বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনাই প্রত্যাশিত- অতঃপর আবুল হোসেনের বিদায়
বিলম্ব সত্ত্বেও বহুল আলোচিত মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পর পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক এ ক্ষেত্রে অর্থায়নের ব্যাপারে যে চারটি শর্ত জুড়ে দিয়েছিল, এর মাধ্যমে তার অনেকটাই পূরণ হলো।
এর আগে সরকার সাবেক যোগাযোগসচিব ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালককেও সরিয়ে দেয়। প্রথম আলোর গতকালের খবর অনুযায়ী, বিশ্বব্যাংকের সবুজ সংকেত পেলে সরকার প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাকেও বাদ দেওয়ার কথা ভাবছে। দুই পক্ষের মধ্যে কথাবার্তাও শুরু হয়েছে।
তবে পদ্মা সেতুর ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতার জন্য হাতে সময় খুবই কম। ৩১ আগস্টের মধ্যে এ ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছতে না পারলে কেবল বিশ্বব্যাংক নয়, পদ্মা সেতুতে এডিবি ও জাইকার অর্থায়নও বাতিল হয়ে যাবে। এখন সরকারের উচিত হবে দুর্নীতির ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগগুলো বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে তদন্ত করা এবং ভবিষ্যতে এই প্রকল্পে দুর্নীতি হবে না, সেই নিশ্চয়তা দেওয়া। কেবল দাতাদের শর্ত পূরণের জন্য নয়, দেশ ও জনগণের স্বার্থেই এটি করা জরুরি।
শুরু থেকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরকার লুকোচুরি খেলেছে। একেক মন্ত্রী একেক সময়ে একেক কথা বলেছেন। অর্থনৈতিক সামর্থ্য ও বাস্তবতা বিবেচনায় না নিয়ে সম্প্রতি সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থে পদ্মা সেতু করার অপরিণামদর্শী ঘোষণা পরিস্থিতিকে অনেকটাই জটিল করে তুলেছে। আমাদের অর্থনৈতিক বাস্তবতা হচ্ছে, এক খাতে অর্থ বরাদ্দ করলে অন্য খাতে টান পড়ে। এই পরিস্থিতিতে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল একটি প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা যে প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার, তা অর্থমন্ত্রীও প্রকারান্তরে স্বীকার করেছেন। তা ছাড়া বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চূড়ান্ত ফয়সালা হওয়ার আগেই বিকল্প উৎস থেকে অর্থায়নের চেষ্টার ফলাও প্রচারও আত্মঘাতী ছিল বলেই আমরা মনে করি।
বিশ্বব্যাংকের চারটি শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, দুর্নীতির অভিযোগের একটি সুষ্ঠু তদন্ত-প্রক্রিয়ার সার্থক ও বিশ্বাসযোগ্য বাস্তবায়ন। তদন্তের ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবস্থান নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আসছে, তারও ভিত্তি আছে। পদ্মা সেতু নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগের একটি সুষ্ঠু বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আগেই সংস্থাটি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীকে ‘নিষ্পাপ’ বলে সার্টিফিকেট দিয়েছিল। সুতরাং, এখন একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু তদন্ত-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিকল্প নেই।
আমরা আশা করব, আবুল হোসেনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পর বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেবে। বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বপ্নপূরণের পথে তাদের যে ঘোষিত অঙ্গীকার, তা পূরণে সংস্থাটি ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে—এটা কেবল সরকার নয়, বাংলাদেশের জনগণেরও প্রত্যাশা।
তবে পদ্মা সেতুর ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতার জন্য হাতে সময় খুবই কম। ৩১ আগস্টের মধ্যে এ ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছতে না পারলে কেবল বিশ্বব্যাংক নয়, পদ্মা সেতুতে এডিবি ও জাইকার অর্থায়নও বাতিল হয়ে যাবে। এখন সরকারের উচিত হবে দুর্নীতির ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগগুলো বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে তদন্ত করা এবং ভবিষ্যতে এই প্রকল্পে দুর্নীতি হবে না, সেই নিশ্চয়তা দেওয়া। কেবল দাতাদের শর্ত পূরণের জন্য নয়, দেশ ও জনগণের স্বার্থেই এটি করা জরুরি।
শুরু থেকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরকার লুকোচুরি খেলেছে। একেক মন্ত্রী একেক সময়ে একেক কথা বলেছেন। অর্থনৈতিক সামর্থ্য ও বাস্তবতা বিবেচনায় না নিয়ে সম্প্রতি সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থে পদ্মা সেতু করার অপরিণামদর্শী ঘোষণা পরিস্থিতিকে অনেকটাই জটিল করে তুলেছে। আমাদের অর্থনৈতিক বাস্তবতা হচ্ছে, এক খাতে অর্থ বরাদ্দ করলে অন্য খাতে টান পড়ে। এই পরিস্থিতিতে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল একটি প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা যে প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার, তা অর্থমন্ত্রীও প্রকারান্তরে স্বীকার করেছেন। তা ছাড়া বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চূড়ান্ত ফয়সালা হওয়ার আগেই বিকল্প উৎস থেকে অর্থায়নের চেষ্টার ফলাও প্রচারও আত্মঘাতী ছিল বলেই আমরা মনে করি।
বিশ্বব্যাংকের চারটি শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, দুর্নীতির অভিযোগের একটি সুষ্ঠু তদন্ত-প্রক্রিয়ার সার্থক ও বিশ্বাসযোগ্য বাস্তবায়ন। তদন্তের ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবস্থান নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আসছে, তারও ভিত্তি আছে। পদ্মা সেতু নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগের একটি সুষ্ঠু বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আগেই সংস্থাটি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীকে ‘নিষ্পাপ’ বলে সার্টিফিকেট দিয়েছিল। সুতরাং, এখন একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু তদন্ত-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিকল্প নেই।
আমরা আশা করব, আবুল হোসেনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পর বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেবে। বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বপ্নপূরণের পথে তাদের যে ঘোষিত অঙ্গীকার, তা পূরণে সংস্থাটি ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে—এটা কেবল সরকার নয়, বাংলাদেশের জনগণেরও প্রত্যাশা।
No comments