ঘাটে ঘাটে by আসিফ আহমেদ
এবার বরিশাল, খুলনা, যশোর প্রভৃতি জেলায় বাসে যারা ঢাকা ও অন্যান্য শহর থেকে নিজের গ্রামে গেছেন, তাদের মাওয়া ও আরিচা ফেরিঘাটে যন্ত্রণা হয়েছে অন্য সময়ের তুলনায় কম। অথচ এ সময়ে গাড়ি চলাচল করেছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। মাওয়া-কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আশিকুজ্জামান
জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ে এ ঘাটে প্রতিদিন ১২-১৩টি ফেরি চলে। ট্রিপ হয় ৮০-৮৫টি। ঈদের ছুটিতে দিনে ১৬টি পর্যন্ত ফেরি সচল ছিল। ঘাটে কাজ করেছেন প্রায় ৫০০ কর্মী। তারা এ সময়ে দিনে তিন হাজার পর্যন্ত গাড়ি পারাপার করেছেন। অন্য সময়ে দিনে পার হয় ১৬০০ থেকে ১৮০০ গাড়ি।
আরিচা-দৌলতদিয়া রুটে ফেরিগুলো দিনে স্বাভাবিক সময়ে চার হাজারের মতো গাড়ি পারাপার করে। কিন্তু ঈদের সময় পার হয়েছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার গাড়ি। তারপরও কেন ঈদের আগের কয়েকটি দিন ফেরিঘাটে তেমন যানজট হয়নি? এর একটি উত্তর_ 'আমরা পারি'। যোগাযোগ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই ফেরি এলাকার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। পুলিশ-র্যাব ফেরিঘাটে ঈদের ভিড়ে না যেতে ট্রাক মালিক ও চালকদের অনুরোধ জানিয়েছে। আশিকুজ্জামান বলেন, বিশেষ দুশ্চিন্তার কারণ ছিল রো রো ফেরি নিয়ে। পদ্মার সরু চ্যানেলে বড় ফেরি আটকা পড়লে যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। কিন্তু এমন দুর্ঘটনা এবার ঘটেনি।
নদনদী কেন সারা বছর ড্রেজিং করা হয় না_ এ প্রশ্ন সঙ্গত। দশকের পর দশক বাংলাদেশের ড্রেজিং বহরে কেন নতুন ড্রেজার কেনা হয়নি, এ প্রশ্নও করা যেতে পারে। হাল আমলে এর প্রতি মনোযোগ পড়েছে। ভারতের সঙ্গে ফারাক্কা-তিস্তা সমস্যা থাকলেও নদনদী ড্রেজিংয়ের বিষয়ে তাদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। মাওয়া ঘাটের কর্মীরা জানান, ফেরি থাকলেও তাদের জন্য বর্ষা মৌসুমে ড্রেজিং করা কঠিন। কারণ নদীতে থাকে প্রবল স্রোত। তবে এ বর্ষাতেই ফেরিগুলো চালু থেকেছে নির্বিঘ্নে।
প্রকৃতি নয়, মানুষ কিন্তু মানুষের জন্য সমস্যা করতে পারে। ঈদের তিন দিন আগে ১৭ আগস্ট রাত ১২টায় ফিরছিলাম কাওড়াকান্দি ও মাওয়া হয়ে ঢাকায়। কাওড়াকান্দিতে রাস্তা ফাঁকা থাকার কথা। কিন্তু ডজন ডজন বাস সড়কের এক অংশ পুরোপুরি দখল করে আছে। অন্য অংশ দিয়ে আমাদের ছোট গাড়িটাও ঘাটে পেঁৗছাতে যথেষ্ট বেগ পায়। এর একটি কারণ কাওড়াকান্দি ঘাটে বাস-ট্রাক পার্কিংয়ের জায়গা নেই। ঘাটের মাওয়া অংশেও ছিল না। সম্প্রতি ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট আলাদা করা হয়েছে এবং লঞ্চঘাটের পাশে বাস-ট্রাক পার্কিংয়ের জন্য বড় এলাকা পাকা করা হয়েছে। আরিচায় এ ব্যবস্থা রয়েছে। দৌলতদিয়ায় এতদিন ছিল না। এখন ফেরিঘাটে পেঁৗছানো ও বের হয়ে যাওয়ার জন্য পৃথক সড়ক করা হয়েছে। বাস-ট্রাকগুলো শুধু ঈদের সময় নয়, অন্য সময়েও এর সুফল ভোগ করবে। কিন্তু কাওড়াকান্দি ঘাটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রেখেছিল বাস চালকরা। পুলিশ-র্যাব তাদের অনুরোধ করেছে অন্তত এক লাইনে যানবাহন রাখার জন্য। কিন্তু কাজ হয়নি। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কঠোর হয়ে চালকদের শায়েস্তা করা যায়। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় তারা হয়তো ঈদের সময় গাড়ি বন্ধ করে দেবে এবং তখন সব দোষ পড়বে পুলিশের কাঁধে। পরিবহন শ্রমিক নেতারা কি এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন না?
আমরা যারা এবারে কম সময়ে ফেরির সাহায্যে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছি এবং ফিরে এসেছি তারা কি ফেরি ও ঘাটের কর্মীদের কথা ভাবি? আমাদের পথ নির্বিঘ্ন করতে তাদের কেউ কেউ দিনে টানা ১৮-২০ ঘণ্টা কাজ করেছে। ফেরি থেকে যানবাহন নেমে যাওয়ার সময় তারা বখশিশ নিয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জবরদস্তিও ছিল। কিন্তু সবকিছুর পরও তারা ভালো সেবা দিয়েছে, এটাই বাস্তবতা।
আরিচা-দৌলতদিয়া রুটে ফেরিগুলো দিনে স্বাভাবিক সময়ে চার হাজারের মতো গাড়ি পারাপার করে। কিন্তু ঈদের সময় পার হয়েছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার গাড়ি। তারপরও কেন ঈদের আগের কয়েকটি দিন ফেরিঘাটে তেমন যানজট হয়নি? এর একটি উত্তর_ 'আমরা পারি'। যোগাযোগ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই ফেরি এলাকার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। পুলিশ-র্যাব ফেরিঘাটে ঈদের ভিড়ে না যেতে ট্রাক মালিক ও চালকদের অনুরোধ জানিয়েছে। আশিকুজ্জামান বলেন, বিশেষ দুশ্চিন্তার কারণ ছিল রো রো ফেরি নিয়ে। পদ্মার সরু চ্যানেলে বড় ফেরি আটকা পড়লে যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। কিন্তু এমন দুর্ঘটনা এবার ঘটেনি।
নদনদী কেন সারা বছর ড্রেজিং করা হয় না_ এ প্রশ্ন সঙ্গত। দশকের পর দশক বাংলাদেশের ড্রেজিং বহরে কেন নতুন ড্রেজার কেনা হয়নি, এ প্রশ্নও করা যেতে পারে। হাল আমলে এর প্রতি মনোযোগ পড়েছে। ভারতের সঙ্গে ফারাক্কা-তিস্তা সমস্যা থাকলেও নদনদী ড্রেজিংয়ের বিষয়ে তাদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। মাওয়া ঘাটের কর্মীরা জানান, ফেরি থাকলেও তাদের জন্য বর্ষা মৌসুমে ড্রেজিং করা কঠিন। কারণ নদীতে থাকে প্রবল স্রোত। তবে এ বর্ষাতেই ফেরিগুলো চালু থেকেছে নির্বিঘ্নে।
প্রকৃতি নয়, মানুষ কিন্তু মানুষের জন্য সমস্যা করতে পারে। ঈদের তিন দিন আগে ১৭ আগস্ট রাত ১২টায় ফিরছিলাম কাওড়াকান্দি ও মাওয়া হয়ে ঢাকায়। কাওড়াকান্দিতে রাস্তা ফাঁকা থাকার কথা। কিন্তু ডজন ডজন বাস সড়কের এক অংশ পুরোপুরি দখল করে আছে। অন্য অংশ দিয়ে আমাদের ছোট গাড়িটাও ঘাটে পেঁৗছাতে যথেষ্ট বেগ পায়। এর একটি কারণ কাওড়াকান্দি ঘাটে বাস-ট্রাক পার্কিংয়ের জায়গা নেই। ঘাটের মাওয়া অংশেও ছিল না। সম্প্রতি ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট আলাদা করা হয়েছে এবং লঞ্চঘাটের পাশে বাস-ট্রাক পার্কিংয়ের জন্য বড় এলাকা পাকা করা হয়েছে। আরিচায় এ ব্যবস্থা রয়েছে। দৌলতদিয়ায় এতদিন ছিল না। এখন ফেরিঘাটে পেঁৗছানো ও বের হয়ে যাওয়ার জন্য পৃথক সড়ক করা হয়েছে। বাস-ট্রাকগুলো শুধু ঈদের সময় নয়, অন্য সময়েও এর সুফল ভোগ করবে। কিন্তু কাওড়াকান্দি ঘাটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রেখেছিল বাস চালকরা। পুলিশ-র্যাব তাদের অনুরোধ করেছে অন্তত এক লাইনে যানবাহন রাখার জন্য। কিন্তু কাজ হয়নি। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কঠোর হয়ে চালকদের শায়েস্তা করা যায়। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় তারা হয়তো ঈদের সময় গাড়ি বন্ধ করে দেবে এবং তখন সব দোষ পড়বে পুলিশের কাঁধে। পরিবহন শ্রমিক নেতারা কি এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন না?
আমরা যারা এবারে কম সময়ে ফেরির সাহায্যে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছি এবং ফিরে এসেছি তারা কি ফেরি ও ঘাটের কর্মীদের কথা ভাবি? আমাদের পথ নির্বিঘ্ন করতে তাদের কেউ কেউ দিনে টানা ১৮-২০ ঘণ্টা কাজ করেছে। ফেরি থেকে যানবাহন নেমে যাওয়ার সময় তারা বখশিশ নিয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জবরদস্তিও ছিল। কিন্তু সবকিছুর পরও তারা ভালো সেবা দিয়েছে, এটাই বাস্তবতা।
No comments