চিত্র-বিচিত্র by আশীষ-উর-রহমান
আম্রমুকুল ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল/ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল—এমনই ছিল কবিতায়। পঞ্জিকায় এখন মাঘ মাস। ফাল্গুনের আগেই মুকুল এসে গেছে আমের শাখায় শাখায়। অবশ্য এখনো তার প্রাচুর্য সর্বত্র লক্ষণীয় নয়। ঢাকা শহরে ফলের গাছের মধ্যে কিছু আমগাছ এখনো টিকে আছে কোনো কোনো বাড়ির আঙিনায়, পথের পাশে বা মোড়ে।
তাদেরই কোনো কোনোটি ভরে উঠেছে মুকুলে। হয়তো এগুলো আগাম জাতের। কিংবা ঋতুবদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সঙ্গোপনে। পুরোনো বাড়ির জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ শুরু হলে যত ভালো জাতেরই হোক না কেন, কোপ পড়বে এদেরও গোড়ায়। যেভাবে আগে উজাড় হয়েছে অনেকে। যারা টিকে আছে এখনো উদ্যত অদৃশ্য কুড়ালের তলায়, তাদের শাখা জানান দিচ্ছে, ফুরিয়ে আসছে কুহেলিজড়ানো শীতের দিন। সামনে বসন্ত অপেক্ষমাণ। ঋতুবদলের আভাস প্রকৃতিই টের পায় সবার আগে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে এই মুকুলের উদ্গম। অগণিত যানবাহনের উচ্চকিত শব্দে হয়তো শাখায় শাখায় ভোমরের গুঞ্জন টানবে না নাগারিক শ্রবণে। তবুও আর কয়েকদিন বাদেই মুকুলের প্রাচুর্য দেখা দেবে শাখায় শাখায়। তখন হয়তো হঠাত্ দখিনা হাওয়ার ঝাপটায় ভেসে আসা সদ্যফোটা মুকুলের মৃদু সৌরভ; কোনো ব্যস্ত পথিককে এই কৃত্রিম শহর থেকে ক্ষণকালের জন্য ফিরিয়ে নিয়ে যাবে স্মৃতির মধ্যে, ফেলে আসা কোনো এক দুরন্ত দিনে।
ওড়াউড়ির দিন
আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর বলেই এখন সবাই তাঁকে চেনেন। অবশ্য এক সময় যেমন জনপ্রিয় ছিলেন টিভি পর্দায় উপস্থাপনায়, তেমনি ছাত্রদের কাছেও ছিলেন প্রিয় শিক্ষক। তাঁর বক্তৃতার ভক্তের সংখ্যাও অনেক। নাম না বললেও চিনতে অসুবিধা হয় না, এই বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। অধ্যাপনা থেকে অবসর নিয়েছেন সেই ১৯৯২ সালে। তবে কাজ থেকে অবসর নেই। বরং হরেক রকমের কাজে ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। তাই ঠিক করেছেন এখন থেকে অন্তত সপ্তাহে দিনদুয়েক ঢাকা শহর থেকে চলে যাবেন একেবারে নিভৃত পাড়াগাঁয়ে। একটু অবসর, নিজের মতো করে একটু পড়ালেখা করার জন্যই এই ব্যবস্থা, জানালেন তিনি। জায়গাটি অবশ্য ঢাকা থেকে খুব দূরে নয়, সোনারগাঁয়ে। এবারের একুশের মেলায় তাঁর একটিই বই বের হচ্ছে সময় প্রকাশনী থেকে ওড়াউড়ির দিন। ভ্রমণকাহিনি। একটু আলাদা ধরনের। অনেকটা গল্পের মতো করে লেখা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের নানা অভিজ্ঞতা। আরও অন্তত চারটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি মোটামুটি তৈরি হয়ে আছে, কিন্তু নানা ঝুটঝামেলায় চূড়ান্ত করা হয়নি। এর মধ্যে আছে আত্মজীবনী বহে জলবতী ধারার দ্বিতীয় খণ্ড, সাক্ষাত্কার নিয়ে অন্তরঙ্গালাপ, বক্তৃতা নিয়ে একটি বই এবং ভ্রমণকাহিনির দ্বিতীয় খণ্ড। এগুলো শেষ পর্যন্ত এবারের বইমেলায় আসবে কি না তা নিশ্চিত নয়। গত বছরটি লেখালেখির কাজে তেমন এগোতে পারেননি, সেজন্য অসুস্থতাও কিছুটা দায়ী। আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বললেন, সংগঠনের কাজ নিয়ে প্রচুর সময় চলে যায়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এ বছর সারা দেশের সাড়ে চার হাজার স্কুল-কলেজে শাখা করবে। এটি একটি নতুন কর্মসূচি। এতে নয় লাখ শিক্ষার্থী কেন্দ্রের পঠন-পাঠনের আওতায় আসবে। এ ছাড়া নিয়মিত বইপড়া প্রতিযোগিতা তো থাকবেই। কেন্দ্রের কর্মসূচি ছাড়াও পরিবেশ আন্দোলন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠ্যক্রম, সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি—এসব নিয়েও কাজ করতে হচ্ছে। বলছিলেন, ‘অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে যেতে বললে না গিয়ে উপায় থাকে না। এত বছর ধরে এত মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, তাদের অনেকেরই সহায়তা পেয়েছি বিভিন্ন সময়। কাজেই আবদার এড়ানো যায় না। এসব করতে গিয়ে নিজের সৃজনশীল কাজ ঠিকমতো করা হয় না।’ তিনি বলছিলেন, ‘বাঙালির সংগঠন করার অভিজ্ঞতা ছিল না। সংগঠন ছিল না। আমরা প্রথম প্রজন্মে সংগঠন করছি। অনেক বড় বড় সংগঠন হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তিগতভাবে নিজের জায়গা থেকে অন্তত আমাকে কিছুটা সরে আসতে হয়েছে। ছাড় দিতে হয়েছে।’ তা সত্ত্বেও প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪। প্রথম প্রবন্ধের বই প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৬ সালে দুর্বলতায় রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য প্রবন্ধ। লিখেছেন নানা বিষয়ে। গল্পের বই তিনটি—রোদন রূপসী, খরযৌবনের বন্দী, নদী ও চাষীর গল্প। স্মৃতিকথা বিদায় অবন্তী!, এ ছাড়া আছে আত্মস্মৃতি, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনিসহ বিভিন্ন ধরনের রচনা। ম্যাগসেসে পুরস্কার ২০০৪ সালে, পরের বছর একুশে পদক। কাজ করে চলেছেন নিরন্তর। তাঁর নিজের ভাষায়—‘ক্ষমা নেই। সামাজিকভাবে কত জনের কাছে কত ঋণ আছে। যত দূর পারা যায় শোধ করার চেষ্টা তো করতে হবে।’
মৃগয়া
আগের দিনে রাজা-মহারাজারা পাইক-পেয়াদা লোকলস্কর সমভিব্যাহারে মৃগয়ায় বের হতেন। বনজঙ্গল তোলপাড় করে তারা বাঘ, হরিণ শিকার করে বীরদর্পে ফিরতেন রাজধানীতে। এখন সেই রাজাগজার দিনও বিগত, সেই বনজঙ্গলও উজাড়। তদুপরি শিকার বন্ধ হয়নি একেবারে। শীতে যেসব অতিথি পাখি আসে দূরদূরান্ত থেকে, চোরাশিকারিরা তাদের জাল বা বিষটোপ দিয়ে শিকার করে। সুন্দরবনে গিয়ে একটি চক্র শিকার করে হরিণ। মাঝে মাঝে এর সচিত্র সংবাদও প্রকাশিত হয় পত্রপত্রিকায়। যে যত্সামান্য বনভূমি কোনোমতে এখনো টিকে আছে, তার খাদ্যশৃঙ্খলও ভেঙে পড়েছে। খাদ্যের সন্ধানে সেসব বনের পশু লোকালয়ে এসে লোকের হাতে মারা পড়ে। এর মধ্যে এক সংঘবদ্ধ সহিংসতার কবলে পড়েছে সুন্দরবনের পাশ্ববর্তী বাগেরহাট জোলার বনের প্রাণিকুল। সেখানে উত্তরাঞ্চলের আদিবাসী সাঁওতাল শিকারিরা দলবেঁধে গিয়ে মেতে উঠেছেন বন্যপ্রাণী শিকারে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পত্রপত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন বণ্যপ্রাণী ও পাখিবিশেষজ্ঞ শরীফ খান। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যা জানা গেল সেই চিত্র বড়ই উদ্বেগজনক। শরীফ খান বললেন, সুন্দরবন-সংলগ্ন এই জেলার ফকিরহাট উপজেলার বনজঙ্গল জীববৈচিত্র্যে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এখানে বহু দুর্লভ ও বিপন্নপ্রায় প্রজাতির প্রাণী ও পাখির বাস। সারা দেশে নগরায়ণ, বসতবাড়ি, পথ ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, সর্বোপরি পতিত জমিতে চাষাবাদ শুরু করায় গ্রামীণ বনাঞ্চল প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় আমাদের দেশের গ্রামীণ জঙ্গলের প্রাণীরা তাদের আবাস হারিয়েছে। তাদের সংখ্যাই শুধু কমেনি, অনেক প্রজাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজ এলাকায় বনজঙ্গল না থাকায় উত্তারাঞ্চলের সাঁওতাল শিকারিরা প্রতিবছর শীতকালে দলবেঁধে বাগেরহাটে এসে তীরধনুক, টাঙ্গি ও বল্লম দিয়ে মূল্যবান প্রাণী ও পাখি শিকার করছেন। ১৯৯৮ সাল থেকে বাগেরহাটে সাঁওতাল শিকারিরা হানা দিতে শুরু করেন। প্রথম দিকে কম থাকলেও দিনে দিনে তাঁদের সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর প্রায় দেড়শ শিকারি এসেছেন শিকার করতে। এর মধ্যেই শেয়াল, বড় খাটাশ, ছোট খাটাশ, বনবিড়াল, বেজি, গুইসাপ, ভোঁদড়, বাঘডাস, মেছোবিড়াল, সজারুসহ দুই শতাধিক প্রাণী তাঁরা শিকার করছেন। স্থানীয় ওয়াইল্ড লাইফ ক্লাবের সদস্যরা তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তবে তাতে খুব একটা ফল হয়নি।
তীরধনুক-সজ্জিত দলবদ্ধ শিকারিরা অনেক সময় পাল্টা আক্রমণ করে বসেন। এ ছাড়া তাঁরা লোকালয়ে না এসে বনে বনে ঘুরে শিকার করতে থাকেন বলে সব সময় তাঁদের বাধাও দেওয়া যায় না। প্রতিবছর এমন দলবদ্ধ শিকার চলতে থাকলে অচিরেই এই জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ বনগুলো বন্যপ্রাণীশূন্য হয়ে পড়বে।
শরিফ খান জানালেন, সাঁওতাল শিকারিরা প্রাণী ও পাখি শিকার করে সেগুলো আগুনে ঝলসে লোম ছাড়িয়ে নেন। এরপর কেটে মাংস রোদে শুকিয়ে শুঁটকি করে রাখেন। সারা বছর তাঁরা এই শুঁটকি মাংস খান। বন্যপ্রাণী হত্যা যে আইনত দণ্ডনীয়, সে বিষয়টি তাঁরা অনেকেই জানেন না। যাঁরা জানেন, তাঁরাও এর তোয়াক্কা করেন না। তাঁদের চিরাচরিত সামাজিক রীতি অনুসারে শীতের সময় শিকার করতে বের হন। উত্তরাঞ্চলের গ্রামীণ বনে শিকার না পেয়ে তাঁরা চলে এসেছেন সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকায়। এসব সাঁওতাল শিকারির হাত থেকে এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি শিকার থেকে বিরত রাখতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের সচেতন করতে বেসরকারি সংস্থাগুলো কাজ করতে পারে বলে তাঁর অভিমত।
ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন
বড়দের উত্সব শেষ, আগামী রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ছোটদের চলচ্চিত্র উত্সব। চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ তৃতীয় বারের মতো আয়োজন করেছে ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামীর স্বপ্ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উত্সব। শাহবাগে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার হবে উত্সবের মূল কেন্দ্র। এ ছাড়া শিশু একাডেমী, স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্রিটিশ কাউন্সিল, রাশিয়ান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, জার্মান সাংস্কৃতি কেন্দ্র, আলিয়ঁস ফ্রঁসেসের ধানমন্ডি ও উত্তরা কেন্দ্র, ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং আগারগাঁও, মিরপুর ও খিলগাঁওয়ের মোট ১২টি কেন্দ্রে ৪৮টি দেশের প্রায় ২১১টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এবারের উত্সবে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তপন সিনহার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকবে শিশুতোষ চলচ্চিত্র নিয়ে ‘তপন সিনহা রেট্রেস্পেকটিভ’। বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত ৩৫টি চলচ্চিত্র নিয়ে বিশেষ প্রতিযোগিতা। পাঁচ সদস্যের শিশু বিচারকমণ্ডলী পাঁচটি ছবিকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করবে। এ ছাড়া শিশুদর্শকদের ভোটে তিনটি ছবিকে দেওয়া হবে ‘দর্শক পুরস্কার’। উত্সব পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম জানালেন, শিশুরা বিনামূল্যে ছবিগুলো দেখতে পারবে। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আলাদা করে ছবিগুলো দেখার ব্যবস্থা করা হবে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, উত্সব উপলক্ষে সারা দেশের ১২৫ জন শিশুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ নেবে। উত্সব উপলক্ষে নিয়মিত বুলেটিন প্রকাশ, সেমিনার, মতবিনিময়সহ নানা কর্মসূচি থাকবে। উত্সব চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
অর্থনীতির চালচিত্র
নিজের বিষয়ে তিনি লব্ধপ্রতিষ্ঠ দেশে ও বিদেশে। বিষয়টি অর্থনীতি। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দী ধরে দেশের ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন এ বিষয়ে। অধ্যাপক মোজাফফ্র আহমদের গবেষণার বিষয় অর্থনীতির গণ্ডি পেরিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও বিস্তৃত। এসব নিয়েই তাঁর সুচিন্তিত প্রবন্ধের বই জাতীয়তাবাদের অর্থনীতি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে প্রথমা প্রকাশনী থেকে। বইতে প্রবন্ধ আছে আটটি। বিভিন্ন সময়ে তিনি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেসব স্মারক বক্তৃতা করেছেন বা ভাষণ দিয়েছেন, সেগুলোই প্রকাশিত হয়েছে গ্রন্থাকারে। নাম জাতীয়তাবাদের অর্থনীতি। গত শতকের আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্র মুক্তবাজারের পক্ষে উন্নয়নশীল দেশেগুলোর ওপর সাহায্য-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই প্রবন্ধটি লেখা। এতে প্রতিরক্ষণের ধারণা উন্নত দেশগুলোর উন্নয়নে যে কতটা গভীর অবদান রেখেছে, সেবিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য প্রবন্ধগুলো হলো—মুক্তবাজার অর্থনীতি : প্রাসঙ্গিক বিচার; সঞ্চয়, ভোগ, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন তত্ত্ব : বাংলাদেশসহ এশীয় কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশের অভিজ্ঞতা ও অবস্থান; সামরিক শাসন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন; শতবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি : লর্ড জন মেনার্ড কেইনস; বৈশ্বিক রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোকে সবার জন্য স্বাস্থ্য; বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাদর্শন : এডওয়ার্ড শিলেসর ভাবনা এবং নৈতিক ব্যাংকিং ও পেশাজীবীর দায়বদ্ধতা। কাইয়ুম চৌধুরীর প্রচ্ছদ, অফসেট কাগজে ঝকঝকে ছাপা। বইটি পাওয়া যাচ্ছে আজিজ সুপার মার্কেটে প্রথমার বিক্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে।
পুনর্জন্ম
প্রাচ্যনাট মঞ্চে নিয়ে আসছে হেনরিক ইবসেনের নাটক পুনর্জন্ম। আগামী ২৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। ইবসেনের ‘হোয়েন উই ডেড এ্যাওকেন’ অবলম্বনে নাটকটি পুনর্জন্ম নাম দিয়ে বাংলায় রূপান্তর করেছেন শহীদুল মামুন। নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। পুনর্জন্ম গত বছর অনুষ্ঠিত ইবসেন উত্সবে প্রথম মঞ্চায়ন করেছিল প্রাচ্যনাট। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, ঋতু এ সাত্তার, শরিফুল ইসলাম, তৌফিকুল ইসলাম এবং সানজিদা প্রীতি।
আশীষ-উর-রহমান: সাংবাদিক।
ওড়াউড়ির দিন
আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর বলেই এখন সবাই তাঁকে চেনেন। অবশ্য এক সময় যেমন জনপ্রিয় ছিলেন টিভি পর্দায় উপস্থাপনায়, তেমনি ছাত্রদের কাছেও ছিলেন প্রিয় শিক্ষক। তাঁর বক্তৃতার ভক্তের সংখ্যাও অনেক। নাম না বললেও চিনতে অসুবিধা হয় না, এই বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। অধ্যাপনা থেকে অবসর নিয়েছেন সেই ১৯৯২ সালে। তবে কাজ থেকে অবসর নেই। বরং হরেক রকমের কাজে ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। তাই ঠিক করেছেন এখন থেকে অন্তত সপ্তাহে দিনদুয়েক ঢাকা শহর থেকে চলে যাবেন একেবারে নিভৃত পাড়াগাঁয়ে। একটু অবসর, নিজের মতো করে একটু পড়ালেখা করার জন্যই এই ব্যবস্থা, জানালেন তিনি। জায়গাটি অবশ্য ঢাকা থেকে খুব দূরে নয়, সোনারগাঁয়ে। এবারের একুশের মেলায় তাঁর একটিই বই বের হচ্ছে সময় প্রকাশনী থেকে ওড়াউড়ির দিন। ভ্রমণকাহিনি। একটু আলাদা ধরনের। অনেকটা গল্পের মতো করে লেখা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের নানা অভিজ্ঞতা। আরও অন্তত চারটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি মোটামুটি তৈরি হয়ে আছে, কিন্তু নানা ঝুটঝামেলায় চূড়ান্ত করা হয়নি। এর মধ্যে আছে আত্মজীবনী বহে জলবতী ধারার দ্বিতীয় খণ্ড, সাক্ষাত্কার নিয়ে অন্তরঙ্গালাপ, বক্তৃতা নিয়ে একটি বই এবং ভ্রমণকাহিনির দ্বিতীয় খণ্ড। এগুলো শেষ পর্যন্ত এবারের বইমেলায় আসবে কি না তা নিশ্চিত নয়। গত বছরটি লেখালেখির কাজে তেমন এগোতে পারেননি, সেজন্য অসুস্থতাও কিছুটা দায়ী। আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বললেন, সংগঠনের কাজ নিয়ে প্রচুর সময় চলে যায়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এ বছর সারা দেশের সাড়ে চার হাজার স্কুল-কলেজে শাখা করবে। এটি একটি নতুন কর্মসূচি। এতে নয় লাখ শিক্ষার্থী কেন্দ্রের পঠন-পাঠনের আওতায় আসবে। এ ছাড়া নিয়মিত বইপড়া প্রতিযোগিতা তো থাকবেই। কেন্দ্রের কর্মসূচি ছাড়াও পরিবেশ আন্দোলন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠ্যক্রম, সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি—এসব নিয়েও কাজ করতে হচ্ছে। বলছিলেন, ‘অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে যেতে বললে না গিয়ে উপায় থাকে না। এত বছর ধরে এত মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, তাদের অনেকেরই সহায়তা পেয়েছি বিভিন্ন সময়। কাজেই আবদার এড়ানো যায় না। এসব করতে গিয়ে নিজের সৃজনশীল কাজ ঠিকমতো করা হয় না।’ তিনি বলছিলেন, ‘বাঙালির সংগঠন করার অভিজ্ঞতা ছিল না। সংগঠন ছিল না। আমরা প্রথম প্রজন্মে সংগঠন করছি। অনেক বড় বড় সংগঠন হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তিগতভাবে নিজের জায়গা থেকে অন্তত আমাকে কিছুটা সরে আসতে হয়েছে। ছাড় দিতে হয়েছে।’ তা সত্ত্বেও প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪। প্রথম প্রবন্ধের বই প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৬ সালে দুর্বলতায় রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য প্রবন্ধ। লিখেছেন নানা বিষয়ে। গল্পের বই তিনটি—রোদন রূপসী, খরযৌবনের বন্দী, নদী ও চাষীর গল্প। স্মৃতিকথা বিদায় অবন্তী!, এ ছাড়া আছে আত্মস্মৃতি, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনিসহ বিভিন্ন ধরনের রচনা। ম্যাগসেসে পুরস্কার ২০০৪ সালে, পরের বছর একুশে পদক। কাজ করে চলেছেন নিরন্তর। তাঁর নিজের ভাষায়—‘ক্ষমা নেই। সামাজিকভাবে কত জনের কাছে কত ঋণ আছে। যত দূর পারা যায় শোধ করার চেষ্টা তো করতে হবে।’
মৃগয়া
আগের দিনে রাজা-মহারাজারা পাইক-পেয়াদা লোকলস্কর সমভিব্যাহারে মৃগয়ায় বের হতেন। বনজঙ্গল তোলপাড় করে তারা বাঘ, হরিণ শিকার করে বীরদর্পে ফিরতেন রাজধানীতে। এখন সেই রাজাগজার দিনও বিগত, সেই বনজঙ্গলও উজাড়। তদুপরি শিকার বন্ধ হয়নি একেবারে। শীতে যেসব অতিথি পাখি আসে দূরদূরান্ত থেকে, চোরাশিকারিরা তাদের জাল বা বিষটোপ দিয়ে শিকার করে। সুন্দরবনে গিয়ে একটি চক্র শিকার করে হরিণ। মাঝে মাঝে এর সচিত্র সংবাদও প্রকাশিত হয় পত্রপত্রিকায়। যে যত্সামান্য বনভূমি কোনোমতে এখনো টিকে আছে, তার খাদ্যশৃঙ্খলও ভেঙে পড়েছে। খাদ্যের সন্ধানে সেসব বনের পশু লোকালয়ে এসে লোকের হাতে মারা পড়ে। এর মধ্যে এক সংঘবদ্ধ সহিংসতার কবলে পড়েছে সুন্দরবনের পাশ্ববর্তী বাগেরহাট জোলার বনের প্রাণিকুল। সেখানে উত্তরাঞ্চলের আদিবাসী সাঁওতাল শিকারিরা দলবেঁধে গিয়ে মেতে উঠেছেন বন্যপ্রাণী শিকারে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পত্রপত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন বণ্যপ্রাণী ও পাখিবিশেষজ্ঞ শরীফ খান। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যা জানা গেল সেই চিত্র বড়ই উদ্বেগজনক। শরীফ খান বললেন, সুন্দরবন-সংলগ্ন এই জেলার ফকিরহাট উপজেলার বনজঙ্গল জীববৈচিত্র্যে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এখানে বহু দুর্লভ ও বিপন্নপ্রায় প্রজাতির প্রাণী ও পাখির বাস। সারা দেশে নগরায়ণ, বসতবাড়ি, পথ ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, সর্বোপরি পতিত জমিতে চাষাবাদ শুরু করায় গ্রামীণ বনাঞ্চল প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় আমাদের দেশের গ্রামীণ জঙ্গলের প্রাণীরা তাদের আবাস হারিয়েছে। তাদের সংখ্যাই শুধু কমেনি, অনেক প্রজাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজ এলাকায় বনজঙ্গল না থাকায় উত্তারাঞ্চলের সাঁওতাল শিকারিরা প্রতিবছর শীতকালে দলবেঁধে বাগেরহাটে এসে তীরধনুক, টাঙ্গি ও বল্লম দিয়ে মূল্যবান প্রাণী ও পাখি শিকার করছেন। ১৯৯৮ সাল থেকে বাগেরহাটে সাঁওতাল শিকারিরা হানা দিতে শুরু করেন। প্রথম দিকে কম থাকলেও দিনে দিনে তাঁদের সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর প্রায় দেড়শ শিকারি এসেছেন শিকার করতে। এর মধ্যেই শেয়াল, বড় খাটাশ, ছোট খাটাশ, বনবিড়াল, বেজি, গুইসাপ, ভোঁদড়, বাঘডাস, মেছোবিড়াল, সজারুসহ দুই শতাধিক প্রাণী তাঁরা শিকার করছেন। স্থানীয় ওয়াইল্ড লাইফ ক্লাবের সদস্যরা তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তবে তাতে খুব একটা ফল হয়নি।
তীরধনুক-সজ্জিত দলবদ্ধ শিকারিরা অনেক সময় পাল্টা আক্রমণ করে বসেন। এ ছাড়া তাঁরা লোকালয়ে না এসে বনে বনে ঘুরে শিকার করতে থাকেন বলে সব সময় তাঁদের বাধাও দেওয়া যায় না। প্রতিবছর এমন দলবদ্ধ শিকার চলতে থাকলে অচিরেই এই জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ বনগুলো বন্যপ্রাণীশূন্য হয়ে পড়বে।
শরিফ খান জানালেন, সাঁওতাল শিকারিরা প্রাণী ও পাখি শিকার করে সেগুলো আগুনে ঝলসে লোম ছাড়িয়ে নেন। এরপর কেটে মাংস রোদে শুকিয়ে শুঁটকি করে রাখেন। সারা বছর তাঁরা এই শুঁটকি মাংস খান। বন্যপ্রাণী হত্যা যে আইনত দণ্ডনীয়, সে বিষয়টি তাঁরা অনেকেই জানেন না। যাঁরা জানেন, তাঁরাও এর তোয়াক্কা করেন না। তাঁদের চিরাচরিত সামাজিক রীতি অনুসারে শীতের সময় শিকার করতে বের হন। উত্তরাঞ্চলের গ্রামীণ বনে শিকার না পেয়ে তাঁরা চলে এসেছেন সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকায়। এসব সাঁওতাল শিকারির হাত থেকে এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি শিকার থেকে বিরত রাখতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের সচেতন করতে বেসরকারি সংস্থাগুলো কাজ করতে পারে বলে তাঁর অভিমত।
ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন
বড়দের উত্সব শেষ, আগামী রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ছোটদের চলচ্চিত্র উত্সব। চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ তৃতীয় বারের মতো আয়োজন করেছে ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামীর স্বপ্ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উত্সব। শাহবাগে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার হবে উত্সবের মূল কেন্দ্র। এ ছাড়া শিশু একাডেমী, স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্রিটিশ কাউন্সিল, রাশিয়ান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, জার্মান সাংস্কৃতি কেন্দ্র, আলিয়ঁস ফ্রঁসেসের ধানমন্ডি ও উত্তরা কেন্দ্র, ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং আগারগাঁও, মিরপুর ও খিলগাঁওয়ের মোট ১২টি কেন্দ্রে ৪৮টি দেশের প্রায় ২১১টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এবারের উত্সবে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তপন সিনহার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকবে শিশুতোষ চলচ্চিত্র নিয়ে ‘তপন সিনহা রেট্রেস্পেকটিভ’। বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত ৩৫টি চলচ্চিত্র নিয়ে বিশেষ প্রতিযোগিতা। পাঁচ সদস্যের শিশু বিচারকমণ্ডলী পাঁচটি ছবিকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করবে। এ ছাড়া শিশুদর্শকদের ভোটে তিনটি ছবিকে দেওয়া হবে ‘দর্শক পুরস্কার’। উত্সব পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম জানালেন, শিশুরা বিনামূল্যে ছবিগুলো দেখতে পারবে। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আলাদা করে ছবিগুলো দেখার ব্যবস্থা করা হবে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, উত্সব উপলক্ষে সারা দেশের ১২৫ জন শিশুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ নেবে। উত্সব উপলক্ষে নিয়মিত বুলেটিন প্রকাশ, সেমিনার, মতবিনিময়সহ নানা কর্মসূচি থাকবে। উত্সব চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
অর্থনীতির চালচিত্র
নিজের বিষয়ে তিনি লব্ধপ্রতিষ্ঠ দেশে ও বিদেশে। বিষয়টি অর্থনীতি। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দী ধরে দেশের ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন এ বিষয়ে। অধ্যাপক মোজাফফ্র আহমদের গবেষণার বিষয় অর্থনীতির গণ্ডি পেরিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও বিস্তৃত। এসব নিয়েই তাঁর সুচিন্তিত প্রবন্ধের বই জাতীয়তাবাদের অর্থনীতি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে প্রথমা প্রকাশনী থেকে। বইতে প্রবন্ধ আছে আটটি। বিভিন্ন সময়ে তিনি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেসব স্মারক বক্তৃতা করেছেন বা ভাষণ দিয়েছেন, সেগুলোই প্রকাশিত হয়েছে গ্রন্থাকারে। নাম জাতীয়তাবাদের অর্থনীতি। গত শতকের আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্র মুক্তবাজারের পক্ষে উন্নয়নশীল দেশেগুলোর ওপর সাহায্য-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই প্রবন্ধটি লেখা। এতে প্রতিরক্ষণের ধারণা উন্নত দেশগুলোর উন্নয়নে যে কতটা গভীর অবদান রেখেছে, সেবিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য প্রবন্ধগুলো হলো—মুক্তবাজার অর্থনীতি : প্রাসঙ্গিক বিচার; সঞ্চয়, ভোগ, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন তত্ত্ব : বাংলাদেশসহ এশীয় কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশের অভিজ্ঞতা ও অবস্থান; সামরিক শাসন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন; শতবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি : লর্ড জন মেনার্ড কেইনস; বৈশ্বিক রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোকে সবার জন্য স্বাস্থ্য; বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাদর্শন : এডওয়ার্ড শিলেসর ভাবনা এবং নৈতিক ব্যাংকিং ও পেশাজীবীর দায়বদ্ধতা। কাইয়ুম চৌধুরীর প্রচ্ছদ, অফসেট কাগজে ঝকঝকে ছাপা। বইটি পাওয়া যাচ্ছে আজিজ সুপার মার্কেটে প্রথমার বিক্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে।
পুনর্জন্ম
প্রাচ্যনাট মঞ্চে নিয়ে আসছে হেনরিক ইবসেনের নাটক পুনর্জন্ম। আগামী ২৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। ইবসেনের ‘হোয়েন উই ডেড এ্যাওকেন’ অবলম্বনে নাটকটি পুনর্জন্ম নাম দিয়ে বাংলায় রূপান্তর করেছেন শহীদুল মামুন। নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। পুনর্জন্ম গত বছর অনুষ্ঠিত ইবসেন উত্সবে প্রথম মঞ্চায়ন করেছিল প্রাচ্যনাট। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, ঋতু এ সাত্তার, শরিফুল ইসলাম, তৌফিকুল ইসলাম এবং সানজিদা প্রীতি।
আশীষ-উর-রহমান: সাংবাদিক।
No comments