বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কার জরুরি-উপকূলীয় বাঁধ
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বাঁধ আরও এক ফুট উঁচু করার পরামর্শ এসেছে এক কর্মশালায়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন উপকূলীয় এলাকার সাংসদেরা।
তাঁদের জীবন-জীবিকা রক্ষায় বাঁধ উঁচু করাসহ সামগ্রিক ও সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলো দীর্ঘমেয়াদি বিষয়। আসন্ন বর্ষা মৌসুম সামনে রেখে যে উপকূলীয় এলাকায় জরুরি কিছু উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, সেই বিষয়ের প্রতি আমরা সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সিডর ও আইলার আঘাতে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় বাঁধগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের মে মাসে আইলার তাণ্ডবের পর প্রায় দুই বছর হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় বাঁধগুলো মেরামত বা সংস্কার করে আইলা-পূর্ববর্তী পরিস্থিতিতে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসব অঞ্চলের জনগণ দুর্ভোগ ও আতঙ্কের মধ্যে পার করেছে দুটি বর্ষা মৌসুম। বাঁধগুলো যথাযথভাবে মেরামত না হওয়ায় গত বর্ষার প্রায় পুরো সময় ভোলার একটি বড় অংশ পানিতে তলিয়ে ছিল। পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় জোয়ারে ডুবে গিয়েছিল বরগুনা। পটুয়াখালী ও পিরোজপুরের উপকূলীয় এলাকার লোকজনও বাঁধ মেরামত না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে।
উপকূলীয় এলাকার বাঁধগুলো যে অবস্থায় আছে, তা সামনের বর্ষা মৌসুম মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নয়। কিছু এলাকায় বাঁধের সংস্কারকাজ চলছে, কিছু এলাকায় টেন্ডার ডাকা হয়েছে বা কাজের প্রক্রিয়া চলছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হয়ে গেলে বাঁধের মেরামত বা সংস্কারকাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে যা করার এর আগেই করতে হবে। আমরা মনে করি, আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে বিবেচনায় নিয়ে উপকূলীয় বাঁধ-পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বর্ষার আগেই করণীয় ঠিক করে সে অনুযায়ী উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
স্বল্পমেয়াদি বাঁধ মেরামত ও সংস্কারের উদ্যোগের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বিষয়টিকেও তাই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। বাঁধ উঁচু করা, বাঁধগুলোর ভিত শক্ত করা, বাঁধ ঘিরে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা—একটি সামগ্রিক পরিকল্পনার আওতায় এই কাজগুলো করতে হবে।
সিডর ও আইলার আঘাতে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় বাঁধগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের মে মাসে আইলার তাণ্ডবের পর প্রায় দুই বছর হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় বাঁধগুলো মেরামত বা সংস্কার করে আইলা-পূর্ববর্তী পরিস্থিতিতে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসব অঞ্চলের জনগণ দুর্ভোগ ও আতঙ্কের মধ্যে পার করেছে দুটি বর্ষা মৌসুম। বাঁধগুলো যথাযথভাবে মেরামত না হওয়ায় গত বর্ষার প্রায় পুরো সময় ভোলার একটি বড় অংশ পানিতে তলিয়ে ছিল। পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় জোয়ারে ডুবে গিয়েছিল বরগুনা। পটুয়াখালী ও পিরোজপুরের উপকূলীয় এলাকার লোকজনও বাঁধ মেরামত না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে।
উপকূলীয় এলাকার বাঁধগুলো যে অবস্থায় আছে, তা সামনের বর্ষা মৌসুম মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নয়। কিছু এলাকায় বাঁধের সংস্কারকাজ চলছে, কিছু এলাকায় টেন্ডার ডাকা হয়েছে বা কাজের প্রক্রিয়া চলছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হয়ে গেলে বাঁধের মেরামত বা সংস্কারকাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে যা করার এর আগেই করতে হবে। আমরা মনে করি, আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে বিবেচনায় নিয়ে উপকূলীয় বাঁধ-পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বর্ষার আগেই করণীয় ঠিক করে সে অনুযায়ী উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
স্বল্পমেয়াদি বাঁধ মেরামত ও সংস্কারের উদ্যোগের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বিষয়টিকেও তাই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। বাঁধ উঁচু করা, বাঁধগুলোর ভিত শক্ত করা, বাঁধ ঘিরে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা—একটি সামগ্রিক পরিকল্পনার আওতায় এই কাজগুলো করতে হবে।
No comments