পবিত্র কোরআনের আলো-নবীরা আসেন সত্যের বাণী নিয়ে, হজরত মুসা (আ.) ফিরাউনের কাছে সেভাবেই এসেছিলেন
৭৬. ফালাম্মা- জা-আহুমুল হাক্কু মিন ই'নদিনা- ক্বা-লূ ইন্না হা-যা- লাছিহ্রুম্ মুবীন। ৭৭. ক্বা-লা মূছা- আতাক্বূলূনা- লিলহাক্কি লাম্মা- জা-আকুম; আছিহ্রুন হা-যা-; ওয়ালা- ইউফ্লিহুছ্ ছা-হিরূন।৭৮. ক্বা-লূ আজি'তানা- লিতালফিতানা- আ'ম্মা- ওয়াজাদ্না- আ'লাইহি আ-বা-আনা- ওয়াতাকূনা লাকুমাল কিব্রিইয়া-উ ফিল আরদ্বি; ওয়ামা- নাহ্নু লাকুমা- বিমু'মিনীন।
৭৯. ওয়াক্বা-লা ফিরআ'উনু'তূনী বিকুল্লি ছা-হিরিন আ'লীম।
[সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৭৬-৭৯]
অনুবাদ
৭৬. যখন তাদের কাছে আমার পক্ষ থেকে সত্যের বাণী এলো, তখন তারা বলতে লাগল, নিশ্চয়ই এটা সুস্পষ্ট জাদু।
৭৭. মুসা বললেন, সত্য যখন তোমাদের কাছে এলো, তখন তোমরা এর সম্পর্কে এ রকম (অবান্তর) কথা বললে? এটা কি জাদু? জাদুকররা তো কখনো সফলকাম হয় না।
৭৮. তারা বলল, তুমি কি আমাদের কাছে এ জন্যই এসেছ যে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের যে রীতিনীতির ওপর রয়েছি, তুমি আমাদের তা থেকে বিচ্যুত করে দেবে। তোমরা তো এমন কিছু করতে চাও, যাতে এ দেশে তোমাদের প্রতিপত্তি কায়েম হয়ে যায়।
৭৯. ফিরাউন তার লোকদের বলল, দেশে যত দক্ষ জাদুকর আছে তাদের সবাইকে আমার কাছে নিয়ে এসো।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোতে হজরত মুসা (আ.) ও মিসরের ফিরাউনের সম্প্রদায়ের আদর্শিক দ্বন্দ্বের কথা বলা হয়েছে। মুসা (আ.) যখন তাঁর নবুয়ত প্রমাণ করার নানা মুজিজা নিয়ে এলেন, তখন তারা বলল, এটা তো প্রকাশ্য জাদু। মুসা (আ.) তাদের বোঝাতে চেষ্টা করলেন যে এটা জাদু নয়। এটা আল্লাহর নিদর্শন, এটা মুজিজা। আসলে জাদুর এত ক্ষমতা নেই, জাদু হচ্ছে ভেলকিবাজির জিনিস। জাদু কখনো সফলকাম হয় না। জাদুর কোনো ভবিষ্যৎ নেই এবং জাদু সত্য নয়। আসলে ফিরাউন সম্প্রদায়ের লোকেরা আশঙ্কা করত যে নবী হজরত মুসা ও হারুন (আ.) এ দেশে তাঁদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান। এ জন্য তাঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষদের ধর্ম থেকে তাদের বিচ্যুত করতে চাইছেন। কিন্তু তারা এ কথা বিশ্বাস করতে চাইত না যে তাদের পূর্বপুরুষের ধর্ম সত্যের ওপর দাঁড়ানো নয়। এতে অনেক মিথ্যা এবং ভাঁওতাবাজি আছে। আর নবী মুসা ও হারুন (আ.) তাঁদের সত্যের পথ দেখাচ্ছেন। অবশেষে ফিরাউন দেশের সব জাদুকরকে ডেকে এনে নবী মুসা (আ.)-এর সঙ্গে জাদু দিয়ে মোকাবিলা করার হুকুম দিল। সেই মোকাবিলায় জাদুকররা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়ে হার মানল, তারা মুসা (আ.)-কে সত্য নবী হিসেবে স্বীকার করে নিল। এভাবেই ফিরাউনের নৈতিক পরাজয় ঘটল এবং সে গায়ের জোরে হজরত মুসার (আ.)-এর সম্প্রদায়কে পর্যুদস্ত করার চেষ্টা করল।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৭৬-৭৯]
অনুবাদ
৭৬. যখন তাদের কাছে আমার পক্ষ থেকে সত্যের বাণী এলো, তখন তারা বলতে লাগল, নিশ্চয়ই এটা সুস্পষ্ট জাদু।
৭৭. মুসা বললেন, সত্য যখন তোমাদের কাছে এলো, তখন তোমরা এর সম্পর্কে এ রকম (অবান্তর) কথা বললে? এটা কি জাদু? জাদুকররা তো কখনো সফলকাম হয় না।
৭৮. তারা বলল, তুমি কি আমাদের কাছে এ জন্যই এসেছ যে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের যে রীতিনীতির ওপর রয়েছি, তুমি আমাদের তা থেকে বিচ্যুত করে দেবে। তোমরা তো এমন কিছু করতে চাও, যাতে এ দেশে তোমাদের প্রতিপত্তি কায়েম হয়ে যায়।
৭৯. ফিরাউন তার লোকদের বলল, দেশে যত দক্ষ জাদুকর আছে তাদের সবাইকে আমার কাছে নিয়ে এসো।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোতে হজরত মুসা (আ.) ও মিসরের ফিরাউনের সম্প্রদায়ের আদর্শিক দ্বন্দ্বের কথা বলা হয়েছে। মুসা (আ.) যখন তাঁর নবুয়ত প্রমাণ করার নানা মুজিজা নিয়ে এলেন, তখন তারা বলল, এটা তো প্রকাশ্য জাদু। মুসা (আ.) তাদের বোঝাতে চেষ্টা করলেন যে এটা জাদু নয়। এটা আল্লাহর নিদর্শন, এটা মুজিজা। আসলে জাদুর এত ক্ষমতা নেই, জাদু হচ্ছে ভেলকিবাজির জিনিস। জাদু কখনো সফলকাম হয় না। জাদুর কোনো ভবিষ্যৎ নেই এবং জাদু সত্য নয়। আসলে ফিরাউন সম্প্রদায়ের লোকেরা আশঙ্কা করত যে নবী হজরত মুসা ও হারুন (আ.) এ দেশে তাঁদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান। এ জন্য তাঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষদের ধর্ম থেকে তাদের বিচ্যুত করতে চাইছেন। কিন্তু তারা এ কথা বিশ্বাস করতে চাইত না যে তাদের পূর্বপুরুষের ধর্ম সত্যের ওপর দাঁড়ানো নয়। এতে অনেক মিথ্যা এবং ভাঁওতাবাজি আছে। আর নবী মুসা ও হারুন (আ.) তাঁদের সত্যের পথ দেখাচ্ছেন। অবশেষে ফিরাউন দেশের সব জাদুকরকে ডেকে এনে নবী মুসা (আ.)-এর সঙ্গে জাদু দিয়ে মোকাবিলা করার হুকুম দিল। সেই মোকাবিলায় জাদুকররা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়ে হার মানল, তারা মুসা (আ.)-কে সত্য নবী হিসেবে স্বীকার করে নিল। এভাবেই ফিরাউনের নৈতিক পরাজয় ঘটল এবং সে গায়ের জোরে হজরত মুসার (আ.)-এর সম্প্রদায়কে পর্যুদস্ত করার চেষ্টা করল।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments