২ দশক পর নির্বাচনে সুচি
মানবজমিন ডেস্ক: মিয়ানমারে সরকার ২০১২ সালের ১লা এপ্রিল উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচি’র রাজনৈতিক দল দীর্ঘ দুই দশক পর মিয়ানমারের রাজনীতিতে অংশ নিতে যাচ্ছে। শুক্রবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে নির্বাচনের এ তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগেই সুচি এবং তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এ নির্বাচনে তারা প্রত্যেকটি আসনেই প্রার্থী দেবেন। জানা গেছে, এপ্রিলে অন্ততপক্ষে ৪৮টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে নিম্ন্নকক্ষে ৪০টি, উচ্চকক্ষে ৬টি ও আঞ্চলিক পার্লামেন্টে ২টি আসনে নির্বাচন হবে। এর আগে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য না হওয়ায় গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে শান্তিতে নোবেল জয়ী গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সুচি’র ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) অংশ নেয়নি। এমন কি ওই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতাও তারা মানেনি। এ কারণে এনএলডিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে নতুন ও দৃশ্যত বেসামরিক সরকার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংস্কার আনার পর এনএলডি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হতে আগ্রহী হয়। সুচি’র দলের এক কর্মকর্তা নিয়ান উইন জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন এখনও আবেদনপত্রের প্রক্রিয়াকরণ শেষ করেনি। এটা শেষ হলেই এনএলডি’র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। তবে তিনি জানান, সুচি (৬৬) তার নিজ এলাকা কাওমুর (ইয়াংগুনের প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত) থেকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মিয়ানমার পার্লামেন্টের এক চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রয়েছে এবং সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী একটি দল ২০১০ সালের নির্বাচনে বেশির ভাগ আসনে জয়ী হয়েছে। শূন্য হওয়া ৪৮টি আসনের এমপিরা মন্ত্রী হয়ে যাওয়ার কারণে এসব আসনে এখন উপ-নির্বাচন দেয়া হচ্ছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পার্লামেন্টে ৮০ ভাগ আসন দখল করে আছে। এখন মাত্র ৪৮টি আসনের উপ-নির্বাচনে সব ক’টিতে সুচি’র দল জিতলেও ক্ষমতার ভারসাম্যে এনএলডি কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী দলগুলোকে ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রার্থিতার মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়।
No comments