অভিজ্ঞ জনবলের অপচয় বন্ধ করুন-‘বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’
গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সংসদে কথা বলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার গত এক বছরে ২২৪ জন সরকারি কর্মকর্তাকে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে পদায়ন করেছে।
এ দেশে ইতিমধ্যে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে ওএসডি করা হয় শাস্তিমূলকভাবে; এর পেছনে থাকতে পারে দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনাসহ আরও নানা সংকীর্ণ কারণ, যেগুলোর সঙ্গে আর যাই হোক, জনস্বার্থের কোনো সম্পর্ক থাকে না। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওএসডি করা হয় জনস্বার্থে।
উল্লিখিত ২২ জন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে ১০ জন সচিব পর্যায়ের, ১২ জন অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের। আর ৯২ জন কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে ওএসডি করা হয়েছে। এতজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে কর্মহীন করে ফেলা কোনো কাজের কথা নয়। এই পরিমাণ দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবলের অপচয়ের যুক্তি নেই। দরিদ্র জনসাধারণ কেন এই ব্যয়ভার বহন করবে?
ওএসডি-সংস্কৃতি কেবল বর্তমান সরকারের আমলে নয়, এর আগের সরকারগুলোর আমলেও দেখা গেছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগাবে, একজন কর্মকর্তাকেও বিনা কাজে বসিয়ে রাখবে না—এটাই হওয়া উচিত। ওএসডি করা হয় ক্ষমতাসীন সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের খেয়ালখুশিমতো। এ ক্ষেত্রে কোনো নিয়মকানুন নেই। সেদিন সংসদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ও কাজের শর্তাবলি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করা হবে। এটা খুবই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। একটি আইন থাকলে ব্যাপকভাবে ওএসডি করার মধ্য দিয়ে লোকবল ও জনগণের অর্থ অপচয়ের এ ধারা বন্ধ হতে পারে।
মন্ত্রী বলেছেন, আগামী মে মাসের মধ্যে সিভিল সার্ভিস অ্যাক্টের খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি যেন আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটসহ অন্যান্য মাধ্যমে জনগণের উদ্দেশে প্রকাশ করা হয়। আইনটি সম্পর্কে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ, আইনবিদ, সরকার ও প্রশাসনবিষয়ক পণ্ডিতসহ ওয়াকিবহাল মহলের মতামত গ্রহণ করা দরকার। আইনটির অধীনে যে বিধিমালা তৈরি হবে, তাতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন কী কী কারণে কোনো কর্মকর্তাকে ওএসডি করা যাবে। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযোগ উঠলে এক মাসের মধ্যে তা তদন্ত করে অভিযোগ সত্য হলে বিধিবিধান বা আইনানুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, আর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে তাঁকে নিয়মিত পদে পদায়ন করতে হবে। ওএসডির নামে বসিয়ে রাখার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার এই ধারা অবশ্যই বন্ধ করা প্রয়োজন।
উল্লিখিত ২২ জন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে ১০ জন সচিব পর্যায়ের, ১২ জন অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের। আর ৯২ জন কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে ওএসডি করা হয়েছে। এতজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে কর্মহীন করে ফেলা কোনো কাজের কথা নয়। এই পরিমাণ দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবলের অপচয়ের যুক্তি নেই। দরিদ্র জনসাধারণ কেন এই ব্যয়ভার বহন করবে?
ওএসডি-সংস্কৃতি কেবল বর্তমান সরকারের আমলে নয়, এর আগের সরকারগুলোর আমলেও দেখা গেছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগাবে, একজন কর্মকর্তাকেও বিনা কাজে বসিয়ে রাখবে না—এটাই হওয়া উচিত। ওএসডি করা হয় ক্ষমতাসীন সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের খেয়ালখুশিমতো। এ ক্ষেত্রে কোনো নিয়মকানুন নেই। সেদিন সংসদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ও কাজের শর্তাবলি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করা হবে। এটা খুবই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। একটি আইন থাকলে ব্যাপকভাবে ওএসডি করার মধ্য দিয়ে লোকবল ও জনগণের অর্থ অপচয়ের এ ধারা বন্ধ হতে পারে।
মন্ত্রী বলেছেন, আগামী মে মাসের মধ্যে সিভিল সার্ভিস অ্যাক্টের খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি যেন আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটসহ অন্যান্য মাধ্যমে জনগণের উদ্দেশে প্রকাশ করা হয়। আইনটি সম্পর্কে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ, আইনবিদ, সরকার ও প্রশাসনবিষয়ক পণ্ডিতসহ ওয়াকিবহাল মহলের মতামত গ্রহণ করা দরকার। আইনটির অধীনে যে বিধিমালা তৈরি হবে, তাতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন কী কী কারণে কোনো কর্মকর্তাকে ওএসডি করা যাবে। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযোগ উঠলে এক মাসের মধ্যে তা তদন্ত করে অভিযোগ সত্য হলে বিধিবিধান বা আইনানুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, আর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে তাঁকে নিয়মিত পদে পদায়ন করতে হবে। ওএসডির নামে বসিয়ে রাখার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার এই ধারা অবশ্যই বন্ধ করা প্রয়োজন।
No comments