চারদিক-খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগ ডে-২০১০ by উম্মে উমামা
দুই-তিন মাস ধরে ছাত্রছাত্রীদের চোখে ঘুম নেই। খাওয়া-দাওয়ারও ঠিক নেই। ঠিক নেই ক্লাসের সময়েরও। শুধু মিটিং আর আলোচনা—কীভাবে আরও বেশি জমজমাট করা যায়, অন্য সব বছর থেকে বেশি মজা করা যায়, এবারের র্যাগ ডে-২০১০।
বিশ্ববিদ্যালয়ের-২০০৬ ব্যাচের ছাত্রছাত্রীরা তাই ভীষণ ব্যস্ত। র্যাগ ডের আগের এক সপ্তাহ তো তাঁদের কেটেছে উত্তেজনায়। মেয়েদের কী কম চিন্তা! সবার এক রঙের শাড়ি, তার সঙ্গে সব কিছু মিল করে কত কী যে কিনতে হবে! কত মজাই না করবেন তাঁরা বন্ধুদের সঙ্গে। দেখতে দেখতে কেমন করে চার-চারটি বছর পার করে দিলেন তাঁরা, ভাবতেই অবাক লাগে! এসব বন্ধুকে ফেলে রেখে চলে যেতে হবে কর্মজীবনে। চিরচেনা এই ক্যাম্পাস কী তাঁদের মনে রাখবে? শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাই তো র্যাগ ডে উদ্যাপনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে চান মুহূর্তগুলো।
জানুয়ারির ১৫ ও ১৬ তারিখ ছিল র্যাগ ডের অনুষ্ঠান। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় যেন সেজেছিল উত্সবের আনন্দে। পাঁচ দিন আগে থেকেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে-কানাচে আলো জ্বল জ্বল করছে। আর জানাচ্ছে-০৬ ব্যাচের আনন্দ মুহূর্তকে। র্যাগ ডের আগের রাত থেকেই ছাত্রছাত্রীরা মেতে উঠেছিলেন আমোদে। রাতে আলোকসজ্জা দেখার জন্য বেরিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার আগুন জ্বালিয়ে করেছেন নৈশভোজ। দূরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কটকা মনুমেন্ট থেকে ভেসে আসছে কয়েকজনের মিলিত কণ্ঠ—‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই...।’
রাত তখন নয়টা। অপরাজিতা হলের শেষ বর্ষের ছাত্রীদের মনে হলের গেট বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও কোন সংশয় দেখা যায় না। তাঁরাও মেতে উঠেছেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়।
১৫ জানুয়ারি। খুলনা শহরবাসী তাকিয়ে আছে তাঁদের দিকে—অদ্ভুত সাজে বড় বড় রং-বেরঙের প্লাকার্ড, মুখোশ নিয়ে সাতটি ট্রাক আর তিনটি বাস চলেছে শহরের ভেতর দিয়ে। চলেছে হই-হই শব্দে। শোভাযাত্রায় লাল, বাসন্তী, কমলা, সবুজ রঙের আটপৌরে শাড়ি পরেছেন ছাত্রীরা। তারাও কম যান না, বাসের মধ্য থেকে হাত বের করে শহরবাসীকে অভিবাদন জানাতে ব্যস্ত তাঁরাও। শোভাযাত্রা শেষ হলো দুপুর ১২টার দিকে। ক্যাম্পাসে এসে গাড়ি থেকে নামতেই কোত্থেকে একদল ছাত্র ছুটে এসে আবিরে রাঙিয়ে দিলেন সবাইকে। শুরু হয়ে গেল রঙের খেলা—কে কার গায়ে কত রং দিতে পারেন! কিছুক্ষণ পর চেহারাই বদলে গেল সবার। গোলাপি, নীল রং মেখে বোঝাই যাচ্ছে না, কে সিলভি আর কে সৌরভ।
কিছুক্ষণ পর যে যাঁর মতো চলে যান, কারণ বিকেলে আবারও ক্যাম্পাসে আসতে হবে—সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৬ জানুয়ারি, বেলা ১১টা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন শাহ ৪৮৮ জন গ্র্যাজুয়েটের হাতে তুলে দিলেন ক্রেস্ট। প্রধান অতিথির আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা ।
সন্ধ্যায় মেতে ওঠে আরেকবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যান্ড গ্রুপ Warfej-এর মেটাল মিউজিক আর গানের দোলায় মাতোয়ারা হলো বিশ্ববিদ্যালয়। ‘রক্তিম আকাশ স্তব্ধ সেখানে ফিরবে না আর জানিয়ে গেলে...।’ নাচে আর গানে মাতাল হলো কনসার্ট।
দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নেওয়া র্যাগ ডের এই বিশাল আয়োজন দুই দিনেই শেষ হয়। কিন্তু ‘স্বপ্নের দূত’ (Emissary of Envisions) দের নিয়ে যায় সুদূরের দিকে। স্বপ্নোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ হাতছানি দিয়ে ডাকে তাঁদের। সাঙ্গ হলো ছাত্রজীবনের এই চিরচেনা পরিবেশ।
জানুয়ারির ১৫ ও ১৬ তারিখ ছিল র্যাগ ডের অনুষ্ঠান। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় যেন সেজেছিল উত্সবের আনন্দে। পাঁচ দিন আগে থেকেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে-কানাচে আলো জ্বল জ্বল করছে। আর জানাচ্ছে-০৬ ব্যাচের আনন্দ মুহূর্তকে। র্যাগ ডের আগের রাত থেকেই ছাত্রছাত্রীরা মেতে উঠেছিলেন আমোদে। রাতে আলোকসজ্জা দেখার জন্য বেরিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার আগুন জ্বালিয়ে করেছেন নৈশভোজ। দূরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কটকা মনুমেন্ট থেকে ভেসে আসছে কয়েকজনের মিলিত কণ্ঠ—‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই...।’
রাত তখন নয়টা। অপরাজিতা হলের শেষ বর্ষের ছাত্রীদের মনে হলের গেট বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও কোন সংশয় দেখা যায় না। তাঁরাও মেতে উঠেছেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়।
১৫ জানুয়ারি। খুলনা শহরবাসী তাকিয়ে আছে তাঁদের দিকে—অদ্ভুত সাজে বড় বড় রং-বেরঙের প্লাকার্ড, মুখোশ নিয়ে সাতটি ট্রাক আর তিনটি বাস চলেছে শহরের ভেতর দিয়ে। চলেছে হই-হই শব্দে। শোভাযাত্রায় লাল, বাসন্তী, কমলা, সবুজ রঙের আটপৌরে শাড়ি পরেছেন ছাত্রীরা। তারাও কম যান না, বাসের মধ্য থেকে হাত বের করে শহরবাসীকে অভিবাদন জানাতে ব্যস্ত তাঁরাও। শোভাযাত্রা শেষ হলো দুপুর ১২টার দিকে। ক্যাম্পাসে এসে গাড়ি থেকে নামতেই কোত্থেকে একদল ছাত্র ছুটে এসে আবিরে রাঙিয়ে দিলেন সবাইকে। শুরু হয়ে গেল রঙের খেলা—কে কার গায়ে কত রং দিতে পারেন! কিছুক্ষণ পর চেহারাই বদলে গেল সবার। গোলাপি, নীল রং মেখে বোঝাই যাচ্ছে না, কে সিলভি আর কে সৌরভ।
কিছুক্ষণ পর যে যাঁর মতো চলে যান, কারণ বিকেলে আবারও ক্যাম্পাসে আসতে হবে—সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৬ জানুয়ারি, বেলা ১১টা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন শাহ ৪৮৮ জন গ্র্যাজুয়েটের হাতে তুলে দিলেন ক্রেস্ট। প্রধান অতিথির আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা ।
সন্ধ্যায় মেতে ওঠে আরেকবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যান্ড গ্রুপ Warfej-এর মেটাল মিউজিক আর গানের দোলায় মাতোয়ারা হলো বিশ্ববিদ্যালয়। ‘রক্তিম আকাশ স্তব্ধ সেখানে ফিরবে না আর জানিয়ে গেলে...।’ নাচে আর গানে মাতাল হলো কনসার্ট।
দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নেওয়া র্যাগ ডের এই বিশাল আয়োজন দুই দিনেই শেষ হয়। কিন্তু ‘স্বপ্নের দূত’ (Emissary of Envisions) দের নিয়ে যায় সুদূরের দিকে। স্বপ্নোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ হাতছানি দিয়ে ডাকে তাঁদের। সাঙ্গ হলো ছাত্রজীবনের এই চিরচেনা পরিবেশ।
No comments