পুলিশ! by মেহেরুন নেছা রুমা
নির্ভরতা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা 'পুলিশ' বাহিনীর কাছ থেকে 'নিরাপদ দূরত্বে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এখন প্রশ্ন হলো, পুলিশ কি তাহলে মানুষ নয়? নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হয় বন্য কোনো হিংস্র প্রাণী থেকে কিংবা কোনো বিপজ্জনক বস্তু থেকে; যেমন বিদ্যুৎ, বোমা, গ্রেনেড ইত্যাদি।
মানুষ দিয়েই গড়া একটি বাহিনী 'পুলিশ'। তাদের প্রধান দায়িত্ব হলো জনগণের নিরাপত্তা প্রদান। তাদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান কেন? তাও সংবাদকর্মীদের। তাহলে কি সংবাদকর্মীরা পুলিশের শত্রু! দু'জনই তো সেবামূলক পেশায় নিয়োজিত। তাহলে একজন আর একজনকে সহযোগিতা করার বদলে প্রতিহিংসাপরায়ণ হবে কেন? সম্প্রতি পুলিশের কয়েকটি কার্যকলাপের বিবরণ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর স্বভাবতই আমার মনে কিছু প্রতিবাদী ভাষা উত্থান হয়। ৩০ মে ২০১২ সমকালে পুলিশ সম্পর্কিত দুটি সংবাদ ছাপা হয়েছে একেবারে প্রধান শিরোনাম হয়ে। তার মধ্যে 'পুলিশের আরেক কেলেঙ্কারি' সংবাদটি পড়ে আমি রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে যাই। আগের রাতে টেলিভিশন সংবাদে এই খবরটি দেখেছিলাম, যা বিস্তারিত হয়ে পত্রিকার পাতায় এসেছে। আদালতপাড়ায় সুবিচার চাইতে আসা এক তরুণী বাবা-মায়ের সামনে বাবার সঙ্গে পুলিশের লালসার শিকার হয়।
জনতার সামনে তাকে জড়িয়ে ধরে পুলিশ ক্লাবের মধ্যে নিয়ে গিয়ে শল্গীলতাহানির চেষ্টা করে কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এখন তো মনে হচ্ছে শুধু সাংবাদিকদের জন্য নয়, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নারী সম্প্রদায়কেও পুলিশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষা করতে বলতেন, তাহলে সেটাও অন্তত নারীদের জন্য সতর্ক বার্তা হতো। কী করে একটি মেয়েকে এতগুলো মানুষের সামনে দিয়ে জোর করে ধরে নিয়ে কয়েকজন পুলিশ মিলে মেয়েটির সঙ্গে অসদাচরণ করে! এমন ন্যক্কারজনক কাজের প্রতিবাদ করায় আদালতপাড়ায় সাংবাদিকসহ দুই আইনজীবী পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। এর আগে আগারগাঁওয়ে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন প্রথম আলোর তিন সাংবাদিক। তাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা শুনে মনে হয় পুলিশ আসলেই ভিন্ন কোনো প্রাণী হবে। কী করে তারা এত নির্দয় হয়? একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী যারা দেশ-বিদেশে নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে অনেক সুনাম বয়ে আনতে পারে, তাদের ঝুড়িতে কেন এত বদনাম যুক্ত হবে?
পুলিশ প্রকৃতই জনগণের বন্ধু হবে, আতঙ্কে-ভয়ে নয়, শ্রদ্ধা-আস্থা-নির্ভরতার চোখে মানুষ তাদের দেখবে এটাই সকলের প্রত্যাশা। যখন যে সরকার আসবে পুলিশ বাহিনী তাদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হবে এটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ মানে এই নয় যে, সরকার যা করে সবই বৈধ, আর সবকিছু অবৈধ। কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা উদ্ধার করতেও ক্ষমতার অপব্যবহার করবে এমনটা কারও কাম্য নয়।
ৎ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
জনতার সামনে তাকে জড়িয়ে ধরে পুলিশ ক্লাবের মধ্যে নিয়ে গিয়ে শল্গীলতাহানির চেষ্টা করে কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এখন তো মনে হচ্ছে শুধু সাংবাদিকদের জন্য নয়, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নারী সম্প্রদায়কেও পুলিশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষা করতে বলতেন, তাহলে সেটাও অন্তত নারীদের জন্য সতর্ক বার্তা হতো। কী করে একটি মেয়েকে এতগুলো মানুষের সামনে দিয়ে জোর করে ধরে নিয়ে কয়েকজন পুলিশ মিলে মেয়েটির সঙ্গে অসদাচরণ করে! এমন ন্যক্কারজনক কাজের প্রতিবাদ করায় আদালতপাড়ায় সাংবাদিকসহ দুই আইনজীবী পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। এর আগে আগারগাঁওয়ে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন প্রথম আলোর তিন সাংবাদিক। তাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা শুনে মনে হয় পুলিশ আসলেই ভিন্ন কোনো প্রাণী হবে। কী করে তারা এত নির্দয় হয়? একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী যারা দেশ-বিদেশে নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে অনেক সুনাম বয়ে আনতে পারে, তাদের ঝুড়িতে কেন এত বদনাম যুক্ত হবে?
পুলিশ প্রকৃতই জনগণের বন্ধু হবে, আতঙ্কে-ভয়ে নয়, শ্রদ্ধা-আস্থা-নির্ভরতার চোখে মানুষ তাদের দেখবে এটাই সকলের প্রত্যাশা। যখন যে সরকার আসবে পুলিশ বাহিনী তাদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হবে এটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ মানে এই নয় যে, সরকার যা করে সবই বৈধ, আর সবকিছু অবৈধ। কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা উদ্ধার করতেও ক্ষমতার অপব্যবহার করবে এমনটা কারও কাম্য নয়।
ৎ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
No comments