এই অসহিষ্ণু রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন-সরকারি ও বিরোধী দলের বাগযুদ্ধ
সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ দুই দলের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। নিকট অতীতে দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে সাধারণ কুশল বিনিময়ের ঘটনাও বিরল।
তবুও যখন দুই নেত্রী মাঝেমধ্যে সেনাকুঞ্জে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাসিমুখে কথা বলেন, সবাই উত্সাহিত হন। কারণ, দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য দুই দল ও বিশেষত দুই নেত্রীর মধ্যে সৌহার্দ্যের সম্পর্ক একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু তিক্ত বাস্তবতা হলো, তাঁদের মধ্যে যখন নৈকট্য সবচেয়ে বেশি দরকার তখন বাড়ছে দূরত্ব।
সম্প্রতি নতুনভাবে এক বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর একটি বিরূপ উক্তি থেকে। ২০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী প্রায় অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের লাশের কথা বলে একটি বাক্স আনা হয়েছিল। কিন্তু আদৌ ওতে জিয়ার লাশ ছিল কি না জানি না...।’ এরপর বিএনপি মহলে যে প্রতিবাদের ঝড় উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই যখন বলছেন যে ওই বিষয়ের সত্যতা সম্পর্কে তিনি সন্দিহান, তিনি ‘জানেন না’, তাহলে এ রকম এক স্পর্শকাতর বিষয়ে তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে ওই উক্তি করলেন কেন? এটা তো বিরোধী দলকে বিবাদে লিপ্ত করার একটি কৌশলরূপে চিহ্নিত হতে বাধ্য।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খণ্ডন করতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ একে শুধু ‘কলঙ্কজনক ও কুরুচিপূর্ণ’ বলেই ক্ষান্ত হননি, ‘কোনো সাধারণ মানুষের মুখেও এমন কুরুচিপূর্ণ কথা আসে না’ বলে মন্তব্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কোনো মন্তব্যের সমালোচনা রাজনৈতিকভাবেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে মওদুদ আহমদ তাঁর দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে খাটো করতে গিয়ে আসলে তিনি বিএনপির মর্যাদাই খাটো করেছেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘যাঁরা সংসদ থেকে চাল-ডাল চুরি করেছেন, তাঁরাই এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করছেন।’ প্রত্যুত্তরে বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এইচ টি ইমামকে একজন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ব্যক্তি বলে অভিযোগ করেন। দুই দলের দুই দায়িত্বশীল নেতার মুখে এ ধরনের কথাকাটাকাটি মানায় না। কারণ, এগুলো আসলে উক্তি নয়, পরস্পরের বিরুদ্ধে কটূক্তিবিশেষ। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকতে পারে। দায়িত্বশীল নেতাদের কাজ হলো সেগুলো আইনসম্মতভাবে উপস্থাপন করা। সবকিছুরই একটা নিয়ম আছে। বড় বড় নেতা এসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে যেতে পারেন না।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পর সরকারি দলের বড় দায়িত্ব হলো, বিরোধী দলকে সংসদে নিয়ে আসার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। বিরোধী দলেরও কর্তব্য, সংসদে গিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির বিষয়ে তাদের সমালোচনা সংসদীয় বিতর্কের মাধ্যমে তুলে ধরা। কিন্তু এর বিপরীতে এখন সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে যে বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তা কেবল তাদের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়াবে।
রাজনীতিতে সুস্থতা ও সহনশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা এখন সবচেয়ে বেশি। গণতন্ত্র ও অসহিষ্ণু রাজনীতি একসঙ্গে চলতে পারে না। একটিকে বেছে নিতে হবে। আমরা আশা করব, উভয় পক্ষ শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে। বিশেষত, দুই নেত্রী দুই প্রধান দলের মধ্যে সহযোগিতার একটি কার্যকর পদ্ধতি বের করতে সচেষ্ট হবেন।
পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক উক্তি পরিহার করা এর প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত।
সম্প্রতি নতুনভাবে এক বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর একটি বিরূপ উক্তি থেকে। ২০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী প্রায় অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের লাশের কথা বলে একটি বাক্স আনা হয়েছিল। কিন্তু আদৌ ওতে জিয়ার লাশ ছিল কি না জানি না...।’ এরপর বিএনপি মহলে যে প্রতিবাদের ঝড় উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই যখন বলছেন যে ওই বিষয়ের সত্যতা সম্পর্কে তিনি সন্দিহান, তিনি ‘জানেন না’, তাহলে এ রকম এক স্পর্শকাতর বিষয়ে তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে ওই উক্তি করলেন কেন? এটা তো বিরোধী দলকে বিবাদে লিপ্ত করার একটি কৌশলরূপে চিহ্নিত হতে বাধ্য।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খণ্ডন করতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ একে শুধু ‘কলঙ্কজনক ও কুরুচিপূর্ণ’ বলেই ক্ষান্ত হননি, ‘কোনো সাধারণ মানুষের মুখেও এমন কুরুচিপূর্ণ কথা আসে না’ বলে মন্তব্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কোনো মন্তব্যের সমালোচনা রাজনৈতিকভাবেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে মওদুদ আহমদ তাঁর দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে খাটো করতে গিয়ে আসলে তিনি বিএনপির মর্যাদাই খাটো করেছেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘যাঁরা সংসদ থেকে চাল-ডাল চুরি করেছেন, তাঁরাই এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করছেন।’ প্রত্যুত্তরে বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এইচ টি ইমামকে একজন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ব্যক্তি বলে অভিযোগ করেন। দুই দলের দুই দায়িত্বশীল নেতার মুখে এ ধরনের কথাকাটাকাটি মানায় না। কারণ, এগুলো আসলে উক্তি নয়, পরস্পরের বিরুদ্ধে কটূক্তিবিশেষ। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকতে পারে। দায়িত্বশীল নেতাদের কাজ হলো সেগুলো আইনসম্মতভাবে উপস্থাপন করা। সবকিছুরই একটা নিয়ম আছে। বড় বড় নেতা এসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে যেতে পারেন না।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পর সরকারি দলের বড় দায়িত্ব হলো, বিরোধী দলকে সংসদে নিয়ে আসার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। বিরোধী দলেরও কর্তব্য, সংসদে গিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির বিষয়ে তাদের সমালোচনা সংসদীয় বিতর্কের মাধ্যমে তুলে ধরা। কিন্তু এর বিপরীতে এখন সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে যে বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তা কেবল তাদের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়াবে।
রাজনীতিতে সুস্থতা ও সহনশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা এখন সবচেয়ে বেশি। গণতন্ত্র ও অসহিষ্ণু রাজনীতি একসঙ্গে চলতে পারে না। একটিকে বেছে নিতে হবে। আমরা আশা করব, উভয় পক্ষ শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে। বিশেষত, দুই নেত্রী দুই প্রধান দলের মধ্যে সহযোগিতার একটি কার্যকর পদ্ধতি বের করতে সচেষ্ট হবেন।
পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক উক্তি পরিহার করা এর প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত।
No comments