প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-ভোট শ্রীলঙ্কার, দায়িত্ব বিশ্বের by ক্রিস প্যাটেন
শ্রীলঙ্কার ভোটারদের জন্য দুঃখ হয়। ২৬ জানুয়ারির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের এমন দুই প্রার্থীর একজনকে বেছে নিতে হবে, যাঁরা খোলাখুলি পরস্পরকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করে যাচ্ছেন। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল শরত ফনসেকা ও প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে উভয়ই যেসব শ্রীলঙ্কানদের কাছে যুদ্ধজয়ী বীর বলে গণ্য,
তাঁদেরকে এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দ্বিধার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। শ্রীলঙ্কার সংখ্যাগুরু সিংহলিদের অনেকেই মনে করে, দুই প্রার্থীই গত বছরের শেষের দিকে বিপুল প্রাণের বিনিময়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং বিদ্রোহী তামিল টাইগারদের নির্মূল করার কৃতিত্বের দাবিদার।
সিংহলিদের জাতীয়তাবাদী ভোট এভাবে ভাগ হয়ে যাওয়ায় উভয় প্রার্থীই এখন জাতিগত সংখ্যালঘু তামিলদের ভোট আকর্ষণ করাতে তাঁদের সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছেন। যে তামিলদের তাঁরা বঞ্চনা ও দমন-পীড়ন-নির্যাতনের মধ্যে রেখেছেন, যাদের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেই যুদ্ধ করা হয়েছে, তাদের কাছেই ভোটের জন্য হাজির হওয়া ২০১০ সালে সবচেয়ে অদ্ভুত রাজনৈতিক পরিহাসগুলোর একটি। প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে ও জেনারেল ফনসেকার হাতেই বিপুলসংখ্যক বেসামরিক তামিল জনসাধারণের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে ৩০ বছরের রক্তাক্ত সংঘাতের অবসান ঘটে।
যুদ্ধের শেষাশেষি গত বছরের মে মাসে জাতিসংঘের হিসাবে সাত হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয় এবং আহত হয় ১০ হাজারেরও বেশি। মূল হত্যাকাণ্ড ঘটে যখন শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী অবশিষ্ট বিদ্রোহী এবং লাখ লাখ সাধারণ তামিলের বিরুদ্ধে আক্রমণের জাল গুটিয়ে আনতে থাকে। সে অবস্থায় বহু বেসামরিক মানুষ সরকারি বোমাবর্ষণের মধ্যে পড়ে যায়। যুদ্ধের শেষ দুই সপ্তাহে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের হাতে মারা পড়ে অজস্র বেসামরিক মানুষ।
যুদ্ধের পরও তামিলদের দুর্ভোগ চলতে থাকে। সরকার প্রায় আড়াই লাখ ঘরবাড়িছাড়া তামিলকে অবরোধ করে রাখে। ছয় মাসের বেশি সময় তাদের শ্রীলঙ্কা ও আন্তর্জাতিক আইনকানুন ভঙ্গ করে অবরোধ করে রাখা হয়। বন্দিশিবিরগুলোর অবস্থা ছিল ভয়ংকর, কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, এমনকি স্বাধীন সাংবাদিকেরা পর্যন্ত সেখানে যেতে পারেননি। কাঁটাতারের ঘেরাটোপ আর সশস্ত্র পাহারা দিয়ে নিশ্চিত করা হয় যে, কোনো তামিল যেন বাইরের কারও কাছে তাদের দুর্দশার কথা বলতে না পারে।
২০০৯ সালের শেষের দিকে বেশির ভাগ তামিলকে ওই সব শিবির থেকে সরানো হয় এবং ক্যাম্পে থাকা এক লাখ তামিলকে কিছুটা স্বাধীনতা দেওয়া হয়। এসবই হয়েছে মূলত আন্তর্জাতিক চাপ এবং তামিলদের ভোট জয়ের স্বার্থে। এর পরও যে দেড় লাখের মতো তামিলকে ক্যাম্পের বাইরে আনা হয়, তারা আসলে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে পারেনি। তাদের নিজ নিজ জেলার ‘ট্রানজিট সেন্টারে’ আটকে রাখা হয়।
তাই নিজেকে তামিলের অবস্থানে ফেলে দেখলে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও নৃশংসতা চালানোর নির্দেশদাতা প্রেসিডেন্ট এবং সেসব নির্দেশ বাস্তবায়নকারী সেনাপতির মধ্যে কোনো একজনকে বেছে নেওয়া খুবই কঠিন।
তামিলদের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান তামিল জাতীয় জোট গত ৪ জানুয়ারি শান্তি ও সমঝোতার জন্য ফনসেকার ১০ দফা কর্মসূচিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয়। ফনসেকা তামিল এলাকার বেসামরিকীকরণ করে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং প্রধানত উত্তর তামিল এলাকার দিকে মনোযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। হতে পারে যে, শ্রীলঙ্কার শীর্ষ নেতৃত্বের একটি অংশের মধ্যে এই উপলব্ধি এসেছে যে, দশকের পর দশক ধরে চলা নৃশংস জাতিগত সংঘাতের পর শান্তি আসার একমাত্র পথ হলো সিংহলিদের প্রাধান্যে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে তামিলদের সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা।
কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণায় বলা কথার চেয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে নেওয়া পদক্ষেপই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে অতীতের অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়। এটা কল্পনা করা খুবই কঠিন যে, দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর কেউ প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের পদক্ষেপ নেবেন এবং তামিল জনগোষ্ঠীকে কোণঠাসা অবস্থা থেকে বের করে আনবেন। দশকের পর দশকের রক্তপাতের উত্স ছিল যে বৈষম্য ও বিদ্বেষ, তার অবসান না হলে তামিলদের হতাশা ও অবমাননা থেকে আবারও সশস্ত্র বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
যা হোক, শ্রীলঙ্কার ভোটারদের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয়টা বরং পরিষ্কার। যিনিই বিজয়ী হোন না কেন, বাইরের দুনিয়ার উচিত তাদের সব কল-কবজা ব্যবহার করে সরকারকে গণহিংসা ও বৈষম্যের গোড়ার কারণগুলো দূর করায় চাপ প্রয়োগ করে যাওয়া। দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে দাতা দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন, ভারত, জাপান, পশ্চিমা দেশগুলো, বিশ্বব্যাংক, এডিবির উচিত গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সংহত করা, সত্যিকার বাসস্থানচ্যুত জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসিত করা এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত ও সামরিকায়িত উত্তরাঞ্চলের পুনর্গঠন পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার কাজে তাদের শক্তি ও সামর্থ্যকে নিয়োজিত করা। সাহায্যকে এসব কাজের সঙ্গে শর্তযুক্ত করা উচিত। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে এসব কর্মসূচি তদারকি ও পর্যবেক্ষণের পূর্ণ সুযোগ পায়, যাতে করে আন্তর্জাতিক তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় এবং সাহায্য পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার যেন অক্ষুণ্ন থাকে।
হয়তো দুই প্রার্থীর মধ্যে পার্থক্য বেশি কিছু নয়। কিন্তু নতুন করে শক্তিপ্রাপ্ত বিরোধী দল ও সরকারি দলের এই প্রতিযোগিতা সংস্কারের প্রসঙ্গটিতে সামনে নিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক চাপ এই ছোট্ট খোলাজানালাকে আরও প্রশস্ত করায় কাজে লাগুক। যে দেশ তিক্ত শান্তি আর ভয়ংকর যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসতে চায়, তার জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্রায়ণ ও বেসামরিকীকরণ।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত।
ক্রিস প্যাটেন: ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান।
সিংহলিদের জাতীয়তাবাদী ভোট এভাবে ভাগ হয়ে যাওয়ায় উভয় প্রার্থীই এখন জাতিগত সংখ্যালঘু তামিলদের ভোট আকর্ষণ করাতে তাঁদের সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছেন। যে তামিলদের তাঁরা বঞ্চনা ও দমন-পীড়ন-নির্যাতনের মধ্যে রেখেছেন, যাদের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেই যুদ্ধ করা হয়েছে, তাদের কাছেই ভোটের জন্য হাজির হওয়া ২০১০ সালে সবচেয়ে অদ্ভুত রাজনৈতিক পরিহাসগুলোর একটি। প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে ও জেনারেল ফনসেকার হাতেই বিপুলসংখ্যক বেসামরিক তামিল জনসাধারণের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে ৩০ বছরের রক্তাক্ত সংঘাতের অবসান ঘটে।
যুদ্ধের শেষাশেষি গত বছরের মে মাসে জাতিসংঘের হিসাবে সাত হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয় এবং আহত হয় ১০ হাজারেরও বেশি। মূল হত্যাকাণ্ড ঘটে যখন শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী অবশিষ্ট বিদ্রোহী এবং লাখ লাখ সাধারণ তামিলের বিরুদ্ধে আক্রমণের জাল গুটিয়ে আনতে থাকে। সে অবস্থায় বহু বেসামরিক মানুষ সরকারি বোমাবর্ষণের মধ্যে পড়ে যায়। যুদ্ধের শেষ দুই সপ্তাহে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের হাতে মারা পড়ে অজস্র বেসামরিক মানুষ।
যুদ্ধের পরও তামিলদের দুর্ভোগ চলতে থাকে। সরকার প্রায় আড়াই লাখ ঘরবাড়িছাড়া তামিলকে অবরোধ করে রাখে। ছয় মাসের বেশি সময় তাদের শ্রীলঙ্কা ও আন্তর্জাতিক আইনকানুন ভঙ্গ করে অবরোধ করে রাখা হয়। বন্দিশিবিরগুলোর অবস্থা ছিল ভয়ংকর, কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, এমনকি স্বাধীন সাংবাদিকেরা পর্যন্ত সেখানে যেতে পারেননি। কাঁটাতারের ঘেরাটোপ আর সশস্ত্র পাহারা দিয়ে নিশ্চিত করা হয় যে, কোনো তামিল যেন বাইরের কারও কাছে তাদের দুর্দশার কথা বলতে না পারে।
২০০৯ সালের শেষের দিকে বেশির ভাগ তামিলকে ওই সব শিবির থেকে সরানো হয় এবং ক্যাম্পে থাকা এক লাখ তামিলকে কিছুটা স্বাধীনতা দেওয়া হয়। এসবই হয়েছে মূলত আন্তর্জাতিক চাপ এবং তামিলদের ভোট জয়ের স্বার্থে। এর পরও যে দেড় লাখের মতো তামিলকে ক্যাম্পের বাইরে আনা হয়, তারা আসলে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে পারেনি। তাদের নিজ নিজ জেলার ‘ট্রানজিট সেন্টারে’ আটকে রাখা হয়।
তাই নিজেকে তামিলের অবস্থানে ফেলে দেখলে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও নৃশংসতা চালানোর নির্দেশদাতা প্রেসিডেন্ট এবং সেসব নির্দেশ বাস্তবায়নকারী সেনাপতির মধ্যে কোনো একজনকে বেছে নেওয়া খুবই কঠিন।
তামিলদের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান তামিল জাতীয় জোট গত ৪ জানুয়ারি শান্তি ও সমঝোতার জন্য ফনসেকার ১০ দফা কর্মসূচিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয়। ফনসেকা তামিল এলাকার বেসামরিকীকরণ করে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং প্রধানত উত্তর তামিল এলাকার দিকে মনোযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। হতে পারে যে, শ্রীলঙ্কার শীর্ষ নেতৃত্বের একটি অংশের মধ্যে এই উপলব্ধি এসেছে যে, দশকের পর দশক ধরে চলা নৃশংস জাতিগত সংঘাতের পর শান্তি আসার একমাত্র পথ হলো সিংহলিদের প্রাধান্যে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে তামিলদের সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা।
কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণায় বলা কথার চেয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে নেওয়া পদক্ষেপই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে অতীতের অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়। এটা কল্পনা করা খুবই কঠিন যে, দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর কেউ প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের পদক্ষেপ নেবেন এবং তামিল জনগোষ্ঠীকে কোণঠাসা অবস্থা থেকে বের করে আনবেন। দশকের পর দশকের রক্তপাতের উত্স ছিল যে বৈষম্য ও বিদ্বেষ, তার অবসান না হলে তামিলদের হতাশা ও অবমাননা থেকে আবারও সশস্ত্র বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
যা হোক, শ্রীলঙ্কার ভোটারদের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয়টা বরং পরিষ্কার। যিনিই বিজয়ী হোন না কেন, বাইরের দুনিয়ার উচিত তাদের সব কল-কবজা ব্যবহার করে সরকারকে গণহিংসা ও বৈষম্যের গোড়ার কারণগুলো দূর করায় চাপ প্রয়োগ করে যাওয়া। দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে দাতা দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন, ভারত, জাপান, পশ্চিমা দেশগুলো, বিশ্বব্যাংক, এডিবির উচিত গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সংহত করা, সত্যিকার বাসস্থানচ্যুত জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসিত করা এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত ও সামরিকায়িত উত্তরাঞ্চলের পুনর্গঠন পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার কাজে তাদের শক্তি ও সামর্থ্যকে নিয়োজিত করা। সাহায্যকে এসব কাজের সঙ্গে শর্তযুক্ত করা উচিত। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে এসব কর্মসূচি তদারকি ও পর্যবেক্ষণের পূর্ণ সুযোগ পায়, যাতে করে আন্তর্জাতিক তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় এবং সাহায্য পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার যেন অক্ষুণ্ন থাকে।
হয়তো দুই প্রার্থীর মধ্যে পার্থক্য বেশি কিছু নয়। কিন্তু নতুন করে শক্তিপ্রাপ্ত বিরোধী দল ও সরকারি দলের এই প্রতিযোগিতা সংস্কারের প্রসঙ্গটিতে সামনে নিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক চাপ এই ছোট্ট খোলাজানালাকে আরও প্রশস্ত করায় কাজে লাগুক। যে দেশ তিক্ত শান্তি আর ভয়ংকর যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসতে চায়, তার জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্রায়ণ ও বেসামরিকীকরণ।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত।
ক্রিস প্যাটেন: ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান।
No comments