সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে-অবৈধ ভিওআইপি
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভিওআইপির (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) অবৈধ ব্যবহার বন্ধে অধিকসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে লাইসেন্স দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আমরা তাকে সময়োচিত পদক্ষেপ বলেই মনে করি। দীর্ঘদিন ধরেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঝেমধ্যে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে ভিওআইপির যন্ত্রপাতি উদ্ধার ও জরিমানা করলেও তাদের তত্পরতা বিন্দুমাত্র কমেনি। সমস্যাটি অনুধাবন করেই সম্ভবত সরকার আরও বেশিসংখ্যক ভিওআইপি লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিন্তু যে উদ্দেশ্যে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পূরণ হবে কি না সেটি নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগ সেবা নীতিমালা (আইএলডিটিএস) পরিবর্তন করা না-করার ওপর। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নতুন আইএলডিটিএস নীতিমালায় বেশিসংখ্যক লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলা হলেও লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া কী হবে, তা পরিষ্কার নয়। লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়ার পরিবর্তন না করে শুধু অধিকসংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিলে খুব বেশি ফায়দা হবে না। বর্তমান নীতিমালায় ব্যবসার লভ্যাংশ ভাগাভাগির কথা বলা আছে। অর্থাত্ লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানি যে আয় করবে, তার একটি অংশ সরকারকে দিতে হবে। এ ছাড়া মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রতিটি কোম্পানিকে লাইসেন্স নিতে হয়েছে। অবৈধ ব্যবসায়ীদের সেসব বালাই নেই। ফলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অনেক কম মাসুল নিয়ে থাকে। অধিকসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদেরও আইনি কাঠামোর আওতায় আনতে হবে।
সে ক্ষেত্রে বর্তমানে কয়েকটি কোম্পানি থেকে ব্যবসার লভ্যাংশ বাবদ যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি আয় হবে। অন্যদিকে লাইসেন্স ফি কমালে অনেক অবৈধ ব্যবসায়ীও লাইসেন্স নিতে উত্সাহী হবেন। যত বেশি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নেবে, সরকারের রাজস্ব আয়ও তত বাড়বে। লাইসেন্সধারী ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারের উচ্চ ফি ও লভ্যাংশ ভাগাভাগির কারণে গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশি মাসুল আদায় করতে হচ্ছে। লাইসেন্স ফি কমালে কিংবা লাইসেন্স পাওয়ার শর্ত শিথিল করলে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার প্রবণতাও কমে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, কেউ যাতে একচেটিয়া ব্যবসা করতে না পারে, সরকার সে পদক্ষেপ নেবে। শুধু কথায় নয়, কাজেও তা প্রমাণ দিতে হবে। আর লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই দলীয়করণ বা স্বজনপ্রীতি কাম্য নয়। প্রকৃত ও যোগ্য ব্যবসায়ীরা লাইসেন্স পেলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশে ফোন করার সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসাই বন্ধ হবে না, জনগণও স্বল্প খরচে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা পাবে।
কিন্তু যে উদ্দেশ্যে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পূরণ হবে কি না সেটি নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগ সেবা নীতিমালা (আইএলডিটিএস) পরিবর্তন করা না-করার ওপর। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নতুন আইএলডিটিএস নীতিমালায় বেশিসংখ্যক লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলা হলেও লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া কী হবে, তা পরিষ্কার নয়। লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়ার পরিবর্তন না করে শুধু অধিকসংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিলে খুব বেশি ফায়দা হবে না। বর্তমান নীতিমালায় ব্যবসার লভ্যাংশ ভাগাভাগির কথা বলা আছে। অর্থাত্ লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানি যে আয় করবে, তার একটি অংশ সরকারকে দিতে হবে। এ ছাড়া মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রতিটি কোম্পানিকে লাইসেন্স নিতে হয়েছে। অবৈধ ব্যবসায়ীদের সেসব বালাই নেই। ফলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অনেক কম মাসুল নিয়ে থাকে। অধিকসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদেরও আইনি কাঠামোর আওতায় আনতে হবে।
সে ক্ষেত্রে বর্তমানে কয়েকটি কোম্পানি থেকে ব্যবসার লভ্যাংশ বাবদ যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি আয় হবে। অন্যদিকে লাইসেন্স ফি কমালে অনেক অবৈধ ব্যবসায়ীও লাইসেন্স নিতে উত্সাহী হবেন। যত বেশি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নেবে, সরকারের রাজস্ব আয়ও তত বাড়বে। লাইসেন্সধারী ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারের উচ্চ ফি ও লভ্যাংশ ভাগাভাগির কারণে গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশি মাসুল আদায় করতে হচ্ছে। লাইসেন্স ফি কমালে কিংবা লাইসেন্স পাওয়ার শর্ত শিথিল করলে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার প্রবণতাও কমে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, কেউ যাতে একচেটিয়া ব্যবসা করতে না পারে, সরকার সে পদক্ষেপ নেবে। শুধু কথায় নয়, কাজেও তা প্রমাণ দিতে হবে। আর লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই দলীয়করণ বা স্বজনপ্রীতি কাম্য নয়। প্রকৃত ও যোগ্য ব্যবসায়ীরা লাইসেন্স পেলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশে ফোন করার সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসাই বন্ধ হবে না, জনগণও স্বল্প খরচে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা পাবে।
No comments