প্রতিক্রিয়া-প্রধানমন্ত্রী আইলা-দুর্গতদের দেখতে যাচ্ছেন, তবে
৪ জুলাই প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি খবর আমাদের খুশি করেছে, আশান্বিত করেছে। আমরা জেনেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইলা-দুর্গত অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে গৃহনির্মাণের জন্য অর্থ বিতরণ করতে ওই অঞ্চল সফরে যাচ্ছেন। এই সফর-সিদ্ধান্তের জন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পাঠক, নিশ্চয়ই স্মরণে আছে, ২০০৯ সালের ২৫ মে উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আইলা আঘাত করেছিল। ২০০৭ সালে সিডরের আঘাতের মাত্র ২০ মাস পর দ্বিতীয় এই মহাদুর্যোগে উপকূলের অর্থনীতি, অবকাঠামো, জীবিকা, কৃষি, প্রতিবেশ মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই আইলার আঘাত যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়। আইলায় প্রায় ১৭০ জন মানুষ প্রাণ হারায়, ক্ষতি হয় কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ১১ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আমরা ৮-৯ এপ্রিল আইলা-দুর্গত অঞ্চল সফর করি এবং ফিরে এসে ২৪ এপ্রিল প্রথম আলোয় কলাম লিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের বিরোধী দলের নেত্রীকে ওই অঞ্চল সফর করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। কারণ সেখানকার কষ্টপীড়িত মানুষ চাচ্ছিলেন, জাতীয় নেতারা তাঁদের দুর্দশার চিত্র স্বচক্ষে দেখে আসুন। আমরা আনন্দিত, প্রধানমন্ত্রী বিলম্বে হলেও মানুষের সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেখানে যাচ্ছেন। আমরা আশা করব, মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রীও দুর্গত এলাকা সফর করবেন এবং মানুষের দুদর্শা লাঘবে সরকারের ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টি করবেন।
প্রিয় পাঠক, আমরা চাইলেও এখনই এ ধরনের দুর্যোগ ঠেকাতে পারব না, তবে দুর্যোগ-পরবর্তী ব্যবস্থাপনার কাজটি যে দক্ষতা, ক্ষিপ্রতা আর আন্তরিকতার সঙ্গে করা উচিত তা আমরা করতে পারিনি। সে ধরনের প্রস্তুতিও আমাদের ছিল না, যদিও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়। আর সমস্যাটি এখানেই। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে সিডর যখন আঘাত হানে তখন বাংলাদেশে একটি অনির্বাচিত সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায়। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, সিডর আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৎকালীন সরকারপ্রধান ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপদ্রুত অঞ্চলে ছুটে গিয়েছিলেন, তাদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনে সব রকমের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও দ্রুত সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিল। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর রাষ্ট্র কিংবা সরকারপ্রধানের সহায়তার প্রতিশ্রুতি মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আইলা আঘাত হানার পর আমাদের সরকার কিংবা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দুর্গত মানুষের কাছে কেউ যায়নি। আইলা-দুর্গত মানুষের দুর্ভোগের খবর আর পুনর্বাসনের ব্যর্থতা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ গত এক বছর ধরে গণমাধ্যমে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, অন্য কোনো দুর্যোগ-পুনর্বাসন-কাজের ব্যর্থতার চিত্র এভাবে গণমাধ্যমে আসেনি।
আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, আবার যথারীতি তা ভঙ্গও করা হয়েছে। পত্রিকায় দেখেছি, মানুষের দুর্ভোগ আর প্রশ্নবিদ্ধ পুনর্বাসন-তৎপরতা দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কাজে গতি আনতে নির্দেশনা দিয়েছেন, যদিও এতে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি, মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। সমপ্রতি ঢাকার এক অনুষ্ঠানে পানিসম্পদমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, এবারের বর্ষা মৌসুমে আইলার কারণে বাস্তুচ্যুত ৭০ হাজার লোক তাদের বাড়িঘরে ফিরতে পারবে না, যদিও প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। মন্ত্রী এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন, যদিও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও পুনর্বাসনকাজে বিশেষ করে বাঁধ নির্মাণে শৈথিল্য প্রদর্শনের আভিযোগ পানিসম্পদমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও সমাজের নানা প্রান্ত থেকে এখনো তোলা হচ্ছে।
বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে পুনর্বাসনকাজে স্বচ্ছতা, গতিশীলতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করে মানুষকে তাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে নানা সভা-সমাবেশে দাবি জানানো হয়েছে। পুনর্বাসনকাজের সার্বিক চিত্র পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা সংবাদ সম্মেলনে, সভা-সমাবেশে এবং গত ২৪ এপ্রিল প্রথম আলোয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সংসদের বিরোধী দলের নেত্রীকে ওই অঞ্চল সফর করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। দেশের একটি অঞ্চলের তিন লক্ষাধিক মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিপন্নতার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে, যারা সম্বলহীন, মাথার ওপরে খোলা আকাশ, ঘরে খাবার নেই, যাদের এক কলসি খাবার পানি সংগ্রহের জন্য ৮-১০ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়, যেখানে অর্ধলক্ষ মানুষ তাদের ভিটেমাটি ছেড়ে অজানার পথে পা বাড়িয়েছে, শহরের বস্তি কিংবা ফুটপাতে যারা ঠাঁই নিয়েছে, যেখানে অতিলাভের আশায় একশ্রেণীর চিংড়িচাষি উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে চাষের জমিকে লবণ-জর্জরিত পোড়ামাটিতে কীভাবে পরিণত করেছে তা দেখতে আমাদের জাতীয় অভিভাবকদের ওই অঞ্চল সফরে যাওয়া উচিত বলে আমরা মনে করেছি।
আমরা কৃতজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রী অবশেষে মানুষের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেখানে যাচ্ছেন। আমরা চাইব, তাঁর এই পরিদর্শন যেন শুধু আনুষ্ঠানিকতা-সর্বস্ব না হয়। নিছক পরিদর্শনের জন্য পরিদর্শন নয়, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আমরা তাঁর কাছে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরছি, এবং দাবি করছি, পরিদর্শনকালে বিষয়গুলোকে তিনি গুরুত্ব দেবেন: ১. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত সুপেয় পানি সরবরাহ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে, ২. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় সামগ্রিক কৃষিসংস্কার কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে, ৩. চাষের জমিতে লবণপানি তোলা বন্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে, ৪. যেকোনো উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করতে হবে, ৫. অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ বন্ধ করতে হবে, ৬. বাঁধ নির্মাণ ও তদারকের জন্য স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে এবং ৭. পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
লেখকবৃন্দ: মানবাধিকারকর্মী, পানি প্রকৌশলী, আইনজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
প্রিয় পাঠক, আমরা চাইলেও এখনই এ ধরনের দুর্যোগ ঠেকাতে পারব না, তবে দুর্যোগ-পরবর্তী ব্যবস্থাপনার কাজটি যে দক্ষতা, ক্ষিপ্রতা আর আন্তরিকতার সঙ্গে করা উচিত তা আমরা করতে পারিনি। সে ধরনের প্রস্তুতিও আমাদের ছিল না, যদিও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়। আর সমস্যাটি এখানেই। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে সিডর যখন আঘাত হানে তখন বাংলাদেশে একটি অনির্বাচিত সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায়। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, সিডর আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৎকালীন সরকারপ্রধান ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপদ্রুত অঞ্চলে ছুটে গিয়েছিলেন, তাদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনে সব রকমের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও দ্রুত সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিল। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর রাষ্ট্র কিংবা সরকারপ্রধানের সহায়তার প্রতিশ্রুতি মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আইলা আঘাত হানার পর আমাদের সরকার কিংবা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দুর্গত মানুষের কাছে কেউ যায়নি। আইলা-দুর্গত মানুষের দুর্ভোগের খবর আর পুনর্বাসনের ব্যর্থতা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ গত এক বছর ধরে গণমাধ্যমে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, অন্য কোনো দুর্যোগ-পুনর্বাসন-কাজের ব্যর্থতার চিত্র এভাবে গণমাধ্যমে আসেনি।
আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, আবার যথারীতি তা ভঙ্গও করা হয়েছে। পত্রিকায় দেখেছি, মানুষের দুর্ভোগ আর প্রশ্নবিদ্ধ পুনর্বাসন-তৎপরতা দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কাজে গতি আনতে নির্দেশনা দিয়েছেন, যদিও এতে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি, মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। সমপ্রতি ঢাকার এক অনুষ্ঠানে পানিসম্পদমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, এবারের বর্ষা মৌসুমে আইলার কারণে বাস্তুচ্যুত ৭০ হাজার লোক তাদের বাড়িঘরে ফিরতে পারবে না, যদিও প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। মন্ত্রী এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন, যদিও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও পুনর্বাসনকাজে বিশেষ করে বাঁধ নির্মাণে শৈথিল্য প্রদর্শনের আভিযোগ পানিসম্পদমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও সমাজের নানা প্রান্ত থেকে এখনো তোলা হচ্ছে।
বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে পুনর্বাসনকাজে স্বচ্ছতা, গতিশীলতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করে মানুষকে তাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে নানা সভা-সমাবেশে দাবি জানানো হয়েছে। পুনর্বাসনকাজের সার্বিক চিত্র পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা সংবাদ সম্মেলনে, সভা-সমাবেশে এবং গত ২৪ এপ্রিল প্রথম আলোয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সংসদের বিরোধী দলের নেত্রীকে ওই অঞ্চল সফর করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। দেশের একটি অঞ্চলের তিন লক্ষাধিক মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিপন্নতার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে, যারা সম্বলহীন, মাথার ওপরে খোলা আকাশ, ঘরে খাবার নেই, যাদের এক কলসি খাবার পানি সংগ্রহের জন্য ৮-১০ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়, যেখানে অর্ধলক্ষ মানুষ তাদের ভিটেমাটি ছেড়ে অজানার পথে পা বাড়িয়েছে, শহরের বস্তি কিংবা ফুটপাতে যারা ঠাঁই নিয়েছে, যেখানে অতিলাভের আশায় একশ্রেণীর চিংড়িচাষি উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে চাষের জমিকে লবণ-জর্জরিত পোড়ামাটিতে কীভাবে পরিণত করেছে তা দেখতে আমাদের জাতীয় অভিভাবকদের ওই অঞ্চল সফরে যাওয়া উচিত বলে আমরা মনে করেছি।
আমরা কৃতজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রী অবশেষে মানুষের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেখানে যাচ্ছেন। আমরা চাইব, তাঁর এই পরিদর্শন যেন শুধু আনুষ্ঠানিকতা-সর্বস্ব না হয়। নিছক পরিদর্শনের জন্য পরিদর্শন নয়, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আমরা তাঁর কাছে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরছি, এবং দাবি করছি, পরিদর্শনকালে বিষয়গুলোকে তিনি গুরুত্ব দেবেন: ১. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত সুপেয় পানি সরবরাহ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে, ২. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় সামগ্রিক কৃষিসংস্কার কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে, ৩. চাষের জমিতে লবণপানি তোলা বন্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে, ৪. যেকোনো উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করতে হবে, ৫. অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ বন্ধ করতে হবে, ৬. বাঁধ নির্মাণ ও তদারকের জন্য স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে এবং ৭. পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
লেখকবৃন্দ: মানবাধিকারকর্মী, পানি প্রকৌশলী, আইনজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
No comments