বিষযুক্ত ফল ও স্বাস্থ্যঝুঁকি by ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু
বাজারে এসেছে হরেক রকমের আম। কোনোটা হলুদ, কোনোটা হলুদ-সবুজ, কোনোটাবা কাঁচা। কোনোটা ছোট, কোনোটা বড়। কোনোটা ভালো, কোনোটা বিষযুক্ত। বিষযুক্ত শুনে চমকে উঠলেন। হ্যাঁ, বাজারে এখন মিলছে বিষযুক্ত আম।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদসূত্রে জানা যায়, গত ২১ মে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর কয়েকটি ফলের আড়তে অভিযান পরিচালনা করে ১৮ হাজার কেজি কার্বাইডে পাকানো আম ও কয়েক হাজার কলা ধ্বংস করেন। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজের লাভের আশায় কার্বাইডে পাকাচ্ছেন ফল। কোনো ফল পাকার আগে তার মধ্যে রাসায়নিক কিছু পরিবর্তন হয়। প্রকৃতির বাইরে গিয়ে কোনো কিছু ঘটানোটাই বিপজ্জনক, ক্ষতিকর। যা হোক আমরা না হয় অন্যের লাভ করাতে কম মিষ্টি ফল খাবো তো সমস্যা কী? সমস্যা হলো আমাদের স্বাস্থ্য। ফরমালিন ও অন্যান্য প্রিজারভেটিভের মতো কার্বাইডও আমাদের শরীরে নানা ধরনের ক্ষতি করে। শরীরের ওপর কী ধরনের ক্ষতি করে তা নিয়ে ২০০৫ সালে তুরস্কের মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইকরাইস ইউনিভার্সিটি একটি গবেষণা করে। এ গবেষণায় কার্বাইডে পাকানো ফল শিশুদের কী ধরনের ক্ষতি করে তার ওপর আলোকপাত করা হয়। এতে গবেষকরা দেখতে পান, কার্বাইডে পাকানো ফল শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এমনকি তার মৃত্যুর কারণও হতে পারে। কার্বাইডে পাকানো ফলে আর্সেনিক ও ফসফরাস অল্প পরিমাণে থাকে। এ দুটিই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কার্বাইড থেকে যে অ্যাসিটিলিন গ্যাস তৈরি হয় তা দেহের স্নায়ুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কার্বাইডে পাকানো ফল খেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়া করা বা ঘা, চোখে জ্বালাপোড়া করা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, মুখে ক্ষত ও গিলতে কষ্ট হতে পারে। খাবার পর দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথা বা পেট মোচড়ানো।
কার্বাইডের ভয়ে আপনি যতই চান ফল খাবেন না তা তো হতে পারে না। হাজার ফলের মধ্য থেকে আপনাকে বেছে নিতে হবে আসলটি বিষমুক্ত। ব্যবসায়ীদের কার্বাইড মেশাতে কিন্তু আমরাই উদ্বুদ্ধ করেছি। কীভাবে? বাজারে গেলে আমাদের সবার নজর থাকে টকটকে হলুদ আম, পেঁপে, কলা বা লাল টকটকে টমেটোর দিকে। এমন রঙ তো কার্বাইডেই সম্ভব। এছাড়া পাকা ফল যেমন নরম ও মিষ্টি হয় এ কার্বাইডে পাকানো ফল কিন্তু এমন হয় না। এতে করে সাধু ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় মার খেয়ে কার্বাইডের দিকে ঝুঁকে যান। বাজারে গেলে এমন টকটকে ফলের দিকে ভুলেও নজর দেবেন না। প্রকৃতিতে পাকা আম, পেঁপে, কলা কিছুটা হলুদ, কিছুটা সবুজ থাকে। দেখতে অতটা চোখে পড়ে না। কার্বাইডে পাকানো কলার ছড়িটা সবুজ হলেও ফল যেন হিমুর হলুদ পাঞ্জাবি। এ ছাড়া ফলে গোটা কয়েক কালো দাগও থাকতে পারে। তাই রঙে আকর্ষিত না হয়ে আসল রঙের ফলমূল কিনুন। দেখবেন অসাধু ব্যবসায়ীরা কার্বাইড মেশানো থেকে বিরত হচ্ছে। খাওয়ার আগে যে কোনো ফল ভালো করে ধুয়ে নিন। পুরো ফল এক সঙ্গে না খেয়ে আপেলের মতো কেটে খান। ফল ব্যবসায়ীদের সততা রক্ষা করতে হবে। নিজের লাভের জন্য অন্যের ক্ষতি করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। আরও বেশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের লঘু শাস্তি দিলে হবে না, গুরু শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করতে হবে।
himu33bd@gmail.com
কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজের লাভের আশায় কার্বাইডে পাকাচ্ছেন ফল। কোনো ফল পাকার আগে তার মধ্যে রাসায়নিক কিছু পরিবর্তন হয়। প্রকৃতির বাইরে গিয়ে কোনো কিছু ঘটানোটাই বিপজ্জনক, ক্ষতিকর। যা হোক আমরা না হয় অন্যের লাভ করাতে কম মিষ্টি ফল খাবো তো সমস্যা কী? সমস্যা হলো আমাদের স্বাস্থ্য। ফরমালিন ও অন্যান্য প্রিজারভেটিভের মতো কার্বাইডও আমাদের শরীরে নানা ধরনের ক্ষতি করে। শরীরের ওপর কী ধরনের ক্ষতি করে তা নিয়ে ২০০৫ সালে তুরস্কের মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইকরাইস ইউনিভার্সিটি একটি গবেষণা করে। এ গবেষণায় কার্বাইডে পাকানো ফল শিশুদের কী ধরনের ক্ষতি করে তার ওপর আলোকপাত করা হয়। এতে গবেষকরা দেখতে পান, কার্বাইডে পাকানো ফল শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এমনকি তার মৃত্যুর কারণও হতে পারে। কার্বাইডে পাকানো ফলে আর্সেনিক ও ফসফরাস অল্প পরিমাণে থাকে। এ দুটিই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কার্বাইড থেকে যে অ্যাসিটিলিন গ্যাস তৈরি হয় তা দেহের স্নায়ুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কার্বাইডে পাকানো ফল খেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়া করা বা ঘা, চোখে জ্বালাপোড়া করা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, মুখে ক্ষত ও গিলতে কষ্ট হতে পারে। খাবার পর দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথা বা পেট মোচড়ানো।
কার্বাইডের ভয়ে আপনি যতই চান ফল খাবেন না তা তো হতে পারে না। হাজার ফলের মধ্য থেকে আপনাকে বেছে নিতে হবে আসলটি বিষমুক্ত। ব্যবসায়ীদের কার্বাইড মেশাতে কিন্তু আমরাই উদ্বুদ্ধ করেছি। কীভাবে? বাজারে গেলে আমাদের সবার নজর থাকে টকটকে হলুদ আম, পেঁপে, কলা বা লাল টকটকে টমেটোর দিকে। এমন রঙ তো কার্বাইডেই সম্ভব। এছাড়া পাকা ফল যেমন নরম ও মিষ্টি হয় এ কার্বাইডে পাকানো ফল কিন্তু এমন হয় না। এতে করে সাধু ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় মার খেয়ে কার্বাইডের দিকে ঝুঁকে যান। বাজারে গেলে এমন টকটকে ফলের দিকে ভুলেও নজর দেবেন না। প্রকৃতিতে পাকা আম, পেঁপে, কলা কিছুটা হলুদ, কিছুটা সবুজ থাকে। দেখতে অতটা চোখে পড়ে না। কার্বাইডে পাকানো কলার ছড়িটা সবুজ হলেও ফল যেন হিমুর হলুদ পাঞ্জাবি। এ ছাড়া ফলে গোটা কয়েক কালো দাগও থাকতে পারে। তাই রঙে আকর্ষিত না হয়ে আসল রঙের ফলমূল কিনুন। দেখবেন অসাধু ব্যবসায়ীরা কার্বাইড মেশানো থেকে বিরত হচ্ছে। খাওয়ার আগে যে কোনো ফল ভালো করে ধুয়ে নিন। পুরো ফল এক সঙ্গে না খেয়ে আপেলের মতো কেটে খান। ফল ব্যবসায়ীদের সততা রক্ষা করতে হবে। নিজের লাভের জন্য অন্যের ক্ষতি করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। আরও বেশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের লঘু শাস্তি দিলে হবে না, গুরু শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করতে হবে।
himu33bd@gmail.com
No comments