জন্মদিন-দর্শকসারির মানুষ by সোহরাব হাসান
পশ্চিমা দেশগুলোতে রাজনীতিকেরা যেকোনো নাগরিকের চিঠি পেলে তার জবাব দেন, টেলিফোন পেলে টেলিফোনদাতার সঙ্গে কথা বলেন। মোবাইলে অজ্ঞাত নম্বরে মিসকল এলে ফিরতি ফোন করে জানতে চান, কে কী কারণে টেলিফোন করেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিকদের কাছ থেকে কি এটি আশা করা যায়? সাধারণত করা যায় না। কেননা তাঁরা নিজেদের অসাধারণ ভাবেন, না হলে নেতা হবেন কীভাবে? কিন্তু এই অসাধারণদের মধ্যেও দু-একজন ব্যতিক্রম আছেন।
তাঁদেরই একজন আবুল মাল আবদুল মুহিত। সাংবাদিক তো বটেই, যেকোনো নাগরিকের টেলিফোন তিনি নিজে ধরেন, কোনো কারণে টেলিফোন ধরতে না পারলে পরে নিশ্চিতভাবে খোঁজ নেবেন। অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি এ কাজটি করেন। ভোলেন না বন্ধু-সুহূদদের কাছে নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ড পাঠাতেও।
আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী। এটিই তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়। বাংলাদেশে কিংবা তারও আগে পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন গণ ও ছাত্র-আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৪৯ সালে তিনি যখন সিলেটের মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্র, তখন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী কলেজের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা চালায়। তাদের যুক্তি ছিল, পাকিস্তানি ভূমিতে হিন্দু জমিদারের নামে কলেজ হতে পারে না। সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে মুহিত এই অপপ্রয়াস রুখে দিতে আন্দোলন করলেন এবং সফলও হলেন। এরপর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনেও তিনি নিজেকে যুক্ত করেন। কিন্তু তাঁর নেতৃস্থানীয় ভূমিকা ছিল ১৯৫৫ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির আন্দোলনে। প্রদেশে তখন ৯২ক ধারা চলছিল। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। রাজনীতিকেরা কেউ জেলে, কেউ আত্মগোপনে। ছাত্রনেতারা সিদ্ধান্ত নিলেন, সরকারের আদেশ অমান্য করেই একুশের ভোরে কালো পতাকা তুলবেন, সমাবেশ করবেন। তৎকালীন কলাভবনের সামনে আমতলায় সমাবেশ আহ্বান করলে পুলিশ চারদিক থেকে তাঁদের ঘিরে ফেলে। অন্যদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হলেন আবুল মাল আবদুল মুহিতও। সে যাত্রায় তিনি দুই মাস কারাগারে ছিলেন। কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের ছাত্রনেতাদের পক্ষে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
এ তো গেল ছাত্রজীবন। কর্মজীবনে মুহিত দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। বহু বছর বিদেশে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক। ১৯৮১ সচিব পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর কাজ করেছেন ফোর্ড ফাউন্ডেশন ও ইফাদে। আশির দশকের মাঝামাঝি তিনি আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে উড্রো উইলসন স্কুলে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন। এর পরও নিজের দেশ, সমাজ ও সাধারণ মানুষকে তিনি ভোলেননি।
পরিকল্পনা কমিশনের সচিব থাকাকালে বার্ষিক প্রতিবেদনে তিনি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যকার অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরেন, যা পরবর্তীকালে জাতীয় পরিষদে বিতর্কের ভিত্তি হয়। সে সময়ই অধ্যাপক রেহমান সোবহানের আলোড়ন সৃষ্টি করা প্রবন্ধ এক পাকিস্তান: দুই অর্থনীতি প্রকাশিত হয়।
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৬৯ সালের গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৭১ সালে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে বাঙালি কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম পক্ষ ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এরপর মার্কিন সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাপক লবি করেন। উল্লেখ্য, নিক্সন প্রশাসন একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষ নিলেও বহু মার্কিন সিনেটর ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানান।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর পরামর্শে তিনি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও মহকুমাকে জেলায় রূপান্তরসংক্রান্ত দুটি প্রতিবেদন তৈরি করেন, পরে যা বাস্তবায়িত হয়। পাকিস্তানের কাছে আমাদের দায়দেনা-সংক্রান্ত প্রতিবেদনও তাঁর করা। আমলাতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকায় মুহিত এসব কাজ করেছেন নেপথ্যে থেকে, সামনে আসেননি। সামনে এলেন রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে। ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি সিলেট সদর আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। আওয়ামী লীগের যে নির্বাচনী ইশতেহার ব্যাপকভাবে আলোচিত এবং জনচিত্তে সাড়া জাগিয়েছে, তারও অন্যতম পরিকল্পক ও রচয়িতা তিনি।
সরকারি ও রাজনৈতিক দায়িত্বের বাইরেও আবুল মাল আবদুল মুহিতের একটি জগত্ আছে—শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি। ঢাকার যেকোনো সাংস্কৃতিক বা বিদ্বজনের অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায় দর্শকসারিতে, এমনকি মন্ত্রী হওয়ার পরও। তিনি ইংরেজি সাহিত্যের নামকরা ছাত্র, বিশ্বসাহিত্যের একজন অনুসন্ধানী পাঠক। বাংলা, ইংরেজিতে তাঁর বইয়ের সংখ্যা ২০টিরও বেশি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও জাতীয় ঐকমত্য, স্মৃতি অম্লান ১৯৭১, রাজনীতি: ঐকমত্যের সন্ধানে, বাংলাদেশের জনরাষ্ট্রের উদ্ভব, জেলায় জেলায় সরকার, বাংলাদেশ: ইমার্জেন্স অব এ নেশন, থটস অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, অ্যামেরিকান রেসপন্স টু বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার, ইস্যুজ অব গভর্ন্যান্স ইন বাংলাদেশ।
আমাদের নেতা-নেত্রীরা ক্ষমতায় থাকতে সরকারের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করতে চান না। এ ক্ষেত্রেও মুহিত ব্যতিক্রম। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, মন্দা কাটাতে পারলেও বিনিয়োগ বাড়াতে পারেননি।
সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ কী? জবাবে মুহিত বলেন, গৃহীত পরিকল্পনা যথাসময়ে ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। এ কাজটি একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও সৎ জনশক্তি।
অর্থমন্ত্রীর সামনে আরও একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা হলো মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পত্তির হিসাব প্রকাশ। এটি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও। এক বছর পার হলেও কেউ হিসাব দেননি। যদিও মুহিত হাল ছেড়ে দেননি। তিনি আশাবাদী মানুষ।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি। আজ তাঁর ৭৭তম জন্মজয়ন্তী। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই মন্ত্রী হিসেবে নয়, ভালোবাসার মানুষ হিসেবে।
তাঁদেরই একজন আবুল মাল আবদুল মুহিত। সাংবাদিক তো বটেই, যেকোনো নাগরিকের টেলিফোন তিনি নিজে ধরেন, কোনো কারণে টেলিফোন ধরতে না পারলে পরে নিশ্চিতভাবে খোঁজ নেবেন। অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি এ কাজটি করেন। ভোলেন না বন্ধু-সুহূদদের কাছে নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ড পাঠাতেও।
আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী। এটিই তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়। বাংলাদেশে কিংবা তারও আগে পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন গণ ও ছাত্র-আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৪৯ সালে তিনি যখন সিলেটের মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্র, তখন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী কলেজের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা চালায়। তাদের যুক্তি ছিল, পাকিস্তানি ভূমিতে হিন্দু জমিদারের নামে কলেজ হতে পারে না। সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে মুহিত এই অপপ্রয়াস রুখে দিতে আন্দোলন করলেন এবং সফলও হলেন। এরপর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনেও তিনি নিজেকে যুক্ত করেন। কিন্তু তাঁর নেতৃস্থানীয় ভূমিকা ছিল ১৯৫৫ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির আন্দোলনে। প্রদেশে তখন ৯২ক ধারা চলছিল। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। রাজনীতিকেরা কেউ জেলে, কেউ আত্মগোপনে। ছাত্রনেতারা সিদ্ধান্ত নিলেন, সরকারের আদেশ অমান্য করেই একুশের ভোরে কালো পতাকা তুলবেন, সমাবেশ করবেন। তৎকালীন কলাভবনের সামনে আমতলায় সমাবেশ আহ্বান করলে পুলিশ চারদিক থেকে তাঁদের ঘিরে ফেলে। অন্যদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হলেন আবুল মাল আবদুল মুহিতও। সে যাত্রায় তিনি দুই মাস কারাগারে ছিলেন। কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের ছাত্রনেতাদের পক্ষে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
এ তো গেল ছাত্রজীবন। কর্মজীবনে মুহিত দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। বহু বছর বিদেশে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক। ১৯৮১ সচিব পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর কাজ করেছেন ফোর্ড ফাউন্ডেশন ও ইফাদে। আশির দশকের মাঝামাঝি তিনি আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে উড্রো উইলসন স্কুলে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন। এর পরও নিজের দেশ, সমাজ ও সাধারণ মানুষকে তিনি ভোলেননি।
পরিকল্পনা কমিশনের সচিব থাকাকালে বার্ষিক প্রতিবেদনে তিনি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যকার অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরেন, যা পরবর্তীকালে জাতীয় পরিষদে বিতর্কের ভিত্তি হয়। সে সময়ই অধ্যাপক রেহমান সোবহানের আলোড়ন সৃষ্টি করা প্রবন্ধ এক পাকিস্তান: দুই অর্থনীতি প্রকাশিত হয়।
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৬৯ সালের গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৭১ সালে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে বাঙালি কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম পক্ষ ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এরপর মার্কিন সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাপক লবি করেন। উল্লেখ্য, নিক্সন প্রশাসন একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষ নিলেও বহু মার্কিন সিনেটর ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানান।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর পরামর্শে তিনি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও মহকুমাকে জেলায় রূপান্তরসংক্রান্ত দুটি প্রতিবেদন তৈরি করেন, পরে যা বাস্তবায়িত হয়। পাকিস্তানের কাছে আমাদের দায়দেনা-সংক্রান্ত প্রতিবেদনও তাঁর করা। আমলাতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকায় মুহিত এসব কাজ করেছেন নেপথ্যে থেকে, সামনে আসেননি। সামনে এলেন রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে। ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি সিলেট সদর আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। আওয়ামী লীগের যে নির্বাচনী ইশতেহার ব্যাপকভাবে আলোচিত এবং জনচিত্তে সাড়া জাগিয়েছে, তারও অন্যতম পরিকল্পক ও রচয়িতা তিনি।
সরকারি ও রাজনৈতিক দায়িত্বের বাইরেও আবুল মাল আবদুল মুহিতের একটি জগত্ আছে—শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি। ঢাকার যেকোনো সাংস্কৃতিক বা বিদ্বজনের অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায় দর্শকসারিতে, এমনকি মন্ত্রী হওয়ার পরও। তিনি ইংরেজি সাহিত্যের নামকরা ছাত্র, বিশ্বসাহিত্যের একজন অনুসন্ধানী পাঠক। বাংলা, ইংরেজিতে তাঁর বইয়ের সংখ্যা ২০টিরও বেশি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও জাতীয় ঐকমত্য, স্মৃতি অম্লান ১৯৭১, রাজনীতি: ঐকমত্যের সন্ধানে, বাংলাদেশের জনরাষ্ট্রের উদ্ভব, জেলায় জেলায় সরকার, বাংলাদেশ: ইমার্জেন্স অব এ নেশন, থটস অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, অ্যামেরিকান রেসপন্স টু বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার, ইস্যুজ অব গভর্ন্যান্স ইন বাংলাদেশ।
আমাদের নেতা-নেত্রীরা ক্ষমতায় থাকতে সরকারের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করতে চান না। এ ক্ষেত্রেও মুহিত ব্যতিক্রম। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, মন্দা কাটাতে পারলেও বিনিয়োগ বাড়াতে পারেননি।
সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ কী? জবাবে মুহিত বলেন, গৃহীত পরিকল্পনা যথাসময়ে ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। এ কাজটি একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও সৎ জনশক্তি।
অর্থমন্ত্রীর সামনে আরও একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা হলো মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পত্তির হিসাব প্রকাশ। এটি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও। এক বছর পার হলেও কেউ হিসাব দেননি। যদিও মুহিত হাল ছেড়ে দেননি। তিনি আশাবাদী মানুষ।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি। আজ তাঁর ৭৭তম জন্মজয়ন্তী। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই মন্ত্রী হিসেবে নয়, ভালোবাসার মানুষ হিসেবে।
No comments