মানুষের মুখ-পাথরঘাটা থেকে জেনেভা by বিশ্বজিত্ চৌধুরী
ন্যায্যতা, প্রেম ও শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে ১৮৪৪ সালে যাত্রা শুরু করেছিল ইয়াংম্যান খ্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইএমসিএ)। ইংল্যান্ডের মাটিতে জন্ম নিলেও দেড় শ বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের ১২৪টি দেশে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। শ্লাঘার বিষয়,
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সাড়ে চার কোটি সদস্যের এই সংগঠনে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ দেশেরই একজন। গত ছয় বছর ধরে এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব পদে কাজ করছেন বাংলাদেশের বার্থলোমিও প্রত্যুষ সাহা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে নির্বাচিত বিশ্ব ওয়াইএমসিএর প্রথম মহাসচিব বার্থলোমিও। কোরিয়াকে তো পুরোপুরি তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলা চলে না। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে ওয়াইএমসিএর ১৬০ বছরের ইতিহাসে তিনিই তৃতীয় বিশ্বের প্রথম প্রতিনিধি।
বরিশালের ছেলে বার্থলোমিও পিতার জীবিকাসূত্রে বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। এ অঞ্চলের সুপরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট প্ল্যাসিডস হাইস্কুলের শিক্ষক প্রয়াত পিটার সাহার ১১ সন্তানের মধ্যে সবার বড় তিনি।
চট্টগ্রামের পাথরঘাটার ছোট্ট পৈতৃক নিবাসটিতে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। ছোটবেলা থেকেই তাই সৃজনশীলতার চর্চা আর মানুষের জন্য কাজ করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা জন্মেছিল তাঁর মনে। স্বপ্ন পূরণের ধারাবাহিকতায় আজ সুইজারল্যান্ডের জেনেভা হয়ে উঠেছে তাঁর কর্মস্থল, বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত সেই কর্মের পরিধি।
জানতে চেয়েছিলাম, এত বড় একটি কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলেন কী করে, আপনাকে ওয়াইএমসিএর প্রধান নির্বাহী পদে নির্বাচন করা হলো কেন?
বার্থলোমিও বললেন, ‘১৯৭৩ সালে কাজ শুরু করেছিলাম চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএর মহাসচিব হিসেবে। এখানে কাজ করার সময় ওয়াইএমসিএকে নির্দিষ্ট একটি গণ্ডির বাইরে নিয়ে যাওয়াই ছিল আমার লক্ষ্য। এই সংগঠনের পরিবর্তিত আদর্শ ও লক্ষ্যের সঙ্গে আমার কাজের মিলটিই সম্ভবত দৃষ্টি কেড়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।’
চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএতে কাজ করার সময় সেবামূলক কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। রাবেয়া রহমান গলির বস্তিতে একটি বড় নালার দুপাশে প্রায় দুই হাজার লোক বাস করত মানবেতর পরিবেশে। পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নেই, চারপাশে স্তূপাকার বর্জ্য—সব মিলিয়ে চরম অস্বাস্থ্যকর অবস্থা। বার্থলোমিও তাঁর সংগঠনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ছাত্রদের নিয়ে একটি দল তৈরি করে এখানে কাজ করতে শুরু করেন। স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি বস্তিবাসীর পেশাগত উন্নতির দিকেও নজর দেন। এখানকার লোকেরা তখন নারকেলের ছোবড়া শুকিয়ে বিক্রি করতেন খুবই কম মূল্যে। বার্থলোমিওর সংগঠন তাঁদের অর্থনৈতিক সুবিধা ও ঋণ দিয়ে নারকেলের ছোবড়া থেকে দড়ি, পাপোশ ইত্যাদি তৈরি ও বিক্রির ব্যবস্থা করে দিল। মাছ ধরার নৌকা-সাম্পান ও ছোট ছোট বোটের জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর শক্ত দড়ির। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দড়ির জোগান দিয়ে বস্তিবাসী মোটামুটি সচ্ছল হয়ে উঠেছিল। এভাবে একটি ইতিবাচক কাজের সূচনা হয়েছে। শুধু দারিদ্র্য বিমোচন নয়, চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএ ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে তরুণদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও উদ্দীপ্ত করার চেষ্টা করেছে। বার্থলোমিও এখানকার মহাসচিব থাকাকালে ড্রামা ক্লাব গঠিত হয়েছে, নানারকম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে এই সংগঠনের উদ্যোগে। বার্থলোমিও বললেন, ‘সংগঠনের নামের মধ্যে খ্রিশ্চিয়ান শব্দটি যুক্ত থাকলেও আমরা এর দরজা-জানালা খুলে দিতে পেরেছিলাম, আলো-হাওয়ায় ভরে গিয়েছিল আমাদের এই অঙ্গন। আমাদের একজন সাংস্কৃতিক সংগঠক ছিলেন পাসকেল বিশ্বাস, তখন জিয়া হায়দার, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মমতাজউদ্দীন আহমদের মতো খ্যাতিমান কবি-লেখক-নাট্যকারেরা সাড়া দিয়েছিলেন আমাদের আহ্বানে। তাঁরা আসতেন, নাটকের পাণ্ডুলিপি পাঠ হতো, অভিনয় হতো। তরুণদের মধ্যে সত্যিকার অর্থেই তৈরি হয়েছিল এক ধরনের উদ্দীপনা, প্রেরণা।’
এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই বার্থলোমিও হংকংভিত্তিক এশিয়া ওয়াইএমসিএতে নেতৃত্ব উন্নয়ন বিভাগে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ, এশিয়া-প্যাসিফিক হয়ে এখন তিনি প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নির্বাহীর পদে।
বার্থলোমিও স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন ঢাকা নটর ডেম কলেজ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং হংকং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
স্ত্রী এমিলি এবং দুই কন্যা সঙ্গীতা ও সুচিন্তাকে নিয়ে বার্থলোমিওর সংসার। এমিলি এক সময় ছিলেন শিক্ষিকা। এখন সংসার সামলানোর পাশাপাশি সামাজিক নানা কাজে সম্পৃক্ত। বড় মেয়ে সঙ্গীতা ব্যবসায় প্রশাসনে মাস্টার্স করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ছোট মেয়ে সুচিন্তা লন্ডন স্কুল অব মেডিসিন থেকে মাস্টার্স করে এখন ক্যানসার বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করছেন কানাডায়।
পরিবারের মধ্যেই পেয়েছিলেন সংস্কৃতিচর্চার অনুপ্রেরণা। তাঁর দুই ছোট বোন মার্গারেট বেবী সাহা ও আইরিন সাহা বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। নিজেও কিছুদিন সংগীতে তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ প্রিয়দারঞ্জন সেনগুপ্তের কাছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রকাশনার মধ্যে রয়েছে ইউ ডু উই কল, (১৯৭৭), লিডারস উই ওয়ান্ট (১৯৯৩), সিকিং অ্যাবান্ড্যান্ট লাইফ ফর অল (২০০০), ইউ আর জাস্ট লর্ড (২০০৭)। এ ছাড়া জাগরণী (১৯৮৪) ও আমার ভাষার জন্য (২০০৩) নামে তাঁর লেখা দুটি গানের সিডিও বেরিয়েছে।
বিশ্ব ওয়াইএমসিএর মহাসচিব হিসেবে ড. সাহা এখন কাজ করছেন বর্তমান বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে। বললেন, ‘হতাশা, অবক্ষয়, মাদকাসক্তির হাত থেকে তরুণদের রক্ষা করতে হবে, দেখাতে হবে শুভ ও সুন্দরের দিগন্ত-বিস্তৃত পথ। শুধু প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতার হাতটি বাড়াও পরস্পরের দিকে—এই আহ্বান জানাই আমরা, তাহলেই সুন্দর হয়ে উঠবে পৃথিবী।’
বার্থলোমিওর হাত ধরে বাংলাদেশের মানুষের শুভেচ্ছা ছড়িয়ে পড়ুক সারা পৃথিবীর কল্যাণকামী মানুষের মাঝে—এটাই তো চাই আমরা।
বরিশালের ছেলে বার্থলোমিও পিতার জীবিকাসূত্রে বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। এ অঞ্চলের সুপরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট প্ল্যাসিডস হাইস্কুলের শিক্ষক প্রয়াত পিটার সাহার ১১ সন্তানের মধ্যে সবার বড় তিনি।
চট্টগ্রামের পাথরঘাটার ছোট্ট পৈতৃক নিবাসটিতে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। ছোটবেলা থেকেই তাই সৃজনশীলতার চর্চা আর মানুষের জন্য কাজ করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা জন্মেছিল তাঁর মনে। স্বপ্ন পূরণের ধারাবাহিকতায় আজ সুইজারল্যান্ডের জেনেভা হয়ে উঠেছে তাঁর কর্মস্থল, বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত সেই কর্মের পরিধি।
জানতে চেয়েছিলাম, এত বড় একটি কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলেন কী করে, আপনাকে ওয়াইএমসিএর প্রধান নির্বাহী পদে নির্বাচন করা হলো কেন?
বার্থলোমিও বললেন, ‘১৯৭৩ সালে কাজ শুরু করেছিলাম চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএর মহাসচিব হিসেবে। এখানে কাজ করার সময় ওয়াইএমসিএকে নির্দিষ্ট একটি গণ্ডির বাইরে নিয়ে যাওয়াই ছিল আমার লক্ষ্য। এই সংগঠনের পরিবর্তিত আদর্শ ও লক্ষ্যের সঙ্গে আমার কাজের মিলটিই সম্ভবত দৃষ্টি কেড়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।’
চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএতে কাজ করার সময় সেবামূলক কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। রাবেয়া রহমান গলির বস্তিতে একটি বড় নালার দুপাশে প্রায় দুই হাজার লোক বাস করত মানবেতর পরিবেশে। পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নেই, চারপাশে স্তূপাকার বর্জ্য—সব মিলিয়ে চরম অস্বাস্থ্যকর অবস্থা। বার্থলোমিও তাঁর সংগঠনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ছাত্রদের নিয়ে একটি দল তৈরি করে এখানে কাজ করতে শুরু করেন। স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি বস্তিবাসীর পেশাগত উন্নতির দিকেও নজর দেন। এখানকার লোকেরা তখন নারকেলের ছোবড়া শুকিয়ে বিক্রি করতেন খুবই কম মূল্যে। বার্থলোমিওর সংগঠন তাঁদের অর্থনৈতিক সুবিধা ও ঋণ দিয়ে নারকেলের ছোবড়া থেকে দড়ি, পাপোশ ইত্যাদি তৈরি ও বিক্রির ব্যবস্থা করে দিল। মাছ ধরার নৌকা-সাম্পান ও ছোট ছোট বোটের জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর শক্ত দড়ির। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দড়ির জোগান দিয়ে বস্তিবাসী মোটামুটি সচ্ছল হয়ে উঠেছিল। এভাবে একটি ইতিবাচক কাজের সূচনা হয়েছে। শুধু দারিদ্র্য বিমোচন নয়, চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএ ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে তরুণদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও উদ্দীপ্ত করার চেষ্টা করেছে। বার্থলোমিও এখানকার মহাসচিব থাকাকালে ড্রামা ক্লাব গঠিত হয়েছে, নানারকম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে এই সংগঠনের উদ্যোগে। বার্থলোমিও বললেন, ‘সংগঠনের নামের মধ্যে খ্রিশ্চিয়ান শব্দটি যুক্ত থাকলেও আমরা এর দরজা-জানালা খুলে দিতে পেরেছিলাম, আলো-হাওয়ায় ভরে গিয়েছিল আমাদের এই অঙ্গন। আমাদের একজন সাংস্কৃতিক সংগঠক ছিলেন পাসকেল বিশ্বাস, তখন জিয়া হায়দার, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মমতাজউদ্দীন আহমদের মতো খ্যাতিমান কবি-লেখক-নাট্যকারেরা সাড়া দিয়েছিলেন আমাদের আহ্বানে। তাঁরা আসতেন, নাটকের পাণ্ডুলিপি পাঠ হতো, অভিনয় হতো। তরুণদের মধ্যে সত্যিকার অর্থেই তৈরি হয়েছিল এক ধরনের উদ্দীপনা, প্রেরণা।’
এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই বার্থলোমিও হংকংভিত্তিক এশিয়া ওয়াইএমসিএতে নেতৃত্ব উন্নয়ন বিভাগে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ, এশিয়া-প্যাসিফিক হয়ে এখন তিনি প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নির্বাহীর পদে।
বার্থলোমিও স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন ঢাকা নটর ডেম কলেজ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং হংকং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
স্ত্রী এমিলি এবং দুই কন্যা সঙ্গীতা ও সুচিন্তাকে নিয়ে বার্থলোমিওর সংসার। এমিলি এক সময় ছিলেন শিক্ষিকা। এখন সংসার সামলানোর পাশাপাশি সামাজিক নানা কাজে সম্পৃক্ত। বড় মেয়ে সঙ্গীতা ব্যবসায় প্রশাসনে মাস্টার্স করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ছোট মেয়ে সুচিন্তা লন্ডন স্কুল অব মেডিসিন থেকে মাস্টার্স করে এখন ক্যানসার বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করছেন কানাডায়।
পরিবারের মধ্যেই পেয়েছিলেন সংস্কৃতিচর্চার অনুপ্রেরণা। তাঁর দুই ছোট বোন মার্গারেট বেবী সাহা ও আইরিন সাহা বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। নিজেও কিছুদিন সংগীতে তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ প্রিয়দারঞ্জন সেনগুপ্তের কাছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রকাশনার মধ্যে রয়েছে ইউ ডু উই কল, (১৯৭৭), লিডারস উই ওয়ান্ট (১৯৯৩), সিকিং অ্যাবান্ড্যান্ট লাইফ ফর অল (২০০০), ইউ আর জাস্ট লর্ড (২০০৭)। এ ছাড়া জাগরণী (১৯৮৪) ও আমার ভাষার জন্য (২০০৩) নামে তাঁর লেখা দুটি গানের সিডিও বেরিয়েছে।
বিশ্ব ওয়াইএমসিএর মহাসচিব হিসেবে ড. সাহা এখন কাজ করছেন বর্তমান বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে। বললেন, ‘হতাশা, অবক্ষয়, মাদকাসক্তির হাত থেকে তরুণদের রক্ষা করতে হবে, দেখাতে হবে শুভ ও সুন্দরের দিগন্ত-বিস্তৃত পথ। শুধু প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতার হাতটি বাড়াও পরস্পরের দিকে—এই আহ্বান জানাই আমরা, তাহলেই সুন্দর হয়ে উঠবে পৃথিবী।’
বার্থলোমিওর হাত ধরে বাংলাদেশের মানুষের শুভেচ্ছা ছড়িয়ে পড়ুক সারা পৃথিবীর কল্যাণকামী মানুষের মাঝে—এটাই তো চাই আমরা।
No comments