তদন্ত কমিশন গঠন করুন-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুতর অনিয়ম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সাধারণত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে প্রশাসনের বিরোধী পক্ষের তরফ থেকে, যাঁরা বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থক হয়ে থাকেন।
কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকসমাজ’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে, যেটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বাম ঘরানার সমর্থক শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত।
‘প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজ’ নামে পরিচিত এই শিক্ষক সংগঠনেরই নেতা এম আবদুস সোবহানকে বর্তমান সরকার উপাচার্য পদে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেয় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫৮৫ জন শিক্ষকের সংগঠন ‘প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজ’ তখন এই নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু তারা এখন এই উপাচার্যের ওপর ক্ষুব্ধ, তাদের অভিযোগ, উপাচার্য আবদুস সোবহানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে এমন একটি সংকীর্ণ স্বার্থবাদী ‘বলয়’ গড়ে উঠেছে, যারা শিক্ষকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মে লিপ্ত রয়েছেন। এমনকি প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজের শিক্ষকেরা সংবাদ সম্মেলন ডেকে নানা উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।
সরকার পরিবর্তিত হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে পরিবর্তন ঘটে। ক্ষমতাসীন দলের অনুগ্রহভাজন ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেতৃত্ব পান। তখন শুরু হয় শিক্ষক পদসহ প্রশাসনে লোক নিয়োগের নতুন প্রবাহ। আগের সরকারের আমলে যত লোক নিয়োগ করা হয়েছে, নতুন সরকারের আমলে তার চেয়ে বেশিসংখ্যক নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ চলে। প্রার্থীদের যোগ্যতা, দক্ষতার বিবেচনা নয়, দলীয় আনুগত্যই এ ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। এভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান ক্রমেই নিম্নগামী হচ্ছে।
কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান অবস্থা তার চেয়েও বেশি গুরুতর। শিক্ষক নিয়োগে সেখানে মতাদর্শিক কারণের চেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে সংকীর্ণ গোষ্ঠীর, বা বলা চলে কতিপয় ব্যক্তির স্বার্থ। প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজের অভিযোগ থেকে সেটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের জন্য এমন অবস্থা গুরুতরভাবে বিপর্যয়কর। এভাবে আর চলতে পারে না। শিক্ষকসমাজের অভিযোগগুলো তদন্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিশ্চয়ই এ ক্ষেত্রে কিছু করার আছে। তা ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেটও তো রয়েছে। তাদেরও তৎপর হওয়া উচিত।
‘প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজ’ নামে পরিচিত এই শিক্ষক সংগঠনেরই নেতা এম আবদুস সোবহানকে বর্তমান সরকার উপাচার্য পদে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেয় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫৮৫ জন শিক্ষকের সংগঠন ‘প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজ’ তখন এই নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু তারা এখন এই উপাচার্যের ওপর ক্ষুব্ধ, তাদের অভিযোগ, উপাচার্য আবদুস সোবহানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে এমন একটি সংকীর্ণ স্বার্থবাদী ‘বলয়’ গড়ে উঠেছে, যারা শিক্ষকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মে লিপ্ত রয়েছেন। এমনকি প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজের শিক্ষকেরা সংবাদ সম্মেলন ডেকে নানা উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।
সরকার পরিবর্তিত হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে পরিবর্তন ঘটে। ক্ষমতাসীন দলের অনুগ্রহভাজন ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেতৃত্ব পান। তখন শুরু হয় শিক্ষক পদসহ প্রশাসনে লোক নিয়োগের নতুন প্রবাহ। আগের সরকারের আমলে যত লোক নিয়োগ করা হয়েছে, নতুন সরকারের আমলে তার চেয়ে বেশিসংখ্যক নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ চলে। প্রার্থীদের যোগ্যতা, দক্ষতার বিবেচনা নয়, দলীয় আনুগত্যই এ ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। এভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান ক্রমেই নিম্নগামী হচ্ছে।
কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান অবস্থা তার চেয়েও বেশি গুরুতর। শিক্ষক নিয়োগে সেখানে মতাদর্শিক কারণের চেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে সংকীর্ণ গোষ্ঠীর, বা বলা চলে কতিপয় ব্যক্তির স্বার্থ। প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজের অভিযোগ থেকে সেটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের জন্য এমন অবস্থা গুরুতরভাবে বিপর্যয়কর। এভাবে আর চলতে পারে না। শিক্ষকসমাজের অভিযোগগুলো তদন্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিশ্চয়ই এ ক্ষেত্রে কিছু করার আছে। তা ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেটও তো রয়েছে। তাদেরও তৎপর হওয়া উচিত।
No comments