নারী পাচার রোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে-চাকরির নামে বিদেশে নিয়ে নির্যাতন
বাংলাদেশের মতো অধিক জনসংখ্যার দেশে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে নারী পাচারকারী চক্র। ভারত, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশসহ পৃথিবীর নানা অঞ্চলে বাংলাদেশ থেকে নারী পাচার হয়। সাধারণত অল্পবয়সী নারীরা অভাবের জ্বালায় ও কর্মসংস্থানের আশায় দালালদের খপ্পরে পড়ে পাচারের শিকার হয়।
গত সোমবার প্রথম আলোয় ছাপা হওয়া এক সংবাদ থেকে জানা যায়, মাদারীপুরের এক নারী জর্ডানে আট মাস ধরে নির্যাতন সয়ে দেশে ফেরেন। বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচারকারী চক্র তাঁর পরিবারকে উত্সাহিত করে তাঁকে বিদেশে পাঠাতে। তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আট মাস পর তিনি ফিরে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু সমাজ তাঁকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি।
নানা কৌশলে, নতুন নতুন পথে এবং সমাজের নানা ধরনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অসংগতির কারণে নারী পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ মানব পাচারের ট্রানজিট হিসেবেও ব্যবহূত হয়। পাচারের শিকার হওয়া নারীরা মুখোমুখি হয় নানা ধরনের অমানবিক পরিস্থিতির। তাঁদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। তাঁদের নিরাপত্তা, কল্যাণ ও মানবাধিকারের ওপর এর বিরাট প্রভাব পড়ে।
যৌন দাসত্বের জন্য নারী পাচারে জড়িত থাকে সংগঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র। এই অপরাধ মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এর জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতারণার পাশাপাশি সরকারের উদাসীনতা অনেকাংশে দায়ী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা ছাড়া নারী পাচার করা বেশ কঠিন।
নারী পাচার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যম, বেসরকারি সংস্থা এবং সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এটি রোধ করা যাচ্ছে না। সরকারকে এ ব্যাপারে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। সীমান্তে ও বিমানবন্দরে এ ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। সচেতন হতে হবে অভিভাবকদেরও। পাচারকারীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিদেশে কর্মসংস্থান বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। বিদেশে সব ধরনের দাসত্বে বন্দী নারী ও শিশুদের দেশে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সরকার এ বিষয়ে আরও সজাগ ও সতর্ক না হলে এবং সমাজে সচেতনতা তৈরি না হলে পাচার রোধ করা কঠিন হবে।
নানা কৌশলে, নতুন নতুন পথে এবং সমাজের নানা ধরনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অসংগতির কারণে নারী পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ মানব পাচারের ট্রানজিট হিসেবেও ব্যবহূত হয়। পাচারের শিকার হওয়া নারীরা মুখোমুখি হয় নানা ধরনের অমানবিক পরিস্থিতির। তাঁদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। তাঁদের নিরাপত্তা, কল্যাণ ও মানবাধিকারের ওপর এর বিরাট প্রভাব পড়ে।
যৌন দাসত্বের জন্য নারী পাচারে জড়িত থাকে সংগঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র। এই অপরাধ মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এর জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতারণার পাশাপাশি সরকারের উদাসীনতা অনেকাংশে দায়ী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা ছাড়া নারী পাচার করা বেশ কঠিন।
নারী পাচার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যম, বেসরকারি সংস্থা এবং সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এটি রোধ করা যাচ্ছে না। সরকারকে এ ব্যাপারে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। সীমান্তে ও বিমানবন্দরে এ ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। সচেতন হতে হবে অভিভাবকদেরও। পাচারকারীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিদেশে কর্মসংস্থান বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। বিদেশে সব ধরনের দাসত্বে বন্দী নারী ও শিশুদের দেশে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সরকার এ বিষয়ে আরও সজাগ ও সতর্ক না হলে এবং সমাজে সচেতনতা তৈরি না হলে পাচার রোধ করা কঠিন হবে।
No comments