পথই ওদের ঠিকানা by আদিত্য আরাফাত
রোকসানা আক্তার। ডাকনাম রূপালী। বয়স ৮। ওর এক বছর বয়স থাকতেই মা আগুনে পুড়ে মারা যায়। বাবাসহ বছর দুয়েক আগে কুড়িগ্রাম থেকে রূপালী ঢাকায় এসেছে। ওর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করেছেন। কিন্তু সৎমায়ের সংসারে জায়গা হয়নি রূপালীর।
রাজধানীর রাস্তাই এখন রূপালীর ঠিকানা। দিন কাটে নগরীর রাস্তায় ফুল বিক্রি করে। আর রাত কাটে রাস্তার ধারে আধোঘুম-আধো জাগরণে।নির্দিষ্ট কোনো থাকার জায়গা নেই। সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে রাতে ক্লান্তি নেমে এলে রাস্তার পাশেই কোনো এক জায়গায় ঘুমিয়ে পড়ে মা-হারা শিশুটি।
রূপালীর মতো অনেক শিশুরই দিন-রাত কাটে রাস্তায়। রাস্তাই যেন এসব শিশুর ঠিকানা।
পথশিশুরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে তীব্র রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে ছোটাছুটি করতে থাকে।
পেটের তাগিদে কখনও চকোলেট, কখনও ফুল, আবার কখনও বা পত্রিকা হাতে নিয়ে জ্বালাতন করে পথচারী বা যানবাহনের যাত্রীদের।
স্রেফ জীবিকার তাগিদে দিনভর মানুষের করুণা আর গালমন্দ বা মার খেয়ে শৈশব কেটে যায় অসহায় এ শিশুগুলোর। অথচ সুস্থ-স্বাভাবিক শৈশবের নিশ্চয়তা সব শিশুর জন্মগত অধিকার।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকাসহ সারাদেশে কমবেশি প্রায় সাড়ে তিন লাখ পথশিশু জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেকে পথেই ওদের জীবন, পথেই জীবিকা।
জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে উল্লেখ রয়েছে, পথশিশুদের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সনদে পথশিশুদের অধিকারের বিষয় থাকলেও বাস্তবে পথশিশুরা জানে না তাদের অধিকার কী।
এ অধিকার থেকে আমাদের দেশের অনেক শিশু এখনও বঞ্চিত। কিন্তু আরও অনেক বিষয়ের মতো এ ব্যাপারেও সরকারের ভূমিকা কেবল উদ্যোগেই সীমিত। উদ্যোগের পর সেগুলো আর বাস্তবায়ন পর্যন্ত গড়ায় না।
জাতীয় শিশুনীতি ২০১০ এ সরকার বলেছে, `শিশুর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং অধিকার সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি দেশপ্রেমিক ও কর্মদক্ষ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার ব্যাপারে সরকার যত্নশীল ও সক্রিয়। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও শিশু অধিকার বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ।`
অপরাজেয় বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু বলেন, `সরকার জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি’ প্রণয়ন করেছে। এটা আশার কথা। কিন্তু নীতিমালা করলে তো হবে না। কঠোরভাবে এর বাস্তবায়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ নীতিমালার অধীনে সরকার কী করবে, দাতারা কী করবে-এর একটা পরিষ্কার নকশা থাকা দরকার।’
পথশিশুদের নিয়ে কয়েকটি এনজিও কাজ করলেও কার্য়ত পথশিশুরা এখনও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের অবহেলায় অনেক শিশু বিপথে চলে যাচ্ছে। কিশোর অপরাধের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ছে কেউ কেউ।
পথশিশু সংগঠন `অপরাজেয় বাংলা`র প্রকল্প পরিচালক ড. জাদু বাংলানিউজকে বলেন, ‘এসব পথশিশুকে মূল ধারায় আনতে হলে আগে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। তা না করতে পারলে ওরা কাউকে বিশ্বাস করতে চায় না।’
তিনি বলেন, `আমরা আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রেগুলোতে শিশুদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। তাদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা আছে। প্রয়োজনীয় খাবার ও কাপড় আমরা দিই। তারপর তারা যাতে আর পথে ফিরে না যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা। আর রয়েছে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও।`
শিশুদের জন্যে গৃহীত নীতিমালাসমূহ বাস্তবায়িত না হওয়ায় শিশুরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠার জন্যে শিশুদের সাংবিধানিক অধিকারসমূহ ও জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে উল্লিখিত অধিকারসমূহ রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
রূপালীর মতো অনেক শিশুরই দিন-রাত কাটে রাস্তায়। রাস্তাই যেন এসব শিশুর ঠিকানা।
পথশিশুরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে তীব্র রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে ছোটাছুটি করতে থাকে।
পেটের তাগিদে কখনও চকোলেট, কখনও ফুল, আবার কখনও বা পত্রিকা হাতে নিয়ে জ্বালাতন করে পথচারী বা যানবাহনের যাত্রীদের।
স্রেফ জীবিকার তাগিদে দিনভর মানুষের করুণা আর গালমন্দ বা মার খেয়ে শৈশব কেটে যায় অসহায় এ শিশুগুলোর। অথচ সুস্থ-স্বাভাবিক শৈশবের নিশ্চয়তা সব শিশুর জন্মগত অধিকার।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকাসহ সারাদেশে কমবেশি প্রায় সাড়ে তিন লাখ পথশিশু জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেকে পথেই ওদের জীবন, পথেই জীবিকা।
জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে উল্লেখ রয়েছে, পথশিশুদের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সনদে পথশিশুদের অধিকারের বিষয় থাকলেও বাস্তবে পথশিশুরা জানে না তাদের অধিকার কী।
এ অধিকার থেকে আমাদের দেশের অনেক শিশু এখনও বঞ্চিত। কিন্তু আরও অনেক বিষয়ের মতো এ ব্যাপারেও সরকারের ভূমিকা কেবল উদ্যোগেই সীমিত। উদ্যোগের পর সেগুলো আর বাস্তবায়ন পর্যন্ত গড়ায় না।
জাতীয় শিশুনীতি ২০১০ এ সরকার বলেছে, `শিশুর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং অধিকার সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি দেশপ্রেমিক ও কর্মদক্ষ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার ব্যাপারে সরকার যত্নশীল ও সক্রিয়। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও শিশু অধিকার বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ।`
অপরাজেয় বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু বলেন, `সরকার জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি’ প্রণয়ন করেছে। এটা আশার কথা। কিন্তু নীতিমালা করলে তো হবে না। কঠোরভাবে এর বাস্তবায়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ নীতিমালার অধীনে সরকার কী করবে, দাতারা কী করবে-এর একটা পরিষ্কার নকশা থাকা দরকার।’
পথশিশুদের নিয়ে কয়েকটি এনজিও কাজ করলেও কার্য়ত পথশিশুরা এখনও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের অবহেলায় অনেক শিশু বিপথে চলে যাচ্ছে। কিশোর অপরাধের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ছে কেউ কেউ।
পথশিশু সংগঠন `অপরাজেয় বাংলা`র প্রকল্প পরিচালক ড. জাদু বাংলানিউজকে বলেন, ‘এসব পথশিশুকে মূল ধারায় আনতে হলে আগে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। তা না করতে পারলে ওরা কাউকে বিশ্বাস করতে চায় না।’
তিনি বলেন, `আমরা আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রেগুলোতে শিশুদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। তাদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা আছে। প্রয়োজনীয় খাবার ও কাপড় আমরা দিই। তারপর তারা যাতে আর পথে ফিরে না যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা। আর রয়েছে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও।`
শিশুদের জন্যে গৃহীত নীতিমালাসমূহ বাস্তবায়িত না হওয়ায় শিশুরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠার জন্যে শিশুদের সাংবিধানিক অধিকারসমূহ ও জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে উল্লিখিত অধিকারসমূহ রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
No comments