নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি শুরু আওয়ামী লীগের-তৃণমূল পর্যায়ে প্রাথমিক জরিপকাজ চলছে by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য
দেড় বছর সময় হাতে রেখেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি মাথায় রেখেই এগোচ্ছে দলটি। গত সাধারণ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে গঠিত 'আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি' আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে গত ১ এপ্রিল থেকে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে যদি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এগিয়ে আনতে হয়, তবে দলীয় প্রস্তুতির যাতে ঘাটতি না থাকে- সে বিবেচনা থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। যেকোনো উপায়েই হোক পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ী হতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং সাবেক সংস্থাপন সচিব রাশিদুল আলম দায়িত্ব অনুযায়ী প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত অফিসও করছেন কমিটির সদস্যরা। তবে এইচ টি ইমাম সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় রাশিদুল আলম মূল দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে সরকার গঠনের পর কমিটির কার্যক্রম না থাকলেও ১ এপ্রিল থেকে কমিটিকে 'অ্যাক্টিভেট' করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করছেন শেখ হাসিনা। কিছু কিছু বিষয়ে কমিটি এরই মধ্যে দলীয় প্রধানের কাছে রিপোর্টও দিয়েছে। সূত্র মতে, প্রাথমিকভাবে কমিটি তৃণমূল পর্যায়ে জরিপের কাজ শুরু করেছে। বিশ্বস্ত প্রতিনিধিদের এলাকায় পাঠিয়ে বর্তমান দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের জনপ্রিয়তা যাচাই করা হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারের জনপ্রিয়তা, সরকারের বিভিন্ন কাজের ব্যাপারে মতামতসহ বেশকিছু চিত্রও এই জরিপে ওঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে নির্বাচনের সব রকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বর্তমানে তৃণমূল পর্যায়ে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করা হচ্ছে। বিভিন্ন রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচনের আগে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে দলের সংসদীয় বোর্ড।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর অন্য সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার গঠনের পর থেকেই পরবর্তী নির্বাচনের কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জনমত পক্ষে আনার কাজ করছে বর্তমানে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ডাটা সংগ্রহ করছে এবং জরিপ কাজ চালাচ্ছে।
কোন ধরনের সরকার ব্যবস্থার অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে নিয়ে মুখোমুখি ক্ষমতাসীন ও প্রধান বিরোধী দল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে সোচ্চার বিরোধী দল। অন্যদিকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। এ অবস্থায় নির্বাচন নিয়েও সংশয় আছে অনেকের মধ্যে। তা সত্ত্বেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে- এমন ধারণা মাথায় রেখেই নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।
সূত্র মতে, দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ৩০০ সংসদীয় আসনে বর্তমান এমপিদের এবং সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করছে। এ ছাড়া দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে এসব বিষয়ে কমিটি রিপোর্ট দেবে দলীয় সভাপতির কাছে। পাশাপাশি দলের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য করণীয় সম্পর্কেও সুপারিশ পেশ করবে এ কমিটি। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এরই মধ্যে সাতটি বিভাগে লোক নিয়োগ দিয়েছে। পরবর্তী ধাপে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তরা জেলা পর্যায়ে লোক নিয়োগ করবেন এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাচনী অফিস খুলবেন দলের সার্বিক অবস্থা জানার জন্য।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এসব বৈঠক শেষ হলে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা সাংগঠনিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেবেন শেখ হাসিনার কাছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সংসদীয় এলাকাভিত্তিক আলাদা রিপোর্ট দেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সব রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং সাবেক সংস্থাপন সচিব রাশিদুল আলম দায়িত্ব অনুযায়ী প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত অফিসও করছেন কমিটির সদস্যরা। তবে এইচ টি ইমাম সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় রাশিদুল আলম মূল দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে সরকার গঠনের পর কমিটির কার্যক্রম না থাকলেও ১ এপ্রিল থেকে কমিটিকে 'অ্যাক্টিভেট' করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করছেন শেখ হাসিনা। কিছু কিছু বিষয়ে কমিটি এরই মধ্যে দলীয় প্রধানের কাছে রিপোর্টও দিয়েছে। সূত্র মতে, প্রাথমিকভাবে কমিটি তৃণমূল পর্যায়ে জরিপের কাজ শুরু করেছে। বিশ্বস্ত প্রতিনিধিদের এলাকায় পাঠিয়ে বর্তমান দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের জনপ্রিয়তা যাচাই করা হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারের জনপ্রিয়তা, সরকারের বিভিন্ন কাজের ব্যাপারে মতামতসহ বেশকিছু চিত্রও এই জরিপে ওঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে নির্বাচনের সব রকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বর্তমানে তৃণমূল পর্যায়ে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করা হচ্ছে। বিভিন্ন রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচনের আগে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে দলের সংসদীয় বোর্ড।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর অন্য সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার গঠনের পর থেকেই পরবর্তী নির্বাচনের কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জনমত পক্ষে আনার কাজ করছে বর্তমানে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ডাটা সংগ্রহ করছে এবং জরিপ কাজ চালাচ্ছে।
কোন ধরনের সরকার ব্যবস্থার অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে নিয়ে মুখোমুখি ক্ষমতাসীন ও প্রধান বিরোধী দল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে সোচ্চার বিরোধী দল। অন্যদিকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। এ অবস্থায় নির্বাচন নিয়েও সংশয় আছে অনেকের মধ্যে। তা সত্ত্বেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে- এমন ধারণা মাথায় রেখেই নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।
সূত্র মতে, দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ৩০০ সংসদীয় আসনে বর্তমান এমপিদের এবং সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করছে। এ ছাড়া দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে এসব বিষয়ে কমিটি রিপোর্ট দেবে দলীয় সভাপতির কাছে। পাশাপাশি দলের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য করণীয় সম্পর্কেও সুপারিশ পেশ করবে এ কমিটি। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এরই মধ্যে সাতটি বিভাগে লোক নিয়োগ দিয়েছে। পরবর্তী ধাপে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তরা জেলা পর্যায়ে লোক নিয়োগ করবেন এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাচনী অফিস খুলবেন দলের সার্বিক অবস্থা জানার জন্য।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এসব বৈঠক শেষ হলে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা সাংগঠনিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেবেন শেখ হাসিনার কাছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সংসদীয় এলাকাভিত্তিক আলাদা রিপোর্ট দেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সব রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে।
No comments