হলিউড-পেটে খিল ধরাতে আসছে থ্রি স্টুজেস
হলিউড প্রিমিয়ারের রেড কার্পেটে রিকশা! বাংলার এবড়োখেবড়ো, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় চলে যে ত্রিচক্র যান, সেই বাহন কি না মখমলের নরম পরশ পাচ্ছে, তাও হলিউডের কোনো ছবির উদ্বোধনে! ওয়েবসাইটে খবরটা পড়ে অনেকের হয়তো বিশ্বাস হয়নি। তবে চক্ষুকর্ণের বিবাদ ‘ভঞ্জিত’ হলো ছবি দেখে। হলিউডি ছোঁয়া পেয়ে ঠিক চেনা যাচ্ছে না, তবে রিকশাই। ছবির ক্যাপশনেও লেখা আছে: রিকশায় চেপে প্রিমিয়ারে এসে শোরগোল ফেলে দিলেন...।
কারা? সেটাই প্রশ্ন তো! একটু ভেবে দেখুন। এমন পাগলাটে কাণ্ড কে করতে পারে। থ্রি স্টুজেস ছাড়া?
গত শতাব্দীর মাঝমাঝিতে তিন ভাঁড় মো, ল্যারি আর কার্লি তাদের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানায় দর্শকদের পেটে খিল ধরিয়ে দিয়েছিল। সেই তিন চরিত্রের আবেদন এই দশকেও এতটুকু ফুরোয়নি বলেই মনে করেন ফেরেলি ভ্রাতৃদ্বয়। মূলত কমেডি ছবি বানানোর জন্য সুখ্যাত এই দুই ভাই এবার নতুন শতকে নতুন প্রেক্ষাপটে আদি-অকৃত্রিম রস অটুট রেখে হাজির করছেন হাসির পৃথিবীর সেই তিন বিখ্যাত ভাঁড়কে। আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে পিটার ও ববি ফেরেলি প্রযোজিত ও পরিচালিত ছবি থ্রি স্টুজেস।
জিম ক্যারি অভিনীত ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার দিয়ে হলিউড অভিষেক হয়েছিল ফেরেলি ভাইদের। প্রথম ছবিতেই তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রসিকতার সূক্ষ্ম দিকটার চেয়ে স্থূল দিকটাতেই বেশি মজা খুঁজে পান তাঁরা। ভদ্রজনোচিত হয়তো ঠেকে না অনেকের কাছে, কিন্তু ভদ্দরনোকের মুখোশের আড়ালে সবাই যে আসলে গড়পড়তা রসিকতার আয়তনে স্থূলকায়ই, সেটাই হচ্ছে এই জুটির দর্শন। তাঁদের বিখ্যাত উক্তি, ‘হূদয় তা-ই চায়, যা হূদয় চায়।’
স্বাভাবিকভাবেই থ্রি স্টুজেস-এর আগমন অনেককে স্মৃতিকাতর করে তুলবে। তুলছেও। সত্যি বলতে কি, এই ছবিতে পরিচালকদ্বয় মূল তিন চরিত্রকেও স্মৃতিকাতর হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছেন। ছবির গল্পে দেখা যাবে, নিজেদের শৈশবের এতিমখানা বাঁচানোর মিশনে নামবে থ্রি স্টুজেস। কিন্তু হুট করে জড়িয়ে যাবে একটি খুনের ঘটনায়! শেষে নিজেদের আবিষ্কার করবে একটা রিয়্যালিটি টিভি অনুষ্ঠানে।
থ্রি স্টুজেস বলা যায় ফেরেলি ভাইদের স্বপ্নপ্রকল্প। এ নিয়ে প্রায় এক দশক ধরেই পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। বিস্তর হ্যাপা সয়েছেন। অবশেষে নিজেদের গাঁটের টাকা খরচ করেই বানাচ্ছেন। হলিউডের পকেটের আকারের তুলনায় হিসাবে কম হলেও বাজেট কিন্তু একেবারে যৎসামান্যও নয়—তিন কোটি ডলার।
অনেকবারই পাল্টেছে অভিনেতাদের তালিকা। জনি ডেপ, শন পেন, জিম ক্যারিদের কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্য তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস ডায়ামান্টোপোলাস (মো), শন হেয়েস (ল্যারি) ও উইল স্যাসো (কার্লি)। পর্দায় এই ত্রয়ী কী কাণ্ড করেছেন, সেটা তো ছবি দেখলেই বোঝা যাবে। তবে ৭ এপ্রিল গ্রুম্যান্স চায়নিজ থিয়েটারে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ারে কিন্তু বেশ চমকেই দিয়েছেন এঁরা। রিকশায় চেপে অনুষ্ঠানে আসা অবশ্যই এর একটা কারণ। এরপর শুরু করেছেন তিন খ্যাতিমান ভাঁড়ের বিখ্যাত সব ভাঁড়ামো। হাসির দমকে ক্যামেরাম্যানদের নাকি খুবই বেগ পেতে হচ্ছিল শাটারের বোতামে আঙুল রাখতে!
তবে শেষ পর্যন্ত আসল জারিজুরি পর্দাতে করে দেখানোর নামই মুন্সিয়ানা। সেই দাদাগিরিতে একুশ শতকের থ্রি স্টুজেসরা কতটা সফল হয়েছেন, সেটাই এখন দেখার।
রাজীব হাসান
তথ্য: বার্তা সংস্থা
গত শতাব্দীর মাঝমাঝিতে তিন ভাঁড় মো, ল্যারি আর কার্লি তাদের অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানায় দর্শকদের পেটে খিল ধরিয়ে দিয়েছিল। সেই তিন চরিত্রের আবেদন এই দশকেও এতটুকু ফুরোয়নি বলেই মনে করেন ফেরেলি ভ্রাতৃদ্বয়। মূলত কমেডি ছবি বানানোর জন্য সুখ্যাত এই দুই ভাই এবার নতুন শতকে নতুন প্রেক্ষাপটে আদি-অকৃত্রিম রস অটুট রেখে হাজির করছেন হাসির পৃথিবীর সেই তিন বিখ্যাত ভাঁড়কে। আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে পিটার ও ববি ফেরেলি প্রযোজিত ও পরিচালিত ছবি থ্রি স্টুজেস।
জিম ক্যারি অভিনীত ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার দিয়ে হলিউড অভিষেক হয়েছিল ফেরেলি ভাইদের। প্রথম ছবিতেই তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রসিকতার সূক্ষ্ম দিকটার চেয়ে স্থূল দিকটাতেই বেশি মজা খুঁজে পান তাঁরা। ভদ্রজনোচিত হয়তো ঠেকে না অনেকের কাছে, কিন্তু ভদ্দরনোকের মুখোশের আড়ালে সবাই যে আসলে গড়পড়তা রসিকতার আয়তনে স্থূলকায়ই, সেটাই হচ্ছে এই জুটির দর্শন। তাঁদের বিখ্যাত উক্তি, ‘হূদয় তা-ই চায়, যা হূদয় চায়।’
স্বাভাবিকভাবেই থ্রি স্টুজেস-এর আগমন অনেককে স্মৃতিকাতর করে তুলবে। তুলছেও। সত্যি বলতে কি, এই ছবিতে পরিচালকদ্বয় মূল তিন চরিত্রকেও স্মৃতিকাতর হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছেন। ছবির গল্পে দেখা যাবে, নিজেদের শৈশবের এতিমখানা বাঁচানোর মিশনে নামবে থ্রি স্টুজেস। কিন্তু হুট করে জড়িয়ে যাবে একটি খুনের ঘটনায়! শেষে নিজেদের আবিষ্কার করবে একটা রিয়্যালিটি টিভি অনুষ্ঠানে।
থ্রি স্টুজেস বলা যায় ফেরেলি ভাইদের স্বপ্নপ্রকল্প। এ নিয়ে প্রায় এক দশক ধরেই পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। বিস্তর হ্যাপা সয়েছেন। অবশেষে নিজেদের গাঁটের টাকা খরচ করেই বানাচ্ছেন। হলিউডের পকেটের আকারের তুলনায় হিসাবে কম হলেও বাজেট কিন্তু একেবারে যৎসামান্যও নয়—তিন কোটি ডলার।
অনেকবারই পাল্টেছে অভিনেতাদের তালিকা। জনি ডেপ, শন পেন, জিম ক্যারিদের কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্য তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস ডায়ামান্টোপোলাস (মো), শন হেয়েস (ল্যারি) ও উইল স্যাসো (কার্লি)। পর্দায় এই ত্রয়ী কী কাণ্ড করেছেন, সেটা তো ছবি দেখলেই বোঝা যাবে। তবে ৭ এপ্রিল গ্রুম্যান্স চায়নিজ থিয়েটারে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ারে কিন্তু বেশ চমকেই দিয়েছেন এঁরা। রিকশায় চেপে অনুষ্ঠানে আসা অবশ্যই এর একটা কারণ। এরপর শুরু করেছেন তিন খ্যাতিমান ভাঁড়ের বিখ্যাত সব ভাঁড়ামো। হাসির দমকে ক্যামেরাম্যানদের নাকি খুবই বেগ পেতে হচ্ছিল শাটারের বোতামে আঙুল রাখতে!
তবে শেষ পর্যন্ত আসল জারিজুরি পর্দাতে করে দেখানোর নামই মুন্সিয়ানা। সেই দাদাগিরিতে একুশ শতকের থ্রি স্টুজেসরা কতটা সফল হয়েছেন, সেটাই এখন দেখার।
রাজীব হাসান
তথ্য: বার্তা সংস্থা
No comments