অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ কেন?
সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সরকারের অঙ্গীকার; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাস্তবে এর প্রতিফলন সন্তোষজনক নয়। চিকিৎসা ব্যবস্থার পথ মসৃণ নয় বিধায় দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীকে এ জন্য বিরূপ ফল ভোগ করতে হয়। ১৯ মার্চ একটি দৈনিকে প্রকাশ, সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ।
ইতিমধ্যে ২০টি জেলার সিভিল সার্জনরা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ফেরত পাঠিয়েছেন। অভিযোগ আছে, সিভিল সার্জনদের চাহিদার ভিত্তিতে ওষুধ পাঠানো হয়নি বলেই তাঁরা এসব ফেরত পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন।
মফস্বলের চিকিৎসাসেবার চিত্র এখনো বিবর্ণ। বর্তমান সরকার বিশেষ করে, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং চিকিৎসকদের মফস্বলে কাজ করার মানসিকতা অর্জনের জন্য বারবার কঠোর তাগিদ দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ এর ফলে আশান্বিত হলেও সংকট বিদ্যমান আরো নানা ক্ষেত্রে। মফস্বলের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তো নেই-ই, একই সঙ্গে রয়েছে ওষুধেরও তীব্র সংকট। সরকারি কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) কর্তৃপক্ষ সিভিল সার্জনদের চাহিদার অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্ব দেন না। কেন্দ্রীয় ঔষধাগার কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রে বসে জানেন না কোন জেলায় কোন রোগের ওষুধ বেশি প্রয়োজন। এ প্রয়োজন ও চাহিদার ভিত্তিতেই সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ওষুধের চাহিদা জানানো হয় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার কর্তৃপক্ষকে। তাদের উচিত, প্রেরিত চাহিদা তালিকার ভিত্তিতে ওষুধ সরবরাহ করা। কেন চাহিদানুযায়ী কিংবা চাহিদার অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠানো হয় এরও কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ! সরকারের অঙ্গীকারের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মহলের এমন কর্মকাণ্ড কী করে চলছে এটি বড় প্রশ্ন।
অভিযোগ আছে, জেলা-উপজেলার সরকারি হাসপাতাল কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নির্দিষ্ট কয়েকটি ওষুধ সর্বরোগের দাওয়াই হিসেবে দেওয়া হয়। আবার সিংহভাগ ক্ষেত্রে অপ্রতুলতার বিষয়টিও মুখ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমন চিত্র জিইয়ে স্বাস্থ্যসেবার অঙ্গীকার পূরণে কতটা কী করা সম্ভব তা খুব সহজেই অনুমেয়। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্যসেবাকে আধুনিক করার সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে অবশ্যই বিদ্যমান পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। এসব নিশ্চিত করতে উচ্চারিত অঙ্গীকার প্রতিশ্রুতির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন আমরা দেখতে চাই। স্বাস্থ্য খাতে সরকারের বরাদ্দের কমতি নেই বটে; কিন্তু এর যথাযথ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টির প্রতি যথাযথ দৃষ্টি দিয়ে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সব রকম পদক্ষেপ জরুরিভিত্তিতে নেবে। সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে রোগীর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে এবং রোগী পতিত হবে মৃত্যুমুখে_এমন গুরুতর অভিযোগ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া কষ্টকর।
মফস্বলের চিকিৎসাসেবার চিত্র এখনো বিবর্ণ। বর্তমান সরকার বিশেষ করে, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং চিকিৎসকদের মফস্বলে কাজ করার মানসিকতা অর্জনের জন্য বারবার কঠোর তাগিদ দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ এর ফলে আশান্বিত হলেও সংকট বিদ্যমান আরো নানা ক্ষেত্রে। মফস্বলের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তো নেই-ই, একই সঙ্গে রয়েছে ওষুধেরও তীব্র সংকট। সরকারি কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) কর্তৃপক্ষ সিভিল সার্জনদের চাহিদার অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্ব দেন না। কেন্দ্রীয় ঔষধাগার কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রে বসে জানেন না কোন জেলায় কোন রোগের ওষুধ বেশি প্রয়োজন। এ প্রয়োজন ও চাহিদার ভিত্তিতেই সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ওষুধের চাহিদা জানানো হয় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার কর্তৃপক্ষকে। তাদের উচিত, প্রেরিত চাহিদা তালিকার ভিত্তিতে ওষুধ সরবরাহ করা। কেন চাহিদানুযায়ী কিংবা চাহিদার অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠানো হয় এরও কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ! সরকারের অঙ্গীকারের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মহলের এমন কর্মকাণ্ড কী করে চলছে এটি বড় প্রশ্ন।
অভিযোগ আছে, জেলা-উপজেলার সরকারি হাসপাতাল কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নির্দিষ্ট কয়েকটি ওষুধ সর্বরোগের দাওয়াই হিসেবে দেওয়া হয়। আবার সিংহভাগ ক্ষেত্রে অপ্রতুলতার বিষয়টিও মুখ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমন চিত্র জিইয়ে স্বাস্থ্যসেবার অঙ্গীকার পূরণে কতটা কী করা সম্ভব তা খুব সহজেই অনুমেয়। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্যসেবাকে আধুনিক করার সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে অবশ্যই বিদ্যমান পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। এসব নিশ্চিত করতে উচ্চারিত অঙ্গীকার প্রতিশ্রুতির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন আমরা দেখতে চাই। স্বাস্থ্য খাতে সরকারের বরাদ্দের কমতি নেই বটে; কিন্তু এর যথাযথ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টির প্রতি যথাযথ দৃষ্টি দিয়ে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সব রকম পদক্ষেপ জরুরিভিত্তিতে নেবে। সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে রোগীর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে এবং রোগী পতিত হবে মৃত্যুমুখে_এমন গুরুতর অভিযোগ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া কষ্টকর।
No comments