কপোতাক্ষ-মধুমতীর তীর থেকে-আর্তের পাশে চিরকাল by আমিরুল আলম খান
গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, পদ্মপুকুর, ঝাঁপা, গুনারি, ছুতারখালি—খুলনা-সাতক্ষীরার আইলা-বিধ্বস্ত একেকটি ইউনিয়ন—এখন সারা দেশে কমবেশি পরিচিত। গাবুরা তো কোপ-১৫ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে আলোচিত হয়েছে বারবার।
২০০৮ সালে আইলা আঘাত হানার পর দুই বছরের বেশি সময় পার হলেও দুর্গত মানুষগুলো আজও ফিরতে পারেনি বসতভিটায়। ফিরবে কী করে, ভিটা যে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে আইলা। তারপর এই দুই বছর তা অস্তিত্বহীন। কয়েক লাখ মানুষ এখনো বাস করছে রাস্তা অথবা বেড়িবাঁধের ওপর। সেখানে কাজ নেই, খাবার নেই। তার চেয়ে বেশি কষ্ট খাবার পানির। পানির উৎস নষ্ট হয়ে গেছে। ট্রলারে করে যে খাবার পানির সরবরাহ তা সংগ্রহ করতে ছুটতে হয় তিন-চার কিমি। ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামতের চেষ্টা সর্বাংশে শেষ করা যায়নি। অর্থ বরাদ্দ হলেও তা সম্ভব না হওয়ার কারণ বহুবিধ। সবই নাকি মানুষের দুষ্টবুদ্ধির ফল। বিপন্ন মানুষের জীবন নিয়ে বাণিজ্য করার মানুষের অভাব নেই এ দেশে। বর্ষা এসে যাওয়ায় আগামী ছয় মাসে আর বেড়িবাঁধ মেরামত হবে না। তার মানে অন্তত আগামী শীত পর্যন্ত এসব বিপন্ন মানুষকে এমন মানবেতর জীবনই যাপন করতে হবে।
সুদর্শন এক তরুণ ইকরাম। দাকোপ উপজেলার ছুতারখালি ইউনিয়নের গুনারি গ্রামের কলেজপড়ুয়া তরুণ। তার চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। আইলা আঘাত হানার পরও অদম্য ইকরাম দুই বছর ধরে টিউশনি করে কোনোরকমে লেখাপড়া করছে খুলনার আযম খান কমার্স কলেজে। সামনেই অনার্স পরীক্ষা। অন্তত মাসতিনেক ভালো করে লেখাপড়া করা দরকার। সে জন্য দরকার নিরুপদ্রব পড়াশোনার সুযোগ। এক বন্ধুর বদান্যে থাকে এক মেসে। সে নিজেও আইলা-দুর্গত। বন্ধুর ভার আর বইতে পারছে না। দুই বছর ধরে সে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রেখেছে। তাই এখন অন্ধকার দেখছে ইকরাম। মাসে অন্তত হাজার আড়াই টাকা না হলে কী খাবে, আর কী করে পরীক্ষা দেবে? কষ্ট করতে তার আপত্তি নেই। কিন্তু কাজই যদি না পায়, তাহলে? ইকরাম তাই হতাশার সমুদ্রে ভাসছে।
শুধু ইকরাম নয়। তার মতো তারই গ্রামের সমীরণ, দেবব্রত, বিশ্বজিৎ। তারা পড়ে বাগেরহাট আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় (পিসি) কলেজে। আযম খান কমার্স কলেজের ছাত্র বুড়িগোয়ালিনীর আশীষ, বিপুল, ফরহাদও কূল খুঁজে পাচ্ছে না। সবার সমস্যা প্রায় অভিন্ন। কলেজ যতটুকু পারে তাদের সাহায্য করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফি পরিশোধে। কিন্তু কলেজ তো আর তাদের থাকা-খাওয়ার পয়সা জোগাতে পারে না। তেমন বিধান নেই, তহবিলও নেই। কর্তৃপক্ষ তাই নিরুপায়।
তবে কি শেষ হয়ে যাবে এসব প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের স্বপ্ন, দীর্ঘ দুই বছর যারা সংগ্রাম করছে আগামী দিনের জন্য নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে? কিন্তু এত দিনে, দীর্ঘ দুই বছরে যাদের বাবা-মা-ভাই-বোন ফিরে যেতে পারেনি বসতভিটায়, শুরু করতে পারেনি নতুন করে জীবন, তারা কোন ভরসায় স্বপ্ন দেখবে? তাই এখন তাদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। জীবন শুরু না হতেই পরাজয়ের গ্লানি। অথচ এই তারুণ্য, এই যৌবন নিয়োজিত হতে পারত এই দেশের উন্নয়নে। পরিবারের স্বপ্ন-জাগানিয়া সন্তানদের এই পরিণতি গোটা পরিবারের জন্য বয়ে এনেছে হতাশার কালো মেঘ। জীবন দুইবার আসবে না। এ জীবনে যদি নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা না যায়, তবে কি পরজন্মে জীবন গড়বে এসব তরুণ? এসব প্রশ্নের কোনো জবাব জানা নেই তাদের।
কত যুবক এমন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি? তার কোনো পরিসংখ্যান কোথাও আছে কি? যে তরুণ তার জীবন গঠনের এই স্তরে এমন কঠিন সমস্যায় আক্রান্ত, সে কি পারবে নিজেকে আগামী দিনের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে? না যদি পারে, তাহলে তো সে নিজেই এই সমাজে একটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হবে। সে যন্ত্রণা তো ভোগ করতে হবে সমাজকেই।
দেশটি ছোট। কিন্তু লোকসংখ্যার বিবেচনায় তো পৃথিবীর গুটিকতক দেশের একটি বাংলাদেশ। এই বিপুল জনসমষ্টিকে আমরা জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে পারছি না। সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে ঠিকই, তার চেয়ে বেশি আছে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব। আরেকটি বড় সমস্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। অর্থাৎ, আমাদের দক্ষতার প্রশ্নটি বারবার উঠে আসে।
আমাদের উপকূল-ভাগ বহু শতাব্দী ধরে বাঁধের মাধ্যমে সুরক্ষিত। কিন্তু আমরা সে ইতিহাস ভুলতে বসেছি। আমরা শুধু স্মরণে রেখেছি, ১৯৬০-এর দশকে নির্মিত উপকূলীয় বাঁধের কথা। সেই বাঁধ প্রায় অর্ধশতাব্দী আমাদের সুরক্ষা দিয়েছে। কিন্তু ১৯৮০-এর দশক থেকে নোনাপানিতে বাগদা চিংড়ি চাষে আমাদের দুর্ভাগ্যের আরেক অধ্যায়ের শুরু হয়। একদিকে বিপুল বৈভব গড়ে উঠতে থাকে কিছু মানুষের, অপরদিকে নিঃস্ব হতে থাকে বিপুলসংখ্যক গরিব মানুষ। নিঃস্বায়নের সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
আইলা যখন আঘাত হানল, তখন দেখা গেল নোনাপানি ঢোকানোর জন্য বাঁধের অসংখ্য ছিদ্রপথের কারণে তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে গেল। তারপর তা দ্রুত পুনর্নির্মাণ করা গেল না কিছু স্বার্থবাদী মানুষের কারণে। ফলে দুই বছরেও দুর্গত মানুষের বিপুল অংশ ফিরতে পারছে না ঘরে। যাদের থাকারই জায়গা নেই, তারা কী করে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ জোগাবে?
অথচ সন্তানের দিকেই তাকিয়ে বাবা তাঁর ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনেন। এটাই মানুষের ইতিহাস। কিন্তু তাঁরা এখন নিতান্তই অসহায়।
দাকোপ উপজেলার গুনারি ইউনিয়নের দুটো ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণ সমাপ্ত করা যায়নি। পুনর্নির্মিত হয়নি বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরার বেড়িবাঁধও। অথচ গাবুরার কথা অনেকবার উঠেছে কোপ-১৫ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে।
আমাদের উপকূল-ভাগের মানুষের এই দুঃখের কারণ শুধু আমরা নই, উন্নয়নের পশ্চিমা মডেল সারা দুনিয়াকে যে জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে, সেটাও অনেকাংশে দায়ী। সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ছে মেরু বরফ আর পর্বতশিখরের বরফ গলছে বলে। আর তা গলছে বিশ্বের গড় উষ্ণতা বাড়ার কারণে। মানুষের ভোগবিলাসের জোগান দিতে গিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির অমিত ব্যবহার, নানাবিধ ক্ষতিকর গ্যাসের উদিগরণ, ওজনস্তরে ছিদ্র এসবের কারণ।
কারণ যা-ই হোক, আসল কথা হলো, আমাদের দক্ষিণ-পশ্চিম জনপদের এক বিপুলসংখ্যক মানুষ আজ জলবায়ু উদ্বাস্তু। তাদের ভবিষ্যতের দায় কে গ্রহণ করবে?
সামাজিক দায় পরিশোধের অঙ্গীকার নিয়ে ইকরাম, আশীষ, বিপুল, ফরহাদ, দেবব্রত, বিশ্বজিৎ, সমীরণদের পাশে তো আমাদের কাউকে না কাউকে দাঁড়াতেই হবে। যেন ওরা ভাবতে শেখে, এই গরিব দেশের মানুষই আর্তের পাশে থাকে চিরকাল।
আমিরুল আলম খান: শিক্ষাবিদ।
Amirulkhan7@gmail.com
সুদর্শন এক তরুণ ইকরাম। দাকোপ উপজেলার ছুতারখালি ইউনিয়নের গুনারি গ্রামের কলেজপড়ুয়া তরুণ। তার চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। আইলা আঘাত হানার পরও অদম্য ইকরাম দুই বছর ধরে টিউশনি করে কোনোরকমে লেখাপড়া করছে খুলনার আযম খান কমার্স কলেজে। সামনেই অনার্স পরীক্ষা। অন্তত মাসতিনেক ভালো করে লেখাপড়া করা দরকার। সে জন্য দরকার নিরুপদ্রব পড়াশোনার সুযোগ। এক বন্ধুর বদান্যে থাকে এক মেসে। সে নিজেও আইলা-দুর্গত। বন্ধুর ভার আর বইতে পারছে না। দুই বছর ধরে সে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রেখেছে। তাই এখন অন্ধকার দেখছে ইকরাম। মাসে অন্তত হাজার আড়াই টাকা না হলে কী খাবে, আর কী করে পরীক্ষা দেবে? কষ্ট করতে তার আপত্তি নেই। কিন্তু কাজই যদি না পায়, তাহলে? ইকরাম তাই হতাশার সমুদ্রে ভাসছে।
শুধু ইকরাম নয়। তার মতো তারই গ্রামের সমীরণ, দেবব্রত, বিশ্বজিৎ। তারা পড়ে বাগেরহাট আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় (পিসি) কলেজে। আযম খান কমার্স কলেজের ছাত্র বুড়িগোয়ালিনীর আশীষ, বিপুল, ফরহাদও কূল খুঁজে পাচ্ছে না। সবার সমস্যা প্রায় অভিন্ন। কলেজ যতটুকু পারে তাদের সাহায্য করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফি পরিশোধে। কিন্তু কলেজ তো আর তাদের থাকা-খাওয়ার পয়সা জোগাতে পারে না। তেমন বিধান নেই, তহবিলও নেই। কর্তৃপক্ষ তাই নিরুপায়।
তবে কি শেষ হয়ে যাবে এসব প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের স্বপ্ন, দীর্ঘ দুই বছর যারা সংগ্রাম করছে আগামী দিনের জন্য নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে? কিন্তু এত দিনে, দীর্ঘ দুই বছরে যাদের বাবা-মা-ভাই-বোন ফিরে যেতে পারেনি বসতভিটায়, শুরু করতে পারেনি নতুন করে জীবন, তারা কোন ভরসায় স্বপ্ন দেখবে? তাই এখন তাদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। জীবন শুরু না হতেই পরাজয়ের গ্লানি। অথচ এই তারুণ্য, এই যৌবন নিয়োজিত হতে পারত এই দেশের উন্নয়নে। পরিবারের স্বপ্ন-জাগানিয়া সন্তানদের এই পরিণতি গোটা পরিবারের জন্য বয়ে এনেছে হতাশার কালো মেঘ। জীবন দুইবার আসবে না। এ জীবনে যদি নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা না যায়, তবে কি পরজন্মে জীবন গড়বে এসব তরুণ? এসব প্রশ্নের কোনো জবাব জানা নেই তাদের।
কত যুবক এমন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি? তার কোনো পরিসংখ্যান কোথাও আছে কি? যে তরুণ তার জীবন গঠনের এই স্তরে এমন কঠিন সমস্যায় আক্রান্ত, সে কি পারবে নিজেকে আগামী দিনের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে? না যদি পারে, তাহলে তো সে নিজেই এই সমাজে একটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হবে। সে যন্ত্রণা তো ভোগ করতে হবে সমাজকেই।
দেশটি ছোট। কিন্তু লোকসংখ্যার বিবেচনায় তো পৃথিবীর গুটিকতক দেশের একটি বাংলাদেশ। এই বিপুল জনসমষ্টিকে আমরা জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে পারছি না। সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে ঠিকই, তার চেয়ে বেশি আছে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব। আরেকটি বড় সমস্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। অর্থাৎ, আমাদের দক্ষতার প্রশ্নটি বারবার উঠে আসে।
আমাদের উপকূল-ভাগ বহু শতাব্দী ধরে বাঁধের মাধ্যমে সুরক্ষিত। কিন্তু আমরা সে ইতিহাস ভুলতে বসেছি। আমরা শুধু স্মরণে রেখেছি, ১৯৬০-এর দশকে নির্মিত উপকূলীয় বাঁধের কথা। সেই বাঁধ প্রায় অর্ধশতাব্দী আমাদের সুরক্ষা দিয়েছে। কিন্তু ১৯৮০-এর দশক থেকে নোনাপানিতে বাগদা চিংড়ি চাষে আমাদের দুর্ভাগ্যের আরেক অধ্যায়ের শুরু হয়। একদিকে বিপুল বৈভব গড়ে উঠতে থাকে কিছু মানুষের, অপরদিকে নিঃস্ব হতে থাকে বিপুলসংখ্যক গরিব মানুষ। নিঃস্বায়নের সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
আইলা যখন আঘাত হানল, তখন দেখা গেল নোনাপানি ঢোকানোর জন্য বাঁধের অসংখ্য ছিদ্রপথের কারণে তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে গেল। তারপর তা দ্রুত পুনর্নির্মাণ করা গেল না কিছু স্বার্থবাদী মানুষের কারণে। ফলে দুই বছরেও দুর্গত মানুষের বিপুল অংশ ফিরতে পারছে না ঘরে। যাদের থাকারই জায়গা নেই, তারা কী করে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ জোগাবে?
অথচ সন্তানের দিকেই তাকিয়ে বাবা তাঁর ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনেন। এটাই মানুষের ইতিহাস। কিন্তু তাঁরা এখন নিতান্তই অসহায়।
দাকোপ উপজেলার গুনারি ইউনিয়নের দুটো ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণ সমাপ্ত করা যায়নি। পুনর্নির্মিত হয়নি বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরার বেড়িবাঁধও। অথচ গাবুরার কথা অনেকবার উঠেছে কোপ-১৫ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে।
আমাদের উপকূল-ভাগের মানুষের এই দুঃখের কারণ শুধু আমরা নই, উন্নয়নের পশ্চিমা মডেল সারা দুনিয়াকে যে জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে, সেটাও অনেকাংশে দায়ী। সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ছে মেরু বরফ আর পর্বতশিখরের বরফ গলছে বলে। আর তা গলছে বিশ্বের গড় উষ্ণতা বাড়ার কারণে। মানুষের ভোগবিলাসের জোগান দিতে গিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির অমিত ব্যবহার, নানাবিধ ক্ষতিকর গ্যাসের উদিগরণ, ওজনস্তরে ছিদ্র এসবের কারণ।
কারণ যা-ই হোক, আসল কথা হলো, আমাদের দক্ষিণ-পশ্চিম জনপদের এক বিপুলসংখ্যক মানুষ আজ জলবায়ু উদ্বাস্তু। তাদের ভবিষ্যতের দায় কে গ্রহণ করবে?
সামাজিক দায় পরিশোধের অঙ্গীকার নিয়ে ইকরাম, আশীষ, বিপুল, ফরহাদ, দেবব্রত, বিশ্বজিৎ, সমীরণদের পাশে তো আমাদের কাউকে না কাউকে দাঁড়াতেই হবে। যেন ওরা ভাবতে শেখে, এই গরিব দেশের মানুষই আর্তের পাশে থাকে চিরকাল।
আমিরুল আলম খান: শিক্ষাবিদ।
Amirulkhan7@gmail.com
No comments