জনগণের কাছে যেন প্রহসন মনে না হয়-মাদক নিয়ে অভিনব কৌশল
ঢাকা শহরের ৫০ শতাংশ হেরোইনের জোগান আসে আগারগাঁওয়ের বিএনপি বস্তি থেকে। সেই কুখ্যাত বিএনপি বস্তিকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে পুলিশ এবার যে অভিনব কৌশল নিয়েছে, তা বেশ চমকপ্রদ। সে জন্যই খবরটি প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় তিন কলামজুড়ে ছাপা হয়েছে; সঙ্গে দুই কলাম ছবিও।
কৌশলটা হচ্ছে, বিএনপি বস্তির মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়েই মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সভা-সমাবেশ করা। গত শনিবার বিএনপি বস্তির শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদকে সভাপতির আসনে বসিয়ে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সে সমাবেশের প্রধান অতিথি ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘আগারগাঁও বস্তির ২৫ বছরের ইতিহাস পাল্টাতে শুরু করেছে, কারণ যাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ, সেই নূর মোহাম্মদকে দিয়ে মাদকের আখড়া গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
সমাবেশের সভাপতি নূর মোহাম্মদ অবশ্য তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন অন্য কথা, ‘পুলিশ প্রশাসন বা ডিসি সাহেব যা বলেছেন তা ঠিক নয়। আমি কখনো মাদকের সঙ্গে ছিলাম না, এখনো নেই, ভবিষ্যতেও থাকব না।’ পুলিশ ও এলাকার লোকজনের সূত্রে লেখা হয়েছে এই নূর মোহাম্মদের চার ছেলের মধ্যে একজন মাদকাসক্ত হয়ে মারা গেছেন, একজন মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন; একজন সন্ত্রাসের অভিযোগে ভারতে পালিয়ে আছেন, আরেকজন স্থানীয় যুবলীগের নেতা।
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য হচ্ছে, এই নূর মোহাম্মদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ও তার পরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ‘ক্রসফায়ারের’ ভয়ে তিনি ঢাকার বাইরে পালিয়ে ছিলেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি দৃশ্যমান হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে অপরাধবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে—এমন দৃষ্টান্ত অত্যন্ত বিরল, নেই বললেই চলে। মাদকদ্রব্যের ব্যাপারে যদি এই কৌশল কাজে দেয়, তাহলে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে একই কৌশল কেন প্রয়োগ করা হবে না? বলা হতে পারে, মাদক সমস্যার মতো অন্য অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন নেই। পুলিশ বিএনপি বস্তির বিষয়টিকে দেখছে সামাজিক দিক থেকে। তাহলে পুলিশ প্রশাসনের উচিত হবে সরকারি দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। কারণ, নূর মোহাম্মদের মতো ব্যক্তি কী করে আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ডের সভাপতির পদে থাকতে পারেন?
পুলিশের এই কৌশল কতটা সফল হয়, তা দেখার বিষয়। সাধারণ মানুষ আগ্রহের সঙ্গেই সেটা লক্ষ করবে। এতে পুলিশের ভাবমূর্তির ঝুঁকি রয়েছে। এই কৌশল কাজ না দিলে মানুষের কাছে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী এসব সমাবেশকে হাস্যকর প্রহসন বলে মনে হতে পারে।
সমাবেশের সভাপতি নূর মোহাম্মদ অবশ্য তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন অন্য কথা, ‘পুলিশ প্রশাসন বা ডিসি সাহেব যা বলেছেন তা ঠিক নয়। আমি কখনো মাদকের সঙ্গে ছিলাম না, এখনো নেই, ভবিষ্যতেও থাকব না।’ পুলিশ ও এলাকার লোকজনের সূত্রে লেখা হয়েছে এই নূর মোহাম্মদের চার ছেলের মধ্যে একজন মাদকাসক্ত হয়ে মারা গেছেন, একজন মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন; একজন সন্ত্রাসের অভিযোগে ভারতে পালিয়ে আছেন, আরেকজন স্থানীয় যুবলীগের নেতা।
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য হচ্ছে, এই নূর মোহাম্মদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ও তার পরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ‘ক্রসফায়ারের’ ভয়ে তিনি ঢাকার বাইরে পালিয়ে ছিলেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি দৃশ্যমান হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে অপরাধবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে—এমন দৃষ্টান্ত অত্যন্ত বিরল, নেই বললেই চলে। মাদকদ্রব্যের ব্যাপারে যদি এই কৌশল কাজে দেয়, তাহলে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে একই কৌশল কেন প্রয়োগ করা হবে না? বলা হতে পারে, মাদক সমস্যার মতো অন্য অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন নেই। পুলিশ বিএনপি বস্তির বিষয়টিকে দেখছে সামাজিক দিক থেকে। তাহলে পুলিশ প্রশাসনের উচিত হবে সরকারি দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। কারণ, নূর মোহাম্মদের মতো ব্যক্তি কী করে আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ডের সভাপতির পদে থাকতে পারেন?
পুলিশের এই কৌশল কতটা সফল হয়, তা দেখার বিষয়। সাধারণ মানুষ আগ্রহের সঙ্গেই সেটা লক্ষ করবে। এতে পুলিশের ভাবমূর্তির ঝুঁকি রয়েছে। এই কৌশল কাজ না দিলে মানুষের কাছে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী এসব সমাবেশকে হাস্যকর প্রহসন বলে মনে হতে পারে।
No comments