টেশন নির্মাণ করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এবং গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করবে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, বাখরাবাদ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার গ্যাস পাইপ লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পাইপ লাইন দিয়ে শুধু বিদ্যুতকেন্দ্রের গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এর মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ এলাকার বিদ্যুতকেন্দ্রগুলোতে গ্যাসের যে ঘাটতি ছিল তা দূর হবে। লাইনটির নির্মাণ ব্যয় ৪৬০ কোটি টাকা এর ব্যাস ৩০ ইঞ্চি। বিশ্বব্যাংক প্রকল্পটিতে ১২৪ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। বাদ বাকি অর্থ সরকার যোগান দেবে। ধারণা করা হচ্ছে পাইপ লাইনটি আগামী বছর সেপ্টেম্বরে চালু করা সম্ভব হবে। তবে বিদ্যুত বিভাগের তরফ থেকে পাইপ লাইনটির নির্মাণ কাজ ছয় মাস এগিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যৌথভাবে এ বিদ্যুতকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে স্পেনের আইসোলাক্স এসএ ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং সিএ্যান্ডটি কর্পোরেশন জয়েন্ট ভেঞ্চার। বিদ্যুতকেন্দ্রটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা (৩৩ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার ডলার)। চুক্তি অনুযায়ী এ বিদ্যুতকেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন উৎপাদনে আসবে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, কম্বাইন্ড সাইকেল উৎপাদনে আসবে একই বছরের ডিসেম্বরে। গ্যাসচালিত এ বিদ্যুতকেন্দ্রের দক্ষতা প্রায় ৫৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ইজিসিবি সূত্র জানায়, প্রকল্প নিয়ে বহুদিন থেকে ইসিজিবি ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে নানা টানাপোড়েন চলে আসছিল। পুনর্মূল্যায়িত এ প্রকল্পের জন্য ৪১৫ দশমিক এক মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন ছিল। যার পুরোটাই দেয়ার কথা ছিল বিশ্বব্যাংকের। গত ১২ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংক এক চিঠিতে ইজিসিবিকে জানায়, তারা এ প্রকল্পের জন্য ২২১ মিলিয়ন ডলার দিতে পারবে। বাকি অর্থ বাংলাদেশকেই যোগাড় করতে হবে। বাংলাদেশ তাতেও রাজি হয়। পরে ওই প্রকল্পের অর্থায়ন কিছুটা বৃদ্ধি করে তারা।
No comments