৯০ হাজার গ্রাহক স্কাইল্যান্সারের প্রতারণার ফাঁদে-ভাঙচুর, চেয়ারম্যান আটক
রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে প্রতারণার অভিযোগে খলিলুর রহমান ওরফে নীল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি স্কাইল্যান্সার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। এ সময় দুই শতাধিক গ্রাহক কলাবাগান থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন।
তাঁদের বেশির ভাগই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৯০ হাজার এবং তাঁদের কাছ থেকে এরই মধ্যে প্রায় ২০ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল ৯টার দিকে লেকসার্কাস রোডের ৬৫/১, নম্বর প্রগতি টাওয়ার ভবনের চতুর্থ তলায় স্কাইল্যান্সার নামের অফিস থেকে নীলকে আটক করা হয়। এর আগে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে ওই প্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন গ্রাহকরা।
কলাবাগান থানার ওসি এনামুল হক বলেন, গত পাঁচ মাস ইন্টারনেটের মাধ্যমে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কম্পানি স্কাইল্যান্সারের গ্রাহকরা ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন। লাভসহ গ্রাহকদের টাকা গতকাল ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। কিন্তু সকালে গ্রাহকরা অফিসে গিয়ে টাকা পাননি। উল্টো তাঁরা শুনতে পান নীল যেকোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। এরপর গ্রাহকরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়।
ওসি জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৯০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন এর মালিক খলিলুর রহমান নীল। তবে আটকের পর নীল জানিয়েছেন, তিনি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবেন। বিদেশে পালানোর বিষয়টি স্রেফ গুজব।
এদিকে গতকাল সকালে কলাবাগান থানার সামনে গিয়ে দেখা যায়, দুই শতাধিক যুবক বিক্ষোভ করছেন। এ সময় মিরপুরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাজিদুল বলেন, 'গত চার মাস আগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে লোভনীয় অফার দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপন পড়ে আমি স্কাইল্যান্সারের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান নীলের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি আইডি করে সাড়ে সাত হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে বলেন। সেই সঙ্গে দুজন গ্রাহক জোগাড় করতে বলেন। এভাবে গ্রাহক বাড়াতে পারলে তিন মাসের মধ্যে দ্বিগুণ লাভ দেওয়ার কথা বলেন। এইভাবে আমি টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক বাড়াই। গত তিন মাসে বিনিয়োগকৃত টাকাসহ কম্পানির কাছে আমার পাওনা দাঁড়ায় ৩০ হাজার টাকা। এভাবে আমার সঙ্গে আরো অনেক যুবক গ্রাহক হন। তারাও সমপরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।'
এ সময় সাকিব, তারেক, সুজন, জাফরসহ আরো কমপক্ষে ২০ গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত নীল এবং তাঁর সহযোগী সুজন ও সাইফুল তাদের কাছ থেকে সাড়ে সাত হাজার করে টাকা নিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে বর্তমানে কম্পানির কাছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে টাকা পাবেন। এই টাকা না দিয়ে নীল তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
এদিকে আটকের পর নীল পুলিশকে জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকাণ্ড হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তিনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রথমে তাঁর প্রতিষ্ঠানে গ্রাহক হতে ইচ্ছুকদের সদস্য হওয়ার জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে বলেন। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনে আরো অনেক লোভনীয় প্রস্তাব দেন। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। গ্রাহকরা তাঁর কাছে প্রায় ২০ কোটি টাকা পাবেন। এই টাকা তিনি পর্যায়ক্রমে গ্রাহকদের দিয়ে দেবেন বলে জানান।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল ৯টার দিকে লেকসার্কাস রোডের ৬৫/১, নম্বর প্রগতি টাওয়ার ভবনের চতুর্থ তলায় স্কাইল্যান্সার নামের অফিস থেকে নীলকে আটক করা হয়। এর আগে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে ওই প্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন গ্রাহকরা।
কলাবাগান থানার ওসি এনামুল হক বলেন, গত পাঁচ মাস ইন্টারনেটের মাধ্যমে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কম্পানি স্কাইল্যান্সারের গ্রাহকরা ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন। লাভসহ গ্রাহকদের টাকা গতকাল ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। কিন্তু সকালে গ্রাহকরা অফিসে গিয়ে টাকা পাননি। উল্টো তাঁরা শুনতে পান নীল যেকোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। এরপর গ্রাহকরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়।
ওসি জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৯০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন এর মালিক খলিলুর রহমান নীল। তবে আটকের পর নীল জানিয়েছেন, তিনি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবেন। বিদেশে পালানোর বিষয়টি স্রেফ গুজব।
এদিকে গতকাল সকালে কলাবাগান থানার সামনে গিয়ে দেখা যায়, দুই শতাধিক যুবক বিক্ষোভ করছেন। এ সময় মিরপুরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাজিদুল বলেন, 'গত চার মাস আগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে লোভনীয় অফার দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপন পড়ে আমি স্কাইল্যান্সারের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান নীলের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি আইডি করে সাড়ে সাত হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে বলেন। সেই সঙ্গে দুজন গ্রাহক জোগাড় করতে বলেন। এভাবে গ্রাহক বাড়াতে পারলে তিন মাসের মধ্যে দ্বিগুণ লাভ দেওয়ার কথা বলেন। এইভাবে আমি টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক বাড়াই। গত তিন মাসে বিনিয়োগকৃত টাকাসহ কম্পানির কাছে আমার পাওনা দাঁড়ায় ৩০ হাজার টাকা। এভাবে আমার সঙ্গে আরো অনেক যুবক গ্রাহক হন। তারাও সমপরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।'
এ সময় সাকিব, তারেক, সুজন, জাফরসহ আরো কমপক্ষে ২০ গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত নীল এবং তাঁর সহযোগী সুজন ও সাইফুল তাদের কাছ থেকে সাড়ে সাত হাজার করে টাকা নিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে বর্তমানে কম্পানির কাছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে টাকা পাবেন। এই টাকা না দিয়ে নীল তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
এদিকে আটকের পর নীল পুলিশকে জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকাণ্ড হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তিনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রথমে তাঁর প্রতিষ্ঠানে গ্রাহক হতে ইচ্ছুকদের সদস্য হওয়ার জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে বলেন। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনে আরো অনেক লোভনীয় প্রস্তাব দেন। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। গ্রাহকরা তাঁর কাছে প্রায় ২০ কোটি টাকা পাবেন। এই টাকা তিনি পর্যায়ক্রমে গ্রাহকদের দিয়ে দেবেন বলে জানান।
No comments