অবৈধ মাছ শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন-নদীতে বাঁশের বাঁধ
রাজবাড়ীর পদ্মা-যমুনা নদীতে অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁশের বাঁধ দিয়ে যারা মাছ শিকার করছে, তারা স্থানীয় প্রশাসনের আশীর্বাদপুষ্ট বলেই প্রতীয়মান হতে পারে। এই চক্রের হাত এতটাই লম্বা যে, তারা খোদ পরিকল্পনামন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
‘কারেন্ট জাল ছাড়া অন্য জাল শর্ত সাপেক্ষে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাইতে পারে’—এ ধরনের একটি সুপারিশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার। শর্ত সাপেক্ষে অন্য জাল ব্যবহার আর নদীতে বাঁধ দিয়ে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ করে মাছ শিকার মোটেই এক কথা নয়। বাস্তবে চক্রটি ওই সুপারিশের অপব্যাখ্যা ও অপব্যবহার করে ফায়দা হাসিল করে চলছে।
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গ্রামের সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী-সাংসদদের সুপারিশ প্রদান একটি স্বাভাবিক ঘটনা। অনেক সময় এর সুফল নিরীহ মানুষ যে পায় না, তা নয়। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে এ ধরনের সুপারিশের অপব্যবহার ঘটে থাকে। জনসেবার প্রতি মন্ত্রীদের দায় বোধগম্য। কিন্তু তাঁদের তৃণমূলের বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে। নদনদী, জলাশয় কখনো কোনো অবস্থাতেই সংকীর্ণ স্বার্থে ব্যবহার হতে পারে না। এ ধরনের ব্যবহারকে বৈধতা দিতে রাষ্ট্র ও আদালতও অক্ষম। সুপ্রাচীন রোমান আইনেই এ কথা গ্রন্থিত হয়েছিল। সুতরাং এর সম্ভাব্য অপব্যবহার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
বাঁধের হোতারা ওপরে বৈধ জালের ব্যবহার দেখালেও আড়ালে থাকে তাদের ভিন্ন কৌশল। সুতি ও কারেন্ট জালের মতো উপকরণের মাধ্যমে তারা আসলে পানি থেকে মাছের রেণু পর্যন্ত শুষে নিতে পারছে। এর ফলে নদনদী মাছশূন্য হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রথম আলোর রাজবাড়ী প্রতিনিধির প্রতিবেদন এমনই একটি দৃষ্টান্ত। বোঝাই যায়, পদ্মা-যমুনার চরের মেহনতি মানুষের পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছানো কঠিন। এ কাজটা সরকারি দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের যোগসাজশ ছাড়া ঘটার কথা নয়। আর প্রতিবেদনে যাদের ‘প্রভাবশালী চক্র’ বলা হয়েছে, তারা ওই অঞ্চলের নিষিদ্ধঘোষিত গোপন সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলেও আমরা জানতে পেরেছি। নিরীহ জেলেদের ব্যবহার করে আসছে এই চক্রটি।
আমাদের জানামতে, নদীতে বাঁশের বাঁধ তৈরি করে বিশেষ ব্যবস্থায় জাল পাতা সহজ কম্ম নয়। এটি বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। যদিও তারা এটা লোকালয় থেকে বহু দূরে তৈরি করছে, কিন্তু এখানে বিনিয়োগের একটি ঝুঁকি রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নেকনজর না থাকলে এমন নিশ্চিন্তে বাঁধ তৈরি সম্ভব নয়। সে কারণে স্থানীয় প্রশাসনকেই নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গ্রামের সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী-সাংসদদের সুপারিশ প্রদান একটি স্বাভাবিক ঘটনা। অনেক সময় এর সুফল নিরীহ মানুষ যে পায় না, তা নয়। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে এ ধরনের সুপারিশের অপব্যবহার ঘটে থাকে। জনসেবার প্রতি মন্ত্রীদের দায় বোধগম্য। কিন্তু তাঁদের তৃণমূলের বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে। নদনদী, জলাশয় কখনো কোনো অবস্থাতেই সংকীর্ণ স্বার্থে ব্যবহার হতে পারে না। এ ধরনের ব্যবহারকে বৈধতা দিতে রাষ্ট্র ও আদালতও অক্ষম। সুপ্রাচীন রোমান আইনেই এ কথা গ্রন্থিত হয়েছিল। সুতরাং এর সম্ভাব্য অপব্যবহার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
বাঁধের হোতারা ওপরে বৈধ জালের ব্যবহার দেখালেও আড়ালে থাকে তাদের ভিন্ন কৌশল। সুতি ও কারেন্ট জালের মতো উপকরণের মাধ্যমে তারা আসলে পানি থেকে মাছের রেণু পর্যন্ত শুষে নিতে পারছে। এর ফলে নদনদী মাছশূন্য হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রথম আলোর রাজবাড়ী প্রতিনিধির প্রতিবেদন এমনই একটি দৃষ্টান্ত। বোঝাই যায়, পদ্মা-যমুনার চরের মেহনতি মানুষের পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছানো কঠিন। এ কাজটা সরকারি দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের যোগসাজশ ছাড়া ঘটার কথা নয়। আর প্রতিবেদনে যাদের ‘প্রভাবশালী চক্র’ বলা হয়েছে, তারা ওই অঞ্চলের নিষিদ্ধঘোষিত গোপন সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলেও আমরা জানতে পেরেছি। নিরীহ জেলেদের ব্যবহার করে আসছে এই চক্রটি।
আমাদের জানামতে, নদীতে বাঁশের বাঁধ তৈরি করে বিশেষ ব্যবস্থায় জাল পাতা সহজ কম্ম নয়। এটি বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। যদিও তারা এটা লোকালয় থেকে বহু দূরে তৈরি করছে, কিন্তু এখানে বিনিয়োগের একটি ঝুঁকি রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নেকনজর না থাকলে এমন নিশ্চিন্তে বাঁধ তৈরি সম্ভব নয়। সে কারণে স্থানীয় প্রশাসনকেই নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments