অরণ্যে রোদন-কেন এই নিষ্ঠুরতা by আনিসুল হক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে সম্প্রতি যে হানাহানি কাণ্ড ঘটে গেছে, একাধিক কাগজে তার ছবি দেখে স্তব্ধ হয়ে গেছি। একটা ছবি তো খুবই মর্মান্তিক। সবুজ ঘাসের গালিচায় এলোমেলোভাবে পড়ে আছেন কয়েকজন তরুণ। তাঁদের নাকি হলের তিন তলা ও চার তলার ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।


হয়তো কেউ কেউ ভয়ে নিজেই লাফ দিয়ে থাকতে পারেন। ভয়ের মাত্রাটা তাহলে কত তীব্র ছিল! যাঁরা আক্রমণ করেছেন, আর যাঁরা আক্রান্ত, তাঁরা সবাই ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রধানত একই বর্ষের ছাত্র তাঁরা। এবং আশ্চর্য যে তাঁরা একই মতাদর্শের অনুসারী, একটাই সংগঠন তাঁদের—ছাত্রলীগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্র ঢোকেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করার পর। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্র যান আলোকিত হতে, শিক্ষাদীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের মতো মানুষ হতে। তাঁদের চোখে তো থাকবে স্বপ্নের আলোর ঝলকানি, তাঁদের হূদয়ে টগবগ করবে দেশপ্রেম, মানবপ্রেম। হয়তো নিজের পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা। এই বয়সের তরুণেরা শরৎচন্দ্রের দেবদাস পড়ে কাঁদবেন, সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী দেখে কয়েক রাত ঘুমুতে পারবেন না। আমি যখন বুয়েটে পড়ি, তখন এক শীতের রাতে আমার বন্ধুকে দেখেছিলাম কাঁদতে কাঁদতে হলে ফিরছে। কেন? পথের ধারে খোলা রাস্তায় সে একটা পরিবারকে শীতে কষ্ট পেতে দেখেছে। হলে এসে তার লেপটা নিয়ে সে ছুটে গিয়েছিল ওই ফুটপাতে। এই না হওয়ার কথা একজন তরুণের, একজন শিক্ষার্থীর। সেই তরুণেরা কী করে পারেন বড় বড় চাপাতি হাতে, লোহার রড হাতে সহপাঠীর ওপর চড়াও হতে? বিরাটকায় উন্মুক্ত ভোজালির কোপের পর কোপ তাঁরা কী করে বসাতে পারেন আরেকজন বন্ধুর শরীরে? ছাত্ররাজনীতি তো আগেও ছিল, কিন্তু এই নিষ্ঠুরতার উৎস কী? আর দলবদ্ধ জিঘাংসার কারণ কোথায় নিহিত? পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে একদল আবাসিক ছাত্র মন্টু-পিন্টু গ্রুপ, সভাপতি গ্রুপ, সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ নাম ধারণ করে নিজেদের মধ্যে বিভক্তি গড়ে তোলে, আর আবাসিক হলে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র আদিম প্রস্তর যুগোচিত বর্বর ভ্রাতৃঘাতী লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে! আমরা কি মানুষ নই? আমরা কি সভ্য নই?
এই শিক্ষার্থীদেরও ভাইবোন আছে। বাবার স্নেহ, মায়ের আদর তো এঁদেরও মাথার ওপরে ছায়ার মতো বিরাজ করে! স্কুলের পরীক্ষায় ভালো ফল করার পর এঁদের বাড়িতেও তো আনন্দের ঢেউ বয়ে গেছে। তাহলে এঁরা এত নিষ্ঠুর হলেন কী করে বা এঁরা এত নিষ্ঠুরতার শিকারই বা হলেন কী করে?
এমনিতেই সমাজ হিসেবে আমরা কি একটা আদিম স্তরে রয়ে গেছি? টোটেমভুক্ত সমাজ আমাদের? কথায় কথায় আমরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ি, একজন কেউ বাসচাপা পড়লে পুরো রাস্তার সব গাড়ি ভাঙচুর করতে নেমে যাই—আমরা এ রকম কেন? রাস্তার বিক্ষুব্ধ জনতা বা শোষণে-বঞ্চনায় পিঠ ঠেকে যাওয়া শ্রমজীবী মানুষের মারমুখী হয়ে যাওয়ারও একটা ব্যাখ্যা থাকে। বিলেতেও ফুটবল খেলা নিয়ে ভাঙচুর হয়, দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অমৃতস্য পুত্র ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে প্রাণঘাতী, অঙ্গহানিকর সংঘাত-সংঘর্ষ আমার প্রাণে সয় না।
কেন আমরা এই রকম উচ্ছৃঙ্খল, উন্মত্ত, জিঘাংসু, সহিংস, ধ্বংসপরায়ণ? কেন আমারই কোপে একজন মৃত্যুশয্যায় পড়ে থাকবে হাসপাতালে? কেন চার তলা থেকে পড়ে যাওয়া একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রইবে হাসপাতালে? কেন কোমরের হাড় ভেঙে বিছানায় পড়ে রইবে একজন ছাত্র?
বেশ কয়েক বছর আগে জাহাঙ্গীরনগরেরই কতিপয় ছাত্রছাত্রী একটা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। তাদের চিকিৎসার তহবিল গঠনের জন্য তৎপর হয়েছিলেন জাহাঙ্গীরনগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একজন ছাত্রকে বাঁচানোর জন্য, সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য কত কষ্টই না করেছিলেন ওই তরুণেরা! আমরাও ঢাকা থেকে, প্রথম আলো থেকে এই উদ্যোগে নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলাম। একটা প্রাণও কত মূল্যবান! একজনের সুস্থতা ফিরিয়ে আনাও কত উদ্যোগসাপেক্ষ, খরচসাপেক্ষ! তরুণেরা জীবনের পক্ষে সুস্থতার পক্ষে এ ধরনের কঠিন কাজেও ঝাঁপিয়ে পড়বেন সানন্দে। অথচ তার বদলে কী দেখছি! একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ব্যাচের একই ছাত্রসংগঠনের একদল ছাত্র আরেক দলের ওপর বড় বড় চাপাতি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
আমি কিছুতেই এটা মেনে নিতে পারছি না। আমাদের সমাজবিজ্ঞানীরা, মনোবিজ্ঞানীরা, অপরাধবিজ্ঞানীরা বলুন, এই সম্মিলিত উন্মত্ততার পেছনে কী গভীর গভীরতর অসুখ কাজ করছে এই সমাজের?
আমি জনে জনে জিজ্ঞাসা করেছি এই প্রশ্ন। কেউ বলেছেন, এই অধঃপতনের কারণ আদর্শের অভাব। ১৯৯০-এর পর এই দেশের ছাত্ররাজনীতিতে ন্যূনতম আদর্শবোধও আর অবশিষ্ট নেই। এটা কেবল ছাত্ররাজনীতির সমস্যা নয়, আমাদের জাতীয় চরিত্রই এখন হয়ে গেছে লুণ্ঠনতন্ত্র, সমানে যা পারো লুটে নাও, শুষে নাও। যে যেভাবে পারে, বড়লোক হতে চায়। কোনো আইনকানুন বিধিনিষেধের তোয়াক্কা কারও করতে নেই। কোথায় সে আদর্শবাদী নেতা, যিনি নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দেবেন মানুষের ভালোর জন্য, আর নিজে যাপন করবেন নিঃস্ব-রিক্ত জীবন! কোথায় সে আদর্শবাদী শিক্ষক, চিকিৎসক, লেখক! সবারই গাড়ি চাই, বাড়ি চাই। একটা জমি বেদখল করে ১০০টা দোকান বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে ১০ কোটি টাকা আয় করার পর সরকার বলল, ওই ভবন অবৈধ। তাতে ক্রেতারা মাথার চুল ছিঁড়তে পারে, কিন্তু যার পকেটে টাকা ঢুকেছে, তার তো কিছুই হয় না। নদী দখল করে, মাঠঘাট দখল করে বিক্রি করতে পারলেই টাকা। সেই দখলে সাহায্য করতে পারলেও টাকা। আর চাঁদাবাজি! ১০০ জনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা করে নিতে পারলেই তো এক কোটি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন মেধাবী ছাত্র খুন হলেন, তিনি ছিলেন ছাত্রলীগের নেতা। খুনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগেরই একজন সাবেক নেতার বিরুদ্ধে। এর পেছনে নাকি ছিল মেডিকেল কলেজের দোকানপাট, টেন্ডার, অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা থেকে রোজ হাজার হাজার টাকার চাঁদার বখরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক হানাহানির পেছনেও নাকি এলাকার জমি দখল, ঠিকাদারি ইত্যাদি থেকে আদায় করা চাঁদার বিপুল অঙ্কই আসল কারণ হিসেবে সক্রিয়। হ্যাঁ, এই তাহলে আমাদের ছাত্ররাজনীতি! এই তাহলে আমাদের ছাত্রনেতাদের কাজ! আর তাঁদেরই আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করে চলেছেন, মারামারি, দ্বন্দ্ব-সংঘাতে মত্ত কর্মীরা।
শুধু কি জাহাঙ্গীরনগর? সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ নামধারীরা লিপ্ত রয়েছে বিচিত্র ধরনের হানাহানিতে, সৃষ্টি করে চলেছে নৈরাজ্য। অবস্থা এমন যে পত্রিকায় খবর ছাপা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের ওপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ। তিনি ছাত্রলীগের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নাকি রাখবেন না! আর আওয়ামী লীগের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মাত্র সেদিন সংবাদ সম্মেলনে বলে দিয়েছেন, ছাত্রলীগ এখন আর আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন নয়, ছাত্রলীগসংক্রান্ত কোনো প্রশ্নের জবাব আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে তিনি দেবেন না। সর্বনাশ! এমনিতেই ছাত্রলীগের নানা অপকর্মে জনজীবন ও শিক্ষাঙ্গন জর্জরিত, তার ওপর যদি আওয়ামী লীগের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক এদের মহান কর্মকাণ্ডের দায়দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন, তাহলে এই পাগলা ঘোড়াকে কে সামলাবে?
সত্যি যদি ছাত্রলীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগ তথা সরকার সম্পর্ক ছিন্ন করত, তাহলে কত ভালোই না হতো! এটাই না হয় ভালোভাবে করুন। ছাত্রলীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সব সম্পর্ক প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ছিন্ন করুক। ছাত্রলীগের কোনো অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতারা যাবেন না, ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা কোনো রকমের সম্পর্ক রাখবেন না, ছাত্রলীগের পোস্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবি, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাপানো নিষিদ্ধ ঘোষিত হবে। এর পরের কাজ হবে আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া। এটা অবশ্য সরকারের ঘোষিত ও প্রচারিত নীতি। অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাহলে ছাত্রলীগের নাম করে যারা চাঁদাবাজি, হানাহানি, খুনোখুনি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি কঠোর হতো, নিরপেক্ষ হতো, নীতিনিষ্ঠ হতো, তাহলে এই নিষ্ঠুরতা, এই ধ্বংসযজ্ঞ, এই শিক্ষা-সমাজ-মনুষ্যত্ববিরোধী কর্মকাণ্ড ক্যানসারের মতো ছড়িয়ে পড়ত না। শিক্ষকেরাও দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, আর তাঁরাও ছাত্রদের ছাত্র হিসেবে না দেখে বিচার করেন দলীয় পরিচয় দিয়ে। এই ভেদবুদ্ধি ও দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে শিক্ষকদের উঠতে পারতে হবে। সেটা কেউই চেষ্টা করেন না। নেতারা করেন না, মন্ত্রীরা করেন না, প্রশাসন করে না, পুলিশ করে না, শিক্ষকেরা করেন না। ফলে এই ছাত্রনেতা নামধারী দুর্বৃত্তরা হয়ে উঠেছে বেপরোয়া, ফ্রাংকেনস্টাইন-সৃষ্ট দানবের মতোই সে এখন তার নির্মাতাকেই ধ্বংস করতে উদ্যত।
এরা কেবল নিজেদের চরিত্র ধ্বংস করছে, তা নয়; ধ্বংস করছে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ, ফলে এরা ধ্বংস করছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। এদের নিবৃত্ত করতেই হবে।
ছাত্রলীগ কেউ নয় আওয়ামী লীগের—এ কথা বলে যেমন পার পাওয়া যাবে না, তেমনি সমস্যার সমাধানও হবে না। ছাত্রলীগের দায়িত্ব দায়িত্বশীল মহলকেই নিতে হবে। ছাত্রদের সামনে, তরুণদের সামনে ইতিবাচক স্বপ্ন আর কাজ দিতে হবে। তারুণ্যের বাঁধভাঙা শক্তিকে দেশের কল্যাণে কাজে লাগানোর মতো কর্মসূচি দিতে হবে জাতীয় নেতৃত্বকে, বাংলাদেশের রূপকারদেরই। কিন্তু এই বিশাল শক্তিটা যদি ছেড়ে দেওয়া ষাঁড়ের মতো মালিকবিহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়ায়, তাহলে সে বন-বাগান-জনবসতি সব তছনছ করবেই।
এত কথা বলছি, কিন্তু শুরু করেছি যে দুঃখবোধ, যে জিজ্ঞাসা, যে দুশ্চিন্তা থেকে, তার কোনো উত্তর পাচ্ছি না। আমাদের তারুণ্য কেন এত নিষ্ঠুর, কেন এত ধ্বংসপ্রবণ হয়ে উঠল? কেন তারা হয়ে উঠল ভ্রাতৃঘাতী? বন্ধুঘাতী? সমাজজীবনের সার্বিক দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতিকেই একমাত্র নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা, আদর্শহীনতা, আইনের শাসনহীনতা, স্বপ্নহীনতা—সবটাই হয়তো দায়ী। কিন্তু এই অবস্থা যে চলতে পারে না, সেটা তো সবাই উপলব্ধি করেন। নাকি সেই বোধ, সেই উপলব্ধিও আমাদের মধ্যে কাজ করছে না? আমরা ভাবছি যে সবকিছু যে রকম চলার কথা, সেই রকমই তো চলছে।
সে ক্ষেত্রে চিৎকার করে বলব, এ রকম চলার কথা নয়। আমরা ভালো কিছু চেয়েছিলাম, ভালো কিছু চাই। আমাদের তারুণ্যকে আমরা গঠনমূলক কাজে সৃষ্টিশীলতার কর্মযজ্ঞে আলোকের পথে সংগ্রামরত অবস্থায় দেখতে চাই; খুনখারাবি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, দখল, নারীনির্যাতনের অন্ধকারে নিমগ্ন দেখতে চাই না।
এই দেশে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া যখন কিছুই হয় না, তখন তারুণ্যের সামনে স্বপ্ন ও কর্মযজ্ঞ সৃষ্টির রূপকল্পটাও এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই চাই। সেটা করতে হলে যেমন চাই স্বপ্ন ও সৃষ্টিশীলতা, তেমনি চাই কঠোরতা। সেই কঠোরতা নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে, নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে, আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.