কনডম ব্যবহারে অস্বীকৃতি তালাকের ভিত্তি নয়ঃ ভারতীয় কোর্ট
“কনডম ব্যবহার করতে না দেয়ায় স্ত্রীকে তালাকের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই” মুম্বাই হাই কোর্ট শুক্রবার এ ব্যাপারে একটি রুল জারি করেছেন। খবর বিবিসি অনলাইন।
বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট প্রদীপ বাপাত বলেন, “আমার মক্কেলের স্ত্রী কনডম ছাড়া যৌনমিলন করতে চায়নি কারণ এতে করে সন্তান হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তার যুক্তি ছিল যেহেতু তারা স্বচ্ছল না তাই এখনই সন্তান নয়।”
আলোচিত এই মামলার বিচারকদ্বয় বাদীপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কনডম, রান্নাবান্না করতে না পারা কিংবা ঘরদোর পরিষ্কার এমনসব কারণে তালাকের আবেদন অবশ্যই সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।”
তারা বলেন, “পারিবারিকভাবে যেহেতু বিয়ে হয়েছে তাই এ ব্যাপারগুলো আগেই জানা উচিত ছিল। এখন ওজর আপত্তি মোটেও কাম্য নয়।”
২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ওই বছর জুনে এই মামলার বাদীনি প্রিণা স্বামীগৃহ ত্যাগ করেন। (এখানে গোপণীয়তা রক্ষার্থে এই দম্পত্তির আসল পরিচয় ও নাম দেয়া হয়নি)।
বিচারপতি পিবি মজুমদার তার রায়ে বলেন, “ওই স্ত্রী সন্তান চেয়েছিল কিন্তু তার আগে অর্থনৈতিক সাবলম্বী হওয়াও দরকার বিষয়টি অনুভব করছিল। প্রত্যেক মা-বাবাই চান সন্তানের সুরক্ষিত ভালো জীবন। তাই একজন দায়িত্বশীল স্বামী অবশ্যই স্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত।”
মি. বাপাত বলেন, “আমার মক্কেল চান তার স্ত্রী শিক্ষিত এবং স্ত্রী হিসেবে ঘরের সব কাজ করবে।”
বাদীপক্ষের আইনজীবীর এমন কথা শোনার পর বিচারপতি মজুমদার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “একজন মহিলা কখনোই কৃতদাস নয়।”
তিনি আরো বলেন, “যদি আমরা মেয়ে মানুষ নিয়ে এমনটাই প্রত্যাশা করি তাহলে সেটা হবে নিষ্ঠুরতা এবং এতে করে কখনোই বিয়ে নিরাপদ হবে না।”
ফেলো বিচারপতি অনুপ মোথা দুই বিচারকদ্বয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, “পারিবারিকভাবে বিয়েতে পাত্র-পাত্রী পরস্পর পরস্পরকে আগে থেকে জেনে নেয়া উচিৎ। তাহলে এমন সমস্যা এড়ানো সম্ভব।”
এক্ষেত্রে বিচারকরা প্রত্যেক বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, “পারিবারিকভাবে বিয়ের আগে প্রত্যেক বাবা-মায়ের কর্তব্য তারা কী চায় কিভাবে চায় বিষয়গুলো ঠিক করা।”
আলোচিত এই মামলার বিচারকদ্বয় বাদীপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কনডম, রান্নাবান্না করতে না পারা কিংবা ঘরদোর পরিষ্কার এমনসব কারণে তালাকের আবেদন অবশ্যই সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।”
তারা বলেন, “পারিবারিকভাবে যেহেতু বিয়ে হয়েছে তাই এ ব্যাপারগুলো আগেই জানা উচিত ছিল। এখন ওজর আপত্তি মোটেও কাম্য নয়।”
২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ওই বছর জুনে এই মামলার বাদীনি প্রিণা স্বামীগৃহ ত্যাগ করেন। (এখানে গোপণীয়তা রক্ষার্থে এই দম্পত্তির আসল পরিচয় ও নাম দেয়া হয়নি)।
বিচারপতি পিবি মজুমদার তার রায়ে বলেন, “ওই স্ত্রী সন্তান চেয়েছিল কিন্তু তার আগে অর্থনৈতিক সাবলম্বী হওয়াও দরকার বিষয়টি অনুভব করছিল। প্রত্যেক মা-বাবাই চান সন্তানের সুরক্ষিত ভালো জীবন। তাই একজন দায়িত্বশীল স্বামী অবশ্যই স্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত।”
মি. বাপাত বলেন, “আমার মক্কেল চান তার স্ত্রী শিক্ষিত এবং স্ত্রী হিসেবে ঘরের সব কাজ করবে।”
বাদীপক্ষের আইনজীবীর এমন কথা শোনার পর বিচারপতি মজুমদার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “একজন মহিলা কখনোই কৃতদাস নয়।”
তিনি আরো বলেন, “যদি আমরা মেয়ে মানুষ নিয়ে এমনটাই প্রত্যাশা করি তাহলে সেটা হবে নিষ্ঠুরতা এবং এতে করে কখনোই বিয়ে নিরাপদ হবে না।”
ফেলো বিচারপতি অনুপ মোথা দুই বিচারকদ্বয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, “পারিবারিকভাবে বিয়েতে পাত্র-পাত্রী পরস্পর পরস্পরকে আগে থেকে জেনে নেয়া উচিৎ। তাহলে এমন সমস্যা এড়ানো সম্ভব।”
এক্ষেত্রে বিচারকরা প্রত্যেক বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, “পারিবারিকভাবে বিয়ের আগে প্রত্যেক বাবা-মায়ের কর্তব্য তারা কী চায় কিভাবে চায় বিষয়গুলো ঠিক করা।”
No comments