জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ by আহসান হক
দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে কোনো পরিবর্তন আসছে না। এ কেমন পড়ালেখা? স্কুলজীবন শুরুর পর থেকে শিশুরা স্বপ্ন দেখে দেখে বড় হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আশায় ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে যখন ব্যর্থ হয় তখন প্রতিটি ছাত্রের শেষ ভরসা থাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখানেও কি কষ্ট কম? ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে অনেক কষ্ট করে ভর্তি হতে হয়।
অনেকে ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ না পেলে তদবির করে ভর্তি হয়ে থাকে। প্রথম দু'এক মাস ভালো লাগলেও এরপর শুরু হয় এক অদৃশ্য যন্ত্রণা। এর ফলে প্রতিটি ছাত্রের মধ্যে পড়ালেখার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়। ফলে ক্যান্সার রোগের মতো পড়ালেখা ধ্বংস করে দেয়। এই মরণব্যাধি রোগটির মতো রুগ্ণ আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে অনেক আশায় ভর্তি হয়েছে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী। কিন্তু কেউ জানে না তাদের ভবিষ্যৎ কী?
নিয়ম অনুযায়ী চার বছরে কোর্স শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কেউ বলতে পারবে না, কত বছরে তা শেষ হবে। চার বছরে কোর্স দ্রুতই শেষ করার চেষ্টা করলেও ৬-৭ বছরেও শেষ হয় না। ৬-৭ বছর কষ্টের পরে অনার্স শেষ হয়। এরপর আবার মাস্টার্স করতে দুই বছর লেগে যায়। এভাবেই মানুষের জীবনের অর্ধেকটা পড়ালেখা করতেই পার হয়। মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের লাখ লাখ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। অনেকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কর্মজীবনে পা বাড়াচ্ছে। ফলে জাতির অনেক মূল্যবান মেধা হারিয়ে যাচ্ছে। এর কি কোনো সমাধান নেই দেশের মহাজ্ঞানী-গুণী মানুষের কাছে? তারা কি কখনও দেশের এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন না? দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা নানা বিষয় নিয়ে আন্দোলন করেন। দেশে অনেক ছাত্র সংগঠন আছে, তারাও কখনও ছাত্রের এই সমস্যা নিয়ে কথা বলে না। দেশের মিডিয়া এত কিছু নিয়ে মাথা ঘামায়, অনেক সমাধানের পথ দেখায় কিন্তু এই মরণব্যাধি রোগটি দূর করার জন্য কেউ এগিয়ে আসে না।
আমাদের সরকার দেশকে ডিজিটাল করার কথা বলেছে; কিন্তু দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাই যদি ডিজিটাল না হয় তা হলে দেশ কীভাবে ডিজিটাল হবে? দেশের সবকিছু ডিজিটালের ছোঁয়ায় সবকিছু দ্রুতগতিতে শেষ হচ্ছে আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ কি নেই এটা নিয়ে কথা বলার?
যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন তাদের বেশিরভাগই টাকা দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারেন না। অনেক পিতা-মাতা হয়তো সর্বস্ব বিক্রি করেন সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য। কিন্তু আমাদের দেশের অর্থনৈতিক যে অবস্থা এই অবস্থায় এত অর্থ ব্যয় করে পড়ালেখা করানো অধিকাংশ পরিবারের পক্ষেই সম্ভব নয়। এই সমস্যা আজকের না দীর্ঘদিনের। জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন, আমরা যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছি তাদের কী অপরাধ? আমাদের জীবনের মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পিতা-মাতাও আজ অসহায় হয়ে পড়ছেন। জাতির জ্ঞানী-গুণী মানুষের কাছে আমার আবেদন, তারা যেন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করেন এবং একটি সুন্দর সমাধান খুঁজে বের করেন। একটি সুন্দর সমাধানই পারে দেশের বৃহৎ ছাত্র সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে।
haque74ahsan@gmail.com
নিয়ম অনুযায়ী চার বছরে কোর্স শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কেউ বলতে পারবে না, কত বছরে তা শেষ হবে। চার বছরে কোর্স দ্রুতই শেষ করার চেষ্টা করলেও ৬-৭ বছরেও শেষ হয় না। ৬-৭ বছর কষ্টের পরে অনার্স শেষ হয়। এরপর আবার মাস্টার্স করতে দুই বছর লেগে যায়। এভাবেই মানুষের জীবনের অর্ধেকটা পড়ালেখা করতেই পার হয়। মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের লাখ লাখ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। অনেকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কর্মজীবনে পা বাড়াচ্ছে। ফলে জাতির অনেক মূল্যবান মেধা হারিয়ে যাচ্ছে। এর কি কোনো সমাধান নেই দেশের মহাজ্ঞানী-গুণী মানুষের কাছে? তারা কি কখনও দেশের এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন না? দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা নানা বিষয় নিয়ে আন্দোলন করেন। দেশে অনেক ছাত্র সংগঠন আছে, তারাও কখনও ছাত্রের এই সমস্যা নিয়ে কথা বলে না। দেশের মিডিয়া এত কিছু নিয়ে মাথা ঘামায়, অনেক সমাধানের পথ দেখায় কিন্তু এই মরণব্যাধি রোগটি দূর করার জন্য কেউ এগিয়ে আসে না।
আমাদের সরকার দেশকে ডিজিটাল করার কথা বলেছে; কিন্তু দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাই যদি ডিজিটাল না হয় তা হলে দেশ কীভাবে ডিজিটাল হবে? দেশের সবকিছু ডিজিটালের ছোঁয়ায় সবকিছু দ্রুতগতিতে শেষ হচ্ছে আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ কি নেই এটা নিয়ে কথা বলার?
যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন তাদের বেশিরভাগই টাকা দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারেন না। অনেক পিতা-মাতা হয়তো সর্বস্ব বিক্রি করেন সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য। কিন্তু আমাদের দেশের অর্থনৈতিক যে অবস্থা এই অবস্থায় এত অর্থ ব্যয় করে পড়ালেখা করানো অধিকাংশ পরিবারের পক্ষেই সম্ভব নয়। এই সমস্যা আজকের না দীর্ঘদিনের। জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন, আমরা যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছি তাদের কী অপরাধ? আমাদের জীবনের মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পিতা-মাতাও আজ অসহায় হয়ে পড়ছেন। জাতির জ্ঞানী-গুণী মানুষের কাছে আমার আবেদন, তারা যেন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করেন এবং একটি সুন্দর সমাধান খুঁজে বের করেন। একটি সুন্দর সমাধানই পারে দেশের বৃহৎ ছাত্র সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে।
haque74ahsan@gmail.com
No comments