জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন-পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
এত দিন স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর শোনা গেছে। এবারে ফাঁস হলো সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। জালিয়াত চক্র প্রশ্নপত্র ফাঁস করেই ক্ষান্ত হয়নি, কথিত সেই প্রশ্ন নিয়ে রীতিমতো পরীক্ষার মহড়া দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরে।
শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে একটি বেসরকারি বিনোদনকেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালে ১৬০ জন পরীক্ষার্থী ও দালাল গ্রেপ্তার হয়েছে পুলিশের হাতে। যে কারণে শনিবারের নির্ধারিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এক লাখ ৩২ হাজার প্রার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা। আগেভাগে পুলিশ টের না পেলে জালিয়াত চক্র পার পেয়ে যেত। শিক্ষার্থী ভর্তি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি-অনিয়ম চলে আসছে বহুদিন থেকে। কিন্তু এখানে জালিয়াত, প্রশ্নপত্র ফাঁস করার পর জালিয়াত চক্রের বিকল্প পরীক্ষার আয়োজনও সম্ভবত এটাই প্রথম। এর বিনিময়ে তারা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পরীক্ষার্থীর বাইরে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা দালাল গোছের লোক, ঘটনার পার্শ্বচরিত্র মাত্র। আসল অপরাধীরা আড়ালেই রয়ে গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মচারীও আছেন। তাঁর সঙ্গে আরও কে কে জড়িত, তাও খুঁজে বের করা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কারও যোগসাজশ ছাড়া এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা কেউ ঘটাতে পারে না।
নতুন শিক্ষানীতি জনমনে যতটা আশা জাগিয়েছিল, এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা তার চেয়েও বেশি হতাশায় ফেলে বৈকি। অতএব, রংপুরে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার মহড়ায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরাও দায় এড়াতে পারেন না। কর্মজীবন শুরু না হতেই যাঁরা অসাধু উপায়ের আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতাই নেই। পরীক্ষার তারিখ পুনর্নির্ধারণের আগেই প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দিতে হবে।
ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এক লাখ ৩২ হাজার প্রার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা। আগেভাগে পুলিশ টের না পেলে জালিয়াত চক্র পার পেয়ে যেত। শিক্ষার্থী ভর্তি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি-অনিয়ম চলে আসছে বহুদিন থেকে। কিন্তু এখানে জালিয়াত, প্রশ্নপত্র ফাঁস করার পর জালিয়াত চক্রের বিকল্প পরীক্ষার আয়োজনও সম্ভবত এটাই প্রথম। এর বিনিময়ে তারা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পরীক্ষার্থীর বাইরে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা দালাল গোছের লোক, ঘটনার পার্শ্বচরিত্র মাত্র। আসল অপরাধীরা আড়ালেই রয়ে গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মচারীও আছেন। তাঁর সঙ্গে আরও কে কে জড়িত, তাও খুঁজে বের করা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কারও যোগসাজশ ছাড়া এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা কেউ ঘটাতে পারে না।
নতুন শিক্ষানীতি জনমনে যতটা আশা জাগিয়েছিল, এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা তার চেয়েও বেশি হতাশায় ফেলে বৈকি। অতএব, রংপুরে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার মহড়ায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরাও দায় এড়াতে পারেন না। কর্মজীবন শুরু না হতেই যাঁরা অসাধু উপায়ের আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতাই নেই। পরীক্ষার তারিখ পুনর্নির্ধারণের আগেই প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দিতে হবে।
No comments