এসএসসির ফল চ্যালেঞ্জ-১,৩৭,২৫৭ এসএমএস by ভূঁইয়া নজরুল
সম্প্রতি প্রকাশিত দেশের আট সাধারণ এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল চ্যালেঞ্জ করে এক লাখ ৩৭ হাজার ২৫৭ এসএমএস জমা পড়েছে। ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য পরীক্ষার্থীরা রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে এ আবেদন করে।
পরীক্ষার্থীদের অনেকে একাধিক বিষয়ে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এসএমএস করেছে। চলতি সপ্তাহে সব শিক্ষা বোর্ড একযোগে পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করতে পারে বলে জানা গেছে।
দেশের আট সাধারণ শিক্ষা বোর্ড বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকা, দিনাজপুর, যশোর, রাজশাহী ও সিলেট এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ঢাকা বোর্ডে। এ বোর্ডে ৩৪ হাজার ৮৯৫টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এসএমএস করা হয়েছে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে বরিশালে আট হাজার ৭৩৯, চট্টগ্রামে ১১ হাজার ৪০৯, কুমিল্লায় আট হাজার ৯৭৯, দিনাজপুরে সাত হাজার ৭৩, যশোরে ২২ হাজার ৯৬০, রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৮৪৯, সিলেটে তিন হাজার ৮৬৯, মাদ্রাসা বোর্ডে ৯ হাজার ৭৪৫ ও কারিগরি বোর্ডে ৯ হাজার ৭৩৯টি এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে। প্রতি এসএমএসের বিপরীতে ১২৫ টাকা হিসাবে পুনর্নিরীক্ষণ খাতে শিক্ষা বোর্ডগুলোর আয় হয়েছে এক কোটি ৭১ লাখ ৫৭ হাজার ১২৫ টাকা।
গত ৭ মে প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারা দেশে গড় পাসের হার ছিল ৮৬.৩৭ শতাংশ। ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৫.৯৫ শতাংশ হওয়ার পরও এ বোর্ডে ৩৪ হাজার ৮৯৫টি এসএমএস জমা পড়ল। অবশ্য দেশের অন্য যেকোনো বোর্ডের তুলনায় ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও ছিল বেশি।
গত রবিবার থেকে পুনর্নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আগামী ৭-৮ জুন ফল প্রকাশের জন্য পুনর্নিরীক্ষণের কাজ শুরু করেছি। এ জন্য একটি শিডিউল করা হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী নির্ধারিত পরীক্ষকরা একটি কক্ষে বসে পুনর্নিরীক্ষণের সব খাতা নিরীক্ষণ করবেন এবং দিন শেষে বোর্ড কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিবেন ও পরের দিন আবার কাজ শুরু করবেন।' তিনি আরো বলেন, 'কক্ষে ঢোকার আগে সব পরীক্ষকের মোবাইল জমা নেওয়া হয়। গোপনীয়তার স্বার্থে এ বছর যাঁদের পরীক্ষক হিসেবে নেওয়া হয়েছে, আগামী বছর তাঁদের নেওয়া হবে না।'
এদিকে চট্টগ্রাম বোর্ডে মোট ১১ হাজার ৪০৯টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণ হচ্ছে। নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে পাঁচ হাজার ৫১৬ পরীক্ষার্থী। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে পদার্থবিজ্ঞানে। এ বিষয়ে এক হাজার ৪৩৫ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চে রয়েছে গণিত (৯৫৭)। এ ছাড়া অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে বাংলায় ৯৯২, সাধারণ বিজ্ঞানে ৮৯৮, জীববিজ্ঞানে ৮৮৫, রসায়নে ৮৫৯, ইংরেজিতে ৮৫৪, সামাজিকবিজ্ঞানে ৭১৩, ইসলাম ধর্মে ৫৫৪, হিসাববিজ্ঞানে ১৪৭, ভূগোলে ১৩০, উচ্চতর গণিতে ৯৯, কৃষিশিক্ষায় ৬৫, হিন্দু ধর্মে ৬২, কম্পিউটার শিক্ষায় ৪৮, বৌদ্ধ ধর্মে ৩৭, গার্হস্থ্য শিক্ষায় ১৭ ও পালি বিষয়ে একজনসহ ২৪টি বিষয়ে মোট ১১ হাজার ৪০৯টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণ করা হবে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. পীযূষ দত্ত বলেন, 'নিরীক্ষণের জন্য পরীক্ষকদের তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ে নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা যাবে।'
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, 'প্রায় ২৩ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে ইংরেজি বিষয়েই সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী এসএমএস করেছে।'
পুনর্নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে জানা যায়, এজন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি নিরীক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি এক বা একাধিক দিনে সব খাতা নতুন করে পর্যবেক্ষণ করে মূল্যায়নবিহীন উত্তর রয়েছে কি না, উত্তরপত্রের ভেতরের নম্বরের সঙ্গে কাভার পৃষ্ঠার নম্বরের মধ্যে সামঞ্জস্য ও গণনায় কোনো ভুল হয়েছে কি না তা মন্তব্য আকারে লিখবে। পরে বোর্ড কর্মকর্তাদের সহায়তায় নিরীক্ষণ করা ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, এই পুনর্নিরীক্ষণের জন্য গত ৭ মে এসএসসির ফল প্রকাশের পর ৮ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত মোবাইল ফোনে এসএমএস গ্রহণ করা হয়। আগামী ৬ জুন পর্যন্ত একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য এসএমএস করার সময় রয়েছে। তবে পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশের পর তাদেরকে ভর্তির সুযোগও রাখা হয়েছে নীতিমালায়।
প্রতিবছর প্রকাশিত জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পুনর্নিরীক্ষণের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়। অনেকে ফেল করেও জিপিএ ৫ পাওয়ার ঘটনা আগের বছরগুলোতে ঘটেছে। এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া।
দেশের আট সাধারণ শিক্ষা বোর্ড বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকা, দিনাজপুর, যশোর, রাজশাহী ও সিলেট এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ঢাকা বোর্ডে। এ বোর্ডে ৩৪ হাজার ৮৯৫টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এসএমএস করা হয়েছে। অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে বরিশালে আট হাজার ৭৩৯, চট্টগ্রামে ১১ হাজার ৪০৯, কুমিল্লায় আট হাজার ৯৭৯, দিনাজপুরে সাত হাজার ৭৩, যশোরে ২২ হাজার ৯৬০, রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৮৪৯, সিলেটে তিন হাজার ৮৬৯, মাদ্রাসা বোর্ডে ৯ হাজার ৭৪৫ ও কারিগরি বোর্ডে ৯ হাজার ৭৩৯টি এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে। প্রতি এসএমএসের বিপরীতে ১২৫ টাকা হিসাবে পুনর্নিরীক্ষণ খাতে শিক্ষা বোর্ডগুলোর আয় হয়েছে এক কোটি ৭১ লাখ ৫৭ হাজার ১২৫ টাকা।
গত ৭ মে প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারা দেশে গড় পাসের হার ছিল ৮৬.৩৭ শতাংশ। ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৫.৯৫ শতাংশ হওয়ার পরও এ বোর্ডে ৩৪ হাজার ৮৯৫টি এসএমএস জমা পড়ল। অবশ্য দেশের অন্য যেকোনো বোর্ডের তুলনায় ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও ছিল বেশি।
গত রবিবার থেকে পুনর্নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আগামী ৭-৮ জুন ফল প্রকাশের জন্য পুনর্নিরীক্ষণের কাজ শুরু করেছি। এ জন্য একটি শিডিউল করা হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী নির্ধারিত পরীক্ষকরা একটি কক্ষে বসে পুনর্নিরীক্ষণের সব খাতা নিরীক্ষণ করবেন এবং দিন শেষে বোর্ড কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিবেন ও পরের দিন আবার কাজ শুরু করবেন।' তিনি আরো বলেন, 'কক্ষে ঢোকার আগে সব পরীক্ষকের মোবাইল জমা নেওয়া হয়। গোপনীয়তার স্বার্থে এ বছর যাঁদের পরীক্ষক হিসেবে নেওয়া হয়েছে, আগামী বছর তাঁদের নেওয়া হবে না।'
এদিকে চট্টগ্রাম বোর্ডে মোট ১১ হাজার ৪০৯টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণ হচ্ছে। নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে পাঁচ হাজার ৫১৬ পরীক্ষার্থী। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে পদার্থবিজ্ঞানে। এ বিষয়ে এক হাজার ৪৩৫ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চে রয়েছে গণিত (৯৫৭)। এ ছাড়া অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে বাংলায় ৯৯২, সাধারণ বিজ্ঞানে ৮৯৮, জীববিজ্ঞানে ৮৮৫, রসায়নে ৮৫৯, ইংরেজিতে ৮৫৪, সামাজিকবিজ্ঞানে ৭১৩, ইসলাম ধর্মে ৫৫৪, হিসাববিজ্ঞানে ১৪৭, ভূগোলে ১৩০, উচ্চতর গণিতে ৯৯, কৃষিশিক্ষায় ৬৫, হিন্দু ধর্মে ৬২, কম্পিউটার শিক্ষায় ৪৮, বৌদ্ধ ধর্মে ৩৭, গার্হস্থ্য শিক্ষায় ১৭ ও পালি বিষয়ে একজনসহ ২৪টি বিষয়ে মোট ১১ হাজার ৪০৯টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণ করা হবে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. পীযূষ দত্ত বলেন, 'নিরীক্ষণের জন্য পরীক্ষকদের তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ে নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা যাবে।'
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, 'প্রায় ২৩ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে ইংরেজি বিষয়েই সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী এসএমএস করেছে।'
পুনর্নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে জানা যায়, এজন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি নিরীক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি এক বা একাধিক দিনে সব খাতা নতুন করে পর্যবেক্ষণ করে মূল্যায়নবিহীন উত্তর রয়েছে কি না, উত্তরপত্রের ভেতরের নম্বরের সঙ্গে কাভার পৃষ্ঠার নম্বরের মধ্যে সামঞ্জস্য ও গণনায় কোনো ভুল হয়েছে কি না তা মন্তব্য আকারে লিখবে। পরে বোর্ড কর্মকর্তাদের সহায়তায় নিরীক্ষণ করা ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, এই পুনর্নিরীক্ষণের জন্য গত ৭ মে এসএসসির ফল প্রকাশের পর ৮ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত মোবাইল ফোনে এসএমএস গ্রহণ করা হয়। আগামী ৬ জুন পর্যন্ত একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য এসএমএস করার সময় রয়েছে। তবে পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশের পর তাদেরকে ভর্তির সুযোগও রাখা হয়েছে নীতিমালায়।
প্রতিবছর প্রকাশিত জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পুনর্নিরীক্ষণের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়। অনেকে ফেল করেও জিপিএ ৫ পাওয়ার ঘটনা আগের বছরগুলোতে ঘটেছে। এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া।
No comments