গোধূলির ছায়াপথে-যারে তুমি পিছে ফেল... by মুস্তাফা জামান আব্বাসী
আফগানিস্তান আমেরিকার দুঃস্বপ্ন নয় শুধু, পৃথিবীরও। ডিজিটাল ট্রিগার টিপে যেদিন শুরু হয় ধ্বংসযজ্ঞ, সেদিন থেকে নিরুপায় আমি আমার গানের ঘরে আশ্রয় নিয়েছি। কী-ই বা আমার করার আছে? শুনছি আফগানিস্তানের লোকবাদ্যের ও লোকসংগীতের অ্যালবামগুলো। এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম সোভিয়েত ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সংগীতসভায়।
আফগানিস্তানের লোকসংগীত ও বাদ্যযন্ত্রগুলো সর্বপ্রাচীনদের সমগোত্রীয়। মন চলে যায় হাজার বছর পেছনে। তাদের দেশের সহজ-সরল কজন শিল্পী ও বোদ্ধার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। তাঁরা আজ বেঁচে আছেন কি না জানি না। গানগুলো বেঁচে আছে আমার স্টুডিওতে। যখন অসহযোগ আন্দোলন চলছে, গুরুদেবকে জিজ্ঞেস করা হলো, সবাই পথে পথে, আর আপনি রচনা করছেন বসন্তের নৃত্যনাট্য, এ কেমন কথা? কবি বললেন, ‘আমি কবিতা রচনা জানি, আর কিছু নয়। আমার ভালোবাসাই আমার প্রতিবাদ।’
মার্কিন জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টাল বজ্রহুংকারি। তিনি ও তাঁর বিশেষ বাহিনীর দায়িত্ব আফগানিস্তানের ধূসর পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা দুর্বল সৈন্যদলকে ধূলিসাৎ করা। লাদেনের সৈন্যরা যেভাবে বৌদ্ধ-সভ্যতার নিদর্শনকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। ম্যাকক্রিস্টালের ‘মাফিয়া’ খানিকটা শক্তি সঞ্চয় করে। দুর্বলদের সবল হুংকারে আবার নেতিয়ে পড়ে। ম্যাকক্রিস্টাল হোয়াইট হাউসের (সফেদ মহল) বিরুদ্ধে মন্তব্যে সোচ্চার হলে নিজের জালে নিজেই হন বন্দী। চতুর রাজনীতিসচেতন জেনারেল ডেভিড পেট্রিয়াস তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা রকেটলঞ্চারধারী তালেবান জঙ্গিদের হত্যাযজ্ঞে তিনি প্রমাণ করলেন তাঁর যোগ্যতা। গত সপ্তাহে পেট্রিয়াস আবির্ভূত হন নতুন ভূমিকায়। তিনি জানালেন, আফগানিস্তানে তিনিই ওড়াবেন জয়ের পতাকা, এতে কোনো ভুল নেই। কোটি কোটি ডলার খরচ হয়েছে। এক হাজারের বেশি মার্কিন তরুণ রক্ত ঢেলে দিয়েছেন ধূসর পাহাড়ে পাহাড়ে, যেখানে ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে নামকরা সুফি সাধকদের আস্তানা। পেট্রিয়াস জানেন না জয়ের মর্ম। পড়েননি নজরুল: ‘তোমরা ভয় দেখিয়ে করছ শাসন জয় দেখিয়ে নয়/ সেই ভয়ের টুঁটি ধরব টিপে করব তারে লয়।’ দিগ্বিজয়ীদের এই লাইনটি শিখিয়েছেন রবিঠাকুর: ‘যারে তুমি পিছে ফেল, সে তোমারে টানিছে পশ্চাতে।’
আমেরিকার দীর্ঘতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধক্ষেত্র আফগানিস্তান। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লাইব্রেরিতে অধ্যয়ন করার সময় ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাঁরা বলেন, এতে ধনী দেশটির তেমন কিছুই হবে না। জিজ্ঞেস করলাম, করদাতারা যে প্রতি মাসে কোটি কোটি ডলার গুনছেন, তার খবর আছে? জানো কি, প্রেসিডেন্টের নতুন আদেশে যে ৩০ হাজার মার্কিন সেনা তাঁদের প্রিয়তমদের সান্নিধ্য ছেড়ে কাবুল-হেরাতে যাচ্ছেন তাতে খরচ আরও কোটি কোটি ডলার বাড়বে। এতে কি ‘জয়’ হবে? ইতিহাসের ছাত্র বলছে: হবে না।
অর্থনীতির ছাত্ররা পড়েছেন এ যুদ্ধে যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে, তাতে মার্কিন অর্থনীতি মুখ থুবড়ে না পড়লেও বিরাট দেনায় ডুবে আছে। ডুবে আছে দেনায় ও অদরকারি যুদ্ধে। অদরকারি কি না তার পরিপ্রেক্ষিত মার্কিন রাষ্ট্রচালকদের কাছে ভিন্ন। যারা যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করছি প্রতিদিন টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে, তারা গুনছি। কানাডিয়ানরা ২০১১ সালের মধ্যে খরচ করবে ১৮.১ বিলিয়ন ডলার। আফগানিস্তানের পেছনেই প্রতি কানাডীয় পরিবার গচ্ছা দিচ্ছে এক হাজার ৫০০ ডলার।
যুদ্ধ বাধানো না-বাধানোর এখতিয়ার কংগ্রেসের। জর্জ ডব্লিউ বুশ ও ওবামাকে তারা এ ক্ষমতা দিয়েছে। অক্ষমের মতো এ যুদ্ধকে অবলোকন করে যাই শুধু। প্রতিদিন প্রাণ দেয় শত আফগান। শত শত তরুণ মার্কিন তাঁদের বুকের রক্ত ঢেলে দিচ্ছেন মায়ের কোল খালি করে, বোনের কোল খালি করে, প্রিয়ার সান্নিধ্য উপেক্ষা করে। মার্কিন জনমত বুঝতে পারছে, এটি ছিল একটি ভুল পদক্ষেপ। ফিরে আসার পথ কতই না পিচ্ছিল। সৈনিকদের কেমন করে বোঝানো সম্ভব হবে, এ চিন্তায় আকুল প্রশাসন।
গত সপ্তাহে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল স্টিল থলের বেড়াল বের করে দিয়েছেন নিউইয়র্কের খোলা ব্রড স্ট্রিটে। ‘এ যুদ্ধ জয় হবে না’। যুদ্ধ ভালোবাসেন যাঁরা অর্থাৎ রিপাবলিকানরা স্টিলের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। স্টিলকে শূলে চড়াতে হবে। রিপাবলিকানরা অনেকেই ছিলেন সাবেক সৈন্য, যাঁরা বুশ ও ডিক চেনির মতো ভিয়েতনাম যুদ্ধের খেলায় অংশ নিয়েছিলেন একদিন।
এরিক মার্গলিস আমেরিকার পরিচিত কলামিস্ট (ওরা যুদ্ধশেষে আর আমরা গানশেষে কলামিস্ট হই)। আগে ছিলেন রিপাবলিকান। তিনি ফিরে এসে জানাচ্ছেন, ‘ভুল, সবই ভুল’। এটি একটি বাংলা গান বৈকি। মার্গলিস বলছেন, আফগানিস্তানে ও পাকিস্তানে এখন প্রতিদিন যে শত শত বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ দিচ্ছেন তাতে সাধারণ জনগণ বিগড়ে গেছে। রিপাবলিকানরা দুর্বল ও অজ্ঞ কণ্ঠের। ওবামা দাবি করছেন যে আল-কায়েদাকে নিশ্চিহ্ন করতেই আফগানিস্তানে এই সম্প্রসারিত যুদ্ধ, অথচ পেন্টাগন ভালো করেই জানে গুটি কয়েক আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি পাহাড়ে পাহাড়ে অতিবাহিত করছেন তাঁদের শেষ জীবন। তাঁরাও জয়ী হবেন না। আমেরিকান জনগণ এখন ওবামার কাছে আফগানিস্তান সম্পর্কে আসল সত্যটি জানতে আগ্রহী। ওবামা সত্যটি সম্পর্কে অবহিত। তাঁর সম্পর্কে আশাবাদী অনেকেই। বলতে পারছেন না আমার মতো করে, কারণ তিনি উচ্চাসনে। ইসরায়েল তাঁর কাঁধে। এখানেই সমস্যা।
পশতুন মানুষ ও কাবুলি রাইফেলধারীর সঙ্গে মিশেছি, ছবি তুলেছি। সহজ-সরল সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে দেখেছি। কাবুলিওয়ালা ও মিনি সব বাঙালির অন্তরে অমলিন। সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে বিদেশের আবদুর রহমানের পাগড়ির সফেদ রং ধুলায় ধূসরিত, হূদয়টি সফেদ। জয় করা সহজ, বিগড়ে গেলে জয় করা যাবে না। ৩০ বছর যুদ্ধের পর যুদ্ধক্লান্ত তাঁরা। হামিদ কারজাই সচেষ্ট তালেবান ও পাকিস্তানের সঙ্গে যেমন করেই হোক একটি রফা করতে। বাদ সাধছে আমেরিকা, অটোয়া ও তাজিক নর্দান অ্যালায়েন্স। স্টিল যে বক্তব্য দিয়েছেন, মার্কিন নাগরিকেরা তা গুরুত্বের সঙ্গে অধ্যয়ন করছেন।
আবার এরিক মার্গলিস ওবামার কাছেই আবেদন করেছেন। মার্গলিসের সঙ্গে যোগ করি:
প্রতি জাতির জন্য সময় নির্ধারিত। সমাধান হত্যায় নয়। বিদ্বেষের বিষ উৎপাটন করে বীজ লাগাতে হবে ভালোবাসার। পেছনে যাকে ফেলে এলাম, সামনে এগোতে দেবে না সে।
মুস্তাফা জামান আব্বাসী: লেখক ও সংগীতব্যক্তিত্ব।
mabbasi@dhaka.net
মার্কিন জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টাল বজ্রহুংকারি। তিনি ও তাঁর বিশেষ বাহিনীর দায়িত্ব আফগানিস্তানের ধূসর পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা দুর্বল সৈন্যদলকে ধূলিসাৎ করা। লাদেনের সৈন্যরা যেভাবে বৌদ্ধ-সভ্যতার নিদর্শনকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। ম্যাকক্রিস্টালের ‘মাফিয়া’ খানিকটা শক্তি সঞ্চয় করে। দুর্বলদের সবল হুংকারে আবার নেতিয়ে পড়ে। ম্যাকক্রিস্টাল হোয়াইট হাউসের (সফেদ মহল) বিরুদ্ধে মন্তব্যে সোচ্চার হলে নিজের জালে নিজেই হন বন্দী। চতুর রাজনীতিসচেতন জেনারেল ডেভিড পেট্রিয়াস তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা রকেটলঞ্চারধারী তালেবান জঙ্গিদের হত্যাযজ্ঞে তিনি প্রমাণ করলেন তাঁর যোগ্যতা। গত সপ্তাহে পেট্রিয়াস আবির্ভূত হন নতুন ভূমিকায়। তিনি জানালেন, আফগানিস্তানে তিনিই ওড়াবেন জয়ের পতাকা, এতে কোনো ভুল নেই। কোটি কোটি ডলার খরচ হয়েছে। এক হাজারের বেশি মার্কিন তরুণ রক্ত ঢেলে দিয়েছেন ধূসর পাহাড়ে পাহাড়ে, যেখানে ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে নামকরা সুফি সাধকদের আস্তানা। পেট্রিয়াস জানেন না জয়ের মর্ম। পড়েননি নজরুল: ‘তোমরা ভয় দেখিয়ে করছ শাসন জয় দেখিয়ে নয়/ সেই ভয়ের টুঁটি ধরব টিপে করব তারে লয়।’ দিগ্বিজয়ীদের এই লাইনটি শিখিয়েছেন রবিঠাকুর: ‘যারে তুমি পিছে ফেল, সে তোমারে টানিছে পশ্চাতে।’
আমেরিকার দীর্ঘতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধক্ষেত্র আফগানিস্তান। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লাইব্রেরিতে অধ্যয়ন করার সময় ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাঁরা বলেন, এতে ধনী দেশটির তেমন কিছুই হবে না। জিজ্ঞেস করলাম, করদাতারা যে প্রতি মাসে কোটি কোটি ডলার গুনছেন, তার খবর আছে? জানো কি, প্রেসিডেন্টের নতুন আদেশে যে ৩০ হাজার মার্কিন সেনা তাঁদের প্রিয়তমদের সান্নিধ্য ছেড়ে কাবুল-হেরাতে যাচ্ছেন তাতে খরচ আরও কোটি কোটি ডলার বাড়বে। এতে কি ‘জয়’ হবে? ইতিহাসের ছাত্র বলছে: হবে না।
অর্থনীতির ছাত্ররা পড়েছেন এ যুদ্ধে যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে, তাতে মার্কিন অর্থনীতি মুখ থুবড়ে না পড়লেও বিরাট দেনায় ডুবে আছে। ডুবে আছে দেনায় ও অদরকারি যুদ্ধে। অদরকারি কি না তার পরিপ্রেক্ষিত মার্কিন রাষ্ট্রচালকদের কাছে ভিন্ন। যারা যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করছি প্রতিদিন টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে, তারা গুনছি। কানাডিয়ানরা ২০১১ সালের মধ্যে খরচ করবে ১৮.১ বিলিয়ন ডলার। আফগানিস্তানের পেছনেই প্রতি কানাডীয় পরিবার গচ্ছা দিচ্ছে এক হাজার ৫০০ ডলার।
যুদ্ধ বাধানো না-বাধানোর এখতিয়ার কংগ্রেসের। জর্জ ডব্লিউ বুশ ও ওবামাকে তারা এ ক্ষমতা দিয়েছে। অক্ষমের মতো এ যুদ্ধকে অবলোকন করে যাই শুধু। প্রতিদিন প্রাণ দেয় শত আফগান। শত শত তরুণ মার্কিন তাঁদের বুকের রক্ত ঢেলে দিচ্ছেন মায়ের কোল খালি করে, বোনের কোল খালি করে, প্রিয়ার সান্নিধ্য উপেক্ষা করে। মার্কিন জনমত বুঝতে পারছে, এটি ছিল একটি ভুল পদক্ষেপ। ফিরে আসার পথ কতই না পিচ্ছিল। সৈনিকদের কেমন করে বোঝানো সম্ভব হবে, এ চিন্তায় আকুল প্রশাসন।
গত সপ্তাহে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল স্টিল থলের বেড়াল বের করে দিয়েছেন নিউইয়র্কের খোলা ব্রড স্ট্রিটে। ‘এ যুদ্ধ জয় হবে না’। যুদ্ধ ভালোবাসেন যাঁরা অর্থাৎ রিপাবলিকানরা স্টিলের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। স্টিলকে শূলে চড়াতে হবে। রিপাবলিকানরা অনেকেই ছিলেন সাবেক সৈন্য, যাঁরা বুশ ও ডিক চেনির মতো ভিয়েতনাম যুদ্ধের খেলায় অংশ নিয়েছিলেন একদিন।
এরিক মার্গলিস আমেরিকার পরিচিত কলামিস্ট (ওরা যুদ্ধশেষে আর আমরা গানশেষে কলামিস্ট হই)। আগে ছিলেন রিপাবলিকান। তিনি ফিরে এসে জানাচ্ছেন, ‘ভুল, সবই ভুল’। এটি একটি বাংলা গান বৈকি। মার্গলিস বলছেন, আফগানিস্তানে ও পাকিস্তানে এখন প্রতিদিন যে শত শত বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ দিচ্ছেন তাতে সাধারণ জনগণ বিগড়ে গেছে। রিপাবলিকানরা দুর্বল ও অজ্ঞ কণ্ঠের। ওবামা দাবি করছেন যে আল-কায়েদাকে নিশ্চিহ্ন করতেই আফগানিস্তানে এই সম্প্রসারিত যুদ্ধ, অথচ পেন্টাগন ভালো করেই জানে গুটি কয়েক আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি পাহাড়ে পাহাড়ে অতিবাহিত করছেন তাঁদের শেষ জীবন। তাঁরাও জয়ী হবেন না। আমেরিকান জনগণ এখন ওবামার কাছে আফগানিস্তান সম্পর্কে আসল সত্যটি জানতে আগ্রহী। ওবামা সত্যটি সম্পর্কে অবহিত। তাঁর সম্পর্কে আশাবাদী অনেকেই। বলতে পারছেন না আমার মতো করে, কারণ তিনি উচ্চাসনে। ইসরায়েল তাঁর কাঁধে। এখানেই সমস্যা।
পশতুন মানুষ ও কাবুলি রাইফেলধারীর সঙ্গে মিশেছি, ছবি তুলেছি। সহজ-সরল সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে দেখেছি। কাবুলিওয়ালা ও মিনি সব বাঙালির অন্তরে অমলিন। সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে বিদেশের আবদুর রহমানের পাগড়ির সফেদ রং ধুলায় ধূসরিত, হূদয়টি সফেদ। জয় করা সহজ, বিগড়ে গেলে জয় করা যাবে না। ৩০ বছর যুদ্ধের পর যুদ্ধক্লান্ত তাঁরা। হামিদ কারজাই সচেষ্ট তালেবান ও পাকিস্তানের সঙ্গে যেমন করেই হোক একটি রফা করতে। বাদ সাধছে আমেরিকা, অটোয়া ও তাজিক নর্দান অ্যালায়েন্স। স্টিল যে বক্তব্য দিয়েছেন, মার্কিন নাগরিকেরা তা গুরুত্বের সঙ্গে অধ্যয়ন করছেন।
আবার এরিক মার্গলিস ওবামার কাছেই আবেদন করেছেন। মার্গলিসের সঙ্গে যোগ করি:
প্রতি জাতির জন্য সময় নির্ধারিত। সমাধান হত্যায় নয়। বিদ্বেষের বিষ উৎপাটন করে বীজ লাগাতে হবে ভালোবাসার। পেছনে যাকে ফেলে এলাম, সামনে এগোতে দেবে না সে।
মুস্তাফা জামান আব্বাসী: লেখক ও সংগীতব্যক্তিত্ব।
mabbasi@dhaka.net
No comments