রানীনগর পতিতালয়েই বন্দি ছিল তামান্না
প্রতিবন্ধী তরুণী তামান্নাকে জামালপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র রানীনগর বাজার এলাকার শুটকিপট্টির ‘রানীনগর পতিতালয়ে’ আটকে রেখেছিল অপহরণকারীরা। সেখানে রুজিনা নামের এক সর্দারনীর অধীনে দুই মাস ২০ দিন মরণযন্ত্রণা ভোগ করেছেন প্রতিবন্ধী এ মেয়েটি।
উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে। তার পরই বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সহায়তায় ধামরাই থানায় একটি মামলা করে।
তামান্না জানায়, সেখানে অনেকগুলো ঘর ছিল। ছিল অনেক নারীও। তাদের ঘরে দিন-রাত খদ্দের আসা-যাওয়া করত। সে এতে রাজি না হতো তার উপর চলত বর্বর নির্যাতন। তামান্না কখনোই এতে রাজি না হওয়ায় তার উপর চালানো হতো অমানুষিক নির্যাতন। তাদের নির্দিষ্ট কক্ষের বাইরে যেতে দেয়া হতো না। সেখানে রাত নেই, দিন নেই খদ্দেরের জন্য সেজে বসে থাকতে বাধ্য করা হতো অসংখ্য নারীকে। তাদের সকালের খাবার দেয়া হতো রাতে। যারা পতিতালয়ের সর্দারনীদের নির্দেশ অমান্য করত তাদের একটি ঘরে নিয়ে নির্যাতন চালানো হত। তামান্না প্রতি রাতেই অসংখ্য নারীর চিৎকার শুনেছে। তবে ভয়ে সে কখনোই সেখানে যেত না। সেও জানত নির্যাতনের ভয়াবহতা। প্রতিদিনই এখানে পাচারকারীদের হাত ধরে নতুন মুখ আসে। এরপর সকলের ভাগ্যেই জুটে একই পরিণতি। সর্দারনীদের কথামতো না চললে স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করত। ওখানকার নিষ্ঠুর নিয়মের কথা বলতে বলতে এখনো কান্নায় ভিজে যায় তামান্নার চোখ।
এদিকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কর্মকর্তা অলিউল ইসলাম লুনা জানান, “গত বৃহস্পতিবার ভিকটিমের পক্ষে পাচারকারী শাহজাহানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তামান্নার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে সে কোনো পতিতালয়ে বন্দি ছিল।”
তামান্নার মা আনোয়ারা জানিয়েছেন, তামান্নাকে আরও কয়েকদিন ঢাকা মেডিকেলে থাকতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, তামান্না আশঙ্কামুক্ত। তবে সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে।
বার্তা২৪ ডটনেটের জামালপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জামালপুরের রানীনগর পতিতালয়ে প্রায় তিনশ ঘর রয়েছে। সেখানে পাচারকারীরা বিভিন্ন স্থান থেকে তরুণীদের ফুঁসলিয়ে নিয়ে আসে। এরপর চলে নির্মম নির্যাতন। এক সময় ওই নারীরা অন্ধকার জগতেই থেকে যায়। আলোর পথ ওদের জন্য অবরুদ্ধ হয় চিরজীবনের মতো।
গত ৩০ এপ্রিল জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তারা হাসপাতালে তামান্নাকে দেখতে যান। তারা তামান্নার সাঙ্গে কথা বলেন এবং তার পরিবার চাইলে আইনানুগ সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সংগঠনটির কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট শায়লা সাইদ জানান, “আমরা তাকে সহায়তা দেয়ার কথা বলেছি। কিন্তু তার পরিবার মামলা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তাদের ঘনিষ্ট স্বজন এক সিআইডি কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।”
ধামরাই থানার ওসি এসএম আলমগীর জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শাহজাহানকে গ্রেফতার সম্ভব হলে অন্য পাচারকারীদের খোঁজ পাওয়া যাবে।
তামান্না সমাজ সেবা অধিদফতরের তালিকাভুক্ত প্রতিবন্ধী। তার অধিভুক্ত নম্বর ৩৪। গত ১০ জানুয়ারি ধামরাই থেকে প্রতিবন্ধী তামান্নাকে ফুঁসলিয়ে বাসা থেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী যুবক শাহজাহান। এরপর সাভার স্মৃতিসৌধের কাছে তামান্নাকে এক মহিলার কাছে দিয়ে চলে আসে শাহজাহান। এরপর ওই মহিলার বাসায় কাটে তামান্নার দুদিনের বন্দি জীবন। পরে অন্য এক যুবকের কাছে হস্তান্তর করা হয় প্রতিবন্ধী এ কিশোরীকে। সে তামান্নাকে নিয়ে যায় জামালপুরের রানীনগর পতিতালয়ে। পরে ওই পতিতালয়ের এক বৃদ্ধ মহিলার প্রতিবন্ধী মেয়েটির প্রতি করুণা হলে পাচারকারীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তামান্নাকে মুক্ত করে দেন তিনি। এক পর্যায়ে গত ৩১ মার্চ মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে নামে তামান্না। খবর পেয়ে তার মা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তামান্না জানায়, সেখানে অনেকগুলো ঘর ছিল। ছিল অনেক নারীও। তাদের ঘরে দিন-রাত খদ্দের আসা-যাওয়া করত। সে এতে রাজি না হতো তার উপর চলত বর্বর নির্যাতন। তামান্না কখনোই এতে রাজি না হওয়ায় তার উপর চালানো হতো অমানুষিক নির্যাতন। তাদের নির্দিষ্ট কক্ষের বাইরে যেতে দেয়া হতো না। সেখানে রাত নেই, দিন নেই খদ্দেরের জন্য সেজে বসে থাকতে বাধ্য করা হতো অসংখ্য নারীকে। তাদের সকালের খাবার দেয়া হতো রাতে। যারা পতিতালয়ের সর্দারনীদের নির্দেশ অমান্য করত তাদের একটি ঘরে নিয়ে নির্যাতন চালানো হত। তামান্না প্রতি রাতেই অসংখ্য নারীর চিৎকার শুনেছে। তবে ভয়ে সে কখনোই সেখানে যেত না। সেও জানত নির্যাতনের ভয়াবহতা। প্রতিদিনই এখানে পাচারকারীদের হাত ধরে নতুন মুখ আসে। এরপর সকলের ভাগ্যেই জুটে একই পরিণতি। সর্দারনীদের কথামতো না চললে স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করত। ওখানকার নিষ্ঠুর নিয়মের কথা বলতে বলতে এখনো কান্নায় ভিজে যায় তামান্নার চোখ।
এদিকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কর্মকর্তা অলিউল ইসলাম লুনা জানান, “গত বৃহস্পতিবার ভিকটিমের পক্ষে পাচারকারী শাহজাহানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তামান্নার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে সে কোনো পতিতালয়ে বন্দি ছিল।”
তামান্নার মা আনোয়ারা জানিয়েছেন, তামান্নাকে আরও কয়েকদিন ঢাকা মেডিকেলে থাকতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, তামান্না আশঙ্কামুক্ত। তবে সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে।
বার্তা২৪ ডটনেটের জামালপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জামালপুরের রানীনগর পতিতালয়ে প্রায় তিনশ ঘর রয়েছে। সেখানে পাচারকারীরা বিভিন্ন স্থান থেকে তরুণীদের ফুঁসলিয়ে নিয়ে আসে। এরপর চলে নির্মম নির্যাতন। এক সময় ওই নারীরা অন্ধকার জগতেই থেকে যায়। আলোর পথ ওদের জন্য অবরুদ্ধ হয় চিরজীবনের মতো।
গত ৩০ এপ্রিল জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তারা হাসপাতালে তামান্নাকে দেখতে যান। তারা তামান্নার সাঙ্গে কথা বলেন এবং তার পরিবার চাইলে আইনানুগ সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সংগঠনটির কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট শায়লা সাইদ জানান, “আমরা তাকে সহায়তা দেয়ার কথা বলেছি। কিন্তু তার পরিবার মামলা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তাদের ঘনিষ্ট স্বজন এক সিআইডি কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।”
ধামরাই থানার ওসি এসএম আলমগীর জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শাহজাহানকে গ্রেফতার সম্ভব হলে অন্য পাচারকারীদের খোঁজ পাওয়া যাবে।
তামান্না সমাজ সেবা অধিদফতরের তালিকাভুক্ত প্রতিবন্ধী। তার অধিভুক্ত নম্বর ৩৪। গত ১০ জানুয়ারি ধামরাই থেকে প্রতিবন্ধী তামান্নাকে ফুঁসলিয়ে বাসা থেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী যুবক শাহজাহান। এরপর সাভার স্মৃতিসৌধের কাছে তামান্নাকে এক মহিলার কাছে দিয়ে চলে আসে শাহজাহান। এরপর ওই মহিলার বাসায় কাটে তামান্নার দুদিনের বন্দি জীবন। পরে অন্য এক যুবকের কাছে হস্তান্তর করা হয় প্রতিবন্ধী এ কিশোরীকে। সে তামান্নাকে নিয়ে যায় জামালপুরের রানীনগর পতিতালয়ে। পরে ওই পতিতালয়ের এক বৃদ্ধ মহিলার প্রতিবন্ধী মেয়েটির প্রতি করুণা হলে পাচারকারীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তামান্নাকে মুক্ত করে দেন তিনি। এক পর্যায়ে গত ৩১ মার্চ মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে নামে তামান্না। খবর পেয়ে তার মা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
No comments