কৃষি জমিতে চিংড়ি চাষ-হাইকোর্টের নির্দেশও উপেক্ষিত!
খুলনা অঞ্চলে এখনও কৃষি জমিতে লবণ পানি তুলে চিংড়ি চাষ অব্যাহত রয়েছে। চিংড়ি ঘের মালিকরা উচ্চ আদালতের নির্দেশও উপেক্ষা করার ধৃষ্টতা প্রদর্শন করছেন। ঘের মালিকরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে, কোথাও বেড়িবাঁধ কেটে আবার কোথাও বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে কৃষি জমিতে লবণাক্ত পানি ঢুকিয়ে নির্বিবাদে চিংড়ি চাষ
অব্যাহত রেখেছেন। এতে আশপাশের কৃষি জমিতেও লবণাক্ত পানি ঢুকে তা চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। যেসব কৃষক ঘের মালিকদের এহেন অবৈধ ও কৃষি উৎপাদনের পক্ষে ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন, তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। যারা বাঁধ কেটে লবণাক্ত পানি কৃষি জমিতে ঢুকাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিলেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় না। এভাবে প্রশাসন ও আদালত যদি একই সঙ্গে বেখেয়াল হয়, তাহলে সরকারের জনস্বার্থ সংরক্ষণ কীভাবে সম্ভব? খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি ঘের মালিকরা এখন উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষার মাধ্যমে আইনের শাসনের প্রতি জনআস্থায় চির ধরিয়ে দিচ্ছেন। উপকূলীয় এলাকার কৃষি জমিতে লবণাক্ত পানি তুলে চিংড়ি চাষ নিষিদ্ধ করার উচ্চ আদালতের নির্দেশের কারণ ছিল কৃষি জমিকে কৃষি উৎপাদনের কাজে ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের জীবিকার অবলম্বনকে নিরাপদ রাখা। একই সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণেরও উদ্দেশ্য ছিল; কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতার আশ্রয়ের কারণে চিংড়ি ঘের মালিকরা আদালতের আদেশ উপেক্ষা করার সাহস দেখাতে পারছেন। অবিলম্বে লবণাক্ত পানি তুলে কৃষিজমিতে চিংড়ি চাষ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আদালতের নির্দেশ মান্য করানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব ঘের মালিকের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে বাঁধ কাটা বা ছিদ্র করার মাধ্যমে লবণাক্ত পানি আনার অভিযোগে মামলা হয়েছে, তাদের অবশ্যই আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে।
No comments