টেকসই উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জোর দিন-খাদ্যনিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ
বর্তমানে যে হারে দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের প্রয়োজনও বাড়বে। দেশের মানুষ এখন যে হারে খাদ্য গ্রহণ করে, তার সাপেক্ষে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ সময়ের মধ্যে প্রতি হেক্টর জমিতে ফলন কমপক্ষে এক টন বাড়াতে হবে।
এ জন্য প্রতিকূল পরিবেশ-সহনীয় নতুন জাতের ধান উদ্ভাবনে উদ্যোগ নিতে বিজ্ঞানীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই নির্দেশ দেন।
বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ পড়ছে কৃষিজমি ও বনভূমির ওপর। কৃষিজমিতে ঘরবাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, শিল্পকারখানা অথবা রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কারণে প্রতিবছর এক লাখ হেক্টর ফসলের জমি বেরিয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে খাদ্য উৎপাদনের ওপর। যদিও স্বাধীনতার পর খাদ্য উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ার ফলে বাংলাদেশ খাদ্যে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তা সত্ত্বেও খাদ্যনিরাপত্তার প্রশ্নে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এ অবস্থায় কৃষিব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কৃষি গবেষণায় বিশেষ নজর দেওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই।
প্রতিকূল পরিবেশ-সহনীয় নতুন জাত উদ্ভাবন ও চাষ উপযোগী যেসব জমি এখনো চাষের আওতায় আসেনি, সেগুলোকে চাষের আওতায় নিয়ে আসা কিংবা যেখানে ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতার কারণে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে ব্যবস্থাপনা উন্নত করে এখনো খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি থাকে, সেদিকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন।
কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিনিয়োগ করলে যে ভালো ফল পাওয়া যায়, তার বহু নজির আছে আমাদের সামনে। আমাদের বিজ্ঞানীরা নানা উদ্ভাবনের মাধ্যমে গত কয়েক দশকে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। পাটের জিনম সিকোয়েন্সিং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি যে সফলতা দেখিয়েছেন, তেমনভাবে খাদ্যশস্যের বিষয়ে গবেষণা ও সফলতা পাওয়া গেলে তা দেশের খাদ্যনিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাবে নিঃসন্দেহে। তাই খাদ্যের টেকসই উৎপাদন বাড়ানোতে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।
তবে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে আমরা যেন প্রতিবেশগত বিবেচনাকে পাশ কাটিয়ে না যাই। এ জন্য ভূমির টেকসই ব্যবহার বাড়াতে হবে। খাদ্যশৃঙ্খলের নানা স্তরে জড়িত কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো, কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। মেধাস্বত্ব অধিকারের মতো জায়গায় কৃষকের নিজস্ব জ্ঞান ও বীজে যেন বহুজাতিক কোম্পানির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে, সেদিকেও সরকারের সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ পড়ছে কৃষিজমি ও বনভূমির ওপর। কৃষিজমিতে ঘরবাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, শিল্পকারখানা অথবা রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কারণে প্রতিবছর এক লাখ হেক্টর ফসলের জমি বেরিয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে খাদ্য উৎপাদনের ওপর। যদিও স্বাধীনতার পর খাদ্য উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ার ফলে বাংলাদেশ খাদ্যে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তা সত্ত্বেও খাদ্যনিরাপত্তার প্রশ্নে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এ অবস্থায় কৃষিব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কৃষি গবেষণায় বিশেষ নজর দেওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই।
প্রতিকূল পরিবেশ-সহনীয় নতুন জাত উদ্ভাবন ও চাষ উপযোগী যেসব জমি এখনো চাষের আওতায় আসেনি, সেগুলোকে চাষের আওতায় নিয়ে আসা কিংবা যেখানে ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতার কারণে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে ব্যবস্থাপনা উন্নত করে এখনো খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি থাকে, সেদিকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন।
কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিনিয়োগ করলে যে ভালো ফল পাওয়া যায়, তার বহু নজির আছে আমাদের সামনে। আমাদের বিজ্ঞানীরা নানা উদ্ভাবনের মাধ্যমে গত কয়েক দশকে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। পাটের জিনম সিকোয়েন্সিং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি যে সফলতা দেখিয়েছেন, তেমনভাবে খাদ্যশস্যের বিষয়ে গবেষণা ও সফলতা পাওয়া গেলে তা দেশের খাদ্যনিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাবে নিঃসন্দেহে। তাই খাদ্যের টেকসই উৎপাদন বাড়ানোতে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।
তবে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে আমরা যেন প্রতিবেশগত বিবেচনাকে পাশ কাটিয়ে না যাই। এ জন্য ভূমির টেকসই ব্যবহার বাড়াতে হবে। খাদ্যশৃঙ্খলের নানা স্তরে জড়িত কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো, কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। মেধাস্বত্ব অধিকারের মতো জায়গায় কৃষকের নিজস্ব জ্ঞান ও বীজে যেন বহুজাতিক কোম্পানির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে, সেদিকেও সরকারের সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
No comments