নগরবাসীর জানমালের প্রশ্নে কোনো গাফিলতির সুযোগ নেই-রাজধানীতে ছিনতাই বৃদ্ধি
কিছুদিন ধরে ঢাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। শনিবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আর এ সময়ে ছিনতাইকারীদের হাতে আহত হয়ে অন্তত ৫০ জন ব্যক্তি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন।
এসব দুর্বৃত্তের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী।
বিদেশি নাগরিক ও পর্যটকেরাও ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এদের দৌরাত্ম্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কোরীয় রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়েছেন। বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা না দিতে পারলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তাই এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে।
ছিনতাই, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি বা চাঁদাবাজির মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আইনশৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই জনগণের প্রধান ভরসাস্থল। মানুষজন যেন নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে, তার ন্যূনতম নিশ্চয়তা বিধান করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। এ কারণে ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা মহানগর পুলিশি ব্যবস্থার দুর্বলতা বা গাফিলতিরই প্রকাশ। রাজধানীর কতগুলো চিহ্নিত স্থানে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনা চলতেই থাকবে, এটা তো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই কিছু ভাসমান অপরাধীর কাছে সাধারণ নগরবাসীর অসহায়ত্ব দূর করতে পুলিশ প্রশাসনকে সব সময় সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
রাজধানীতে কারা নানা রকম দুর্বৃত্তপনার সঙ্গে জড়িত, তা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের অজানা নয়। ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বরত পুলিশকে সক্রিয় ও ত্বরিত ভূমিকা নিতে হবে। তারা কঠোর নজরদারি-ব্যবস্থা জারি রাখতে সমর্থ হলে এসব অপরাধ বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। রাজধানীর যে ২৫০টি স্থানে নিয়মিত ছিনতাই হচ্ছে, সেসব জায়গার দিকে বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজনে এ ধরনের দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশের আরও অনেক ভাসমান দল গঠন করা উচিত। পুলিশের লোকবলের অভাব বা অন্য কোনো কারণ দেখিয়ে নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতার পক্ষে প্রকারান্তরে সাফাই গাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো পরিস্থিতিতেই ছাড় দেওয়ার বা গাফিলতির সুযোগ নেই। পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ না থাকলে এই বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নীতিনির্ধারকদের নিতে হবে।
বিদেশি নাগরিক ও পর্যটকেরাও ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এদের দৌরাত্ম্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কোরীয় রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়েছেন। বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা না দিতে পারলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তাই এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে।
ছিনতাই, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি বা চাঁদাবাজির মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আইনশৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই জনগণের প্রধান ভরসাস্থল। মানুষজন যেন নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে, তার ন্যূনতম নিশ্চয়তা বিধান করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। এ কারণে ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা মহানগর পুলিশি ব্যবস্থার দুর্বলতা বা গাফিলতিরই প্রকাশ। রাজধানীর কতগুলো চিহ্নিত স্থানে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনা চলতেই থাকবে, এটা তো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই কিছু ভাসমান অপরাধীর কাছে সাধারণ নগরবাসীর অসহায়ত্ব দূর করতে পুলিশ প্রশাসনকে সব সময় সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
রাজধানীতে কারা নানা রকম দুর্বৃত্তপনার সঙ্গে জড়িত, তা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের অজানা নয়। ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বরত পুলিশকে সক্রিয় ও ত্বরিত ভূমিকা নিতে হবে। তারা কঠোর নজরদারি-ব্যবস্থা জারি রাখতে সমর্থ হলে এসব অপরাধ বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। রাজধানীর যে ২৫০টি স্থানে নিয়মিত ছিনতাই হচ্ছে, সেসব জায়গার দিকে বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজনে এ ধরনের দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশের আরও অনেক ভাসমান দল গঠন করা উচিত। পুলিশের লোকবলের অভাব বা অন্য কোনো কারণ দেখিয়ে নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতার পক্ষে প্রকারান্তরে সাফাই গাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো পরিস্থিতিতেই ছাড় দেওয়ার বা গাফিলতির সুযোগ নেই। পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ না থাকলে এই বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নীতিনির্ধারকদের নিতে হবে।
No comments