তাঁদের চোখে
একশ শতাংশ জেন্টলম্যান সৌরভ গাঙ্গুলী আহমেদাবাদের ধুলোভরা পিচে ১৯৯৬ সালে অভিষেক টেস্টে অসাধারণ একটা ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতেয়েছিল লক্ষ্মণ। প্রথমবার ওকে দেখেই মনে হয়েছিল যেন আজহারউদ্দিন। কব্জির ব্যবহারে দুজনের মিল থাকলেও খুব তাড়াতাড়ি প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল যে আজহারের চেয়ে লক্ষ্মণের টেকনিক অনেক বেশি মজবুত।
টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের অসাধারণ ম্যাচ উইনার ছিল লক্ষ্মণ। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা নিশ্চয়ই ওর প্রতিটি ইনিংস দেখেছেন। কিন্তু আমার কাছে ২০০১-এর ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই ইনিংসটা সব সময় আলাদা গুরুত্ব পাবে। আমি বরাবর বিদেশে জেতা, বিদেশে বড় রান করাকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছি। ইডেনে ২৮১ রানের ইনিংসটা শুধু লক্ষ্মণেরই সেরা ইনিংস নয়, টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা সেঞ্চুরি। ওই ইনিংসটা ম্যাচ আর সিরিজের মোড় আমাদের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেটে একটা বিশাল যাত্রার সূচনা করেছিল। আমরা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম যে ঘরের মাঠে তো বটেই, বিদেশেও ভারত জিততে পারে। তাই ইনিংসটি ছিল বড় গুরুত্বপূর্ণ।
লক্ষ্মণ অনেক ভালো ইনিংস খেলেছে। সব ইনিংসের ব্যাখ্যা করতে যাওয়া তাই অসম্ভব। তবে ২০০০ সিডনি, অ্যাডিলেড, ২০১০ ডারবান, মোহালি এগুলো ‘ভেরি ভেরি স্পেশাল’ ইনিংস। কারণ ওই ইনিংসগুলোর পরই ভেঙ্গিপুরাপ্পু ভেঙ্কট সাই লক্ষ্মণ থেকে ওর নাম হয়ে গিয়েছিল ভেরি ভেরি স্পেশাল লক্ষ্মণ। অবসর নেওয়া কোনো খেলোয়াড়ের সম্পর্কে লিখতে বসে অনেকেই বলেন মানুষ হিসেবে সেই লোকটা কত ভালো ছিল। লক্ষ্মণ এমন একজন মানুষ, যার সম্পর্কে আমি হলফ করে বলতে পারি, এই লোকটা মাঠের বাইরেও ছিল একশ শতাংশ ‘জেন্টলম্যান’।
নিখুঁত এক ব্যাটসম্যান
ব্রেট লি
বছরের পর বছর অসাধারণ কিছু ইনিংস আমরা খেলতে দেখেছি তাকে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যখনই ও মুখোমুখি হয়েছে, মনে হয়েছে সেঞ্চুরি করে ফেলবেন। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ২০০৪ সালে আমাদের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরিটির কথা বিশেষভাবে মনে আছে আমার। সেই ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছিল, কিন্তু ম্যাচটিতে সে যে ১৭৮ রানের ইনিংসটি খেলেছিল, তা অসাধারণ। ২০০১ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেনেস খেলা ২৮১ রানের ইনিংসটির মাহাত্ম্যও কি কম ছিল! রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে সে সারা দিন ধরে ব্যাট করল, ফলোঅনে পড়া সেই টেস্টেও সে জিতিয়ে দিল ভারতকে। কনুইয়ে চোট থাকায় সেই সফরে ছিলাম না আমি। কিন্তু টেলিভিশনে দেখেছি খেলাটা। পরে সতীর্থরাও আমাকে জানিয়েছে, ইডেনে সেদিন লক্ষ্মণকে আউট করা ছিল অসম্ভব। লক্ষ্মণ সম্পর্কে স্টিভ একটা কথা বলতেন—যদি দ্রাবিড়ের উইকেট পাও, সেটা দারুণ, যদি শচীনকে আউট করতে পার, সেটা অসাধারণ। আর যদি লক্ষ্মণের উইকেট পাও, সেটা মিরাকল। স্টিভের এই কথার সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। তার টেকনিকে কোনো খুঁত ছিল না। যেকোনো অ্যাঙ্গেলে পুল করে বাউন্ডারি মারার ক্ষেত্রে দারুণ পারদর্শী ছিল সে। অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারের জন্য অভিবাদন ভি ভি এস লক্ষ্মণকে।
আনন্দবাজার ও ক্যাস্ট্রলক্রিকেটডটকমের সৌজন্যে
লক্ষ্মণ অনেক ভালো ইনিংস খেলেছে। সব ইনিংসের ব্যাখ্যা করতে যাওয়া তাই অসম্ভব। তবে ২০০০ সিডনি, অ্যাডিলেড, ২০১০ ডারবান, মোহালি এগুলো ‘ভেরি ভেরি স্পেশাল’ ইনিংস। কারণ ওই ইনিংসগুলোর পরই ভেঙ্গিপুরাপ্পু ভেঙ্কট সাই লক্ষ্মণ থেকে ওর নাম হয়ে গিয়েছিল ভেরি ভেরি স্পেশাল লক্ষ্মণ। অবসর নেওয়া কোনো খেলোয়াড়ের সম্পর্কে লিখতে বসে অনেকেই বলেন মানুষ হিসেবে সেই লোকটা কত ভালো ছিল। লক্ষ্মণ এমন একজন মানুষ, যার সম্পর্কে আমি হলফ করে বলতে পারি, এই লোকটা মাঠের বাইরেও ছিল একশ শতাংশ ‘জেন্টলম্যান’।
নিখুঁত এক ব্যাটসম্যান
ব্রেট লি
বছরের পর বছর অসাধারণ কিছু ইনিংস আমরা খেলতে দেখেছি তাকে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যখনই ও মুখোমুখি হয়েছে, মনে হয়েছে সেঞ্চুরি করে ফেলবেন। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ২০০৪ সালে আমাদের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরিটির কথা বিশেষভাবে মনে আছে আমার। সেই ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছিল, কিন্তু ম্যাচটিতে সে যে ১৭৮ রানের ইনিংসটি খেলেছিল, তা অসাধারণ। ২০০১ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেনেস খেলা ২৮১ রানের ইনিংসটির মাহাত্ম্যও কি কম ছিল! রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে সে সারা দিন ধরে ব্যাট করল, ফলোঅনে পড়া সেই টেস্টেও সে জিতিয়ে দিল ভারতকে। কনুইয়ে চোট থাকায় সেই সফরে ছিলাম না আমি। কিন্তু টেলিভিশনে দেখেছি খেলাটা। পরে সতীর্থরাও আমাকে জানিয়েছে, ইডেনে সেদিন লক্ষ্মণকে আউট করা ছিল অসম্ভব। লক্ষ্মণ সম্পর্কে স্টিভ একটা কথা বলতেন—যদি দ্রাবিড়ের উইকেট পাও, সেটা দারুণ, যদি শচীনকে আউট করতে পার, সেটা অসাধারণ। আর যদি লক্ষ্মণের উইকেট পাও, সেটা মিরাকল। স্টিভের এই কথার সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। তার টেকনিকে কোনো খুঁত ছিল না। যেকোনো অ্যাঙ্গেলে পুল করে বাউন্ডারি মারার ক্ষেত্রে দারুণ পারদর্শী ছিল সে। অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারের জন্য অভিবাদন ভি ভি এস লক্ষ্মণকে।
আনন্দবাজার ও ক্যাস্ট্রলক্রিকেটডটকমের সৌজন্যে
No comments