২০১১ সালের শুমারি-বাদ পড়বে ১০ লাখ আদিবাসী! by জোবাইদা নাসরীন
আগামী ১৫-১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও গৃহস্থালি-শুমারি। বাংলাদেশে ১৯৭৪ প্রথম, ১৯৮১ দ্বিতীয়, ১৯৯১ তৃতীয় ও ২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি হয়। সেই হিসাবে এবার হবে পঞ্চম আদমশুমারি। প্রতি ১০ বছর পর এই জরিপ হয় বলে তাতে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে অনেক পরিবর্তন, যা রাষ্ট্রের এক চিত্রও নির্দেশ করে।
প্রতিটি রাষ্ট্রেরই গুরুত্বপূর্ণ দলিলগুলোর অন্যতম এ ধরনের জরিপ। এবার প্রথমবারের মতো এই জরিপ ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় হবে। আর তথ্য সন্নিবেশিত করার জন্য জিও কোডিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে, যার মাধ্যমে বেশ স্বল্পসময়ে ছবি ও মানচিত্র সমন্বয়ে একটি নির্ভুল জরিপ এ দেশের মানুষ দেখতে পাবে বলে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য দেশকে ভাগ করা হয়েছে ১৩০টি জরিপ জেলায়।
এসব অগ্রগতির খবরের মধ্যেও বিশাল হতাশা ও অস্তিত্বহীনতার সংশয় রয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রায় ৪০টির মতো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য। এই জরিপে সরকারের ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিল ২০১০’-এ স্থান পাওয়া মোট ২৭ জাতির মানুষই শুধু স্থান পাচ্ছে, যদিও তা সাংবিধানিক স্বীকৃতির বাইরে। কিন্তু সংসদীয় ককাস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এ দেশে মোট ৭৫টি জাতির মানুষ রয়েছে। কিন্তু আগামী মাসে শুরু হওয়া জরিপে এদের সবার স্থান না হওয়ার মাধ্যমে সরকারিভাবে খারিজ করে দেওয়া হবে প্রায় ১০ লাখ আদিবাসী মানুষের অস্তিত্ব (সূত্র: নিউ এজ, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। অনেকেই তাই শঙ্কিত জরিপ নিয়ে।
গত বছর প্রকাশিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিলে মাত্র ২৭টি জনগোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করার প্রতিবাদ বিভিন্ন জায়গা থেকে হয়েছিল, বিশেষ করে বিভিন্ন এলাকার আদিবাসী মানুষ এই বিলে সব জাতিগোষ্ঠীর স্বীকৃতি চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই চাওয়া অগ্রাহ্য করা হয়েছে। আদিবাসী নেতাদের দাবি, সরকার তাঁদের সঙ্গে আলাপ না করে ২৭টি ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’র নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। যদিও বিলের শুরুতেই স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০-৬০টির মতো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ’ বসবাস করে। আরও বলা হয়েছিল, পার্বত্য জেলাগুলো ও ময়মনসিংহ অঞ্চল ব্যতিরেকে অন্যান্য অঞ্চলে এসব নৃগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বেশি নয়। কিন্তু বিলটিতে মাত্র ২৭টি জনগোষ্ঠীর নাম অন্তর্ভুক্তির মধ্যেই রয়ে গেছে সেই বক্তব্যের বিরোধিতা। কী প্রক্রিয়ায় মাত্র ২৭টি জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত হলো আর বাকিরা বাদ গেল, এর উত্তর পাওয়া গেল না। এ ছাড়া ‘মং’ (তালিকার ২২ নম্বরে স্থান পাওয়া) নামে কোনো জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব না থাকলেও দলিলে জায়গা করে নিয়েছে। ‘ত্রিপুরা’ নামটি দুবার এসেছে। কী প্রক্রিয়ায় তালিকা করা হলো, কারা তালিকা তৈরির পেছনে কাজ করেছেন, এর উল্লেখ নেই বিলে।
আদিবাসী নেতাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে এবং বহু জাতিগোষ্ঠীর সংযোজন ছাড়াই বিলটি সংসদে পাস হয়ে ইতিমধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এর পর সমস্যাটি জটিল আকার ধারণ করেছে, যখন অনুষ্ঠিতব্য শুমারিতেও সেই বিলের বাইরে আর কোনো জাতির তথ্য সংগ্রহে অপারগতা প্রকাশ করা হয়েছে। যদি সরকার এখনই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এই শুমারি থেকে বাদ যাবে ময়মনসিংহ অঞ্চলের বর্মণ, ক্ষত্রিয়, ডালু এবং হদি; বাদ পড়বে বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের বাগদী, রাজবংশী, বুনো, ভূমিজ, কর্মকার, মালি, ঘাসিয়া। গবেষণায় প্রাপ্ত উপাত্ত থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আদিবাসী রয়েছে বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলে। কিন্তু বিলটিতে বাদ পড়ার কারণে জরিপ থেকেও বাদ পড়বে এই অঞ্চলের অধিকাংশ জাতি। এই অঞ্চলের পাহান, মাহাতো, মালো, কুর্মী, রাজোয়ার, মাহালী, তুরী, ভুঁইয়ালী, রাই, তেলি, খয়রা, লুরা, মুসহর, রুথিয়া, লহোড়া, রামদাস, মিখির প্রভৃতি জাতি স্থান পাবে না এই শুমারিতে। জরিপে স্থান না পাওয়ার দলে আরও যোগ হবে বৃহত্তর পাবনার শিসং, বসাক, সিরাজগঞ্জের বেদিরা এবং বক্তি। বিলে বৃহত্তর সিলেটের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে মণিপুরি ও খাসিয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও (যদিও সঠিক নাম হবে ‘খাসি’) ২০১১ সালের জরিপ থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছে খন্দ, খাড়িয়া, সোরা, পাত্রসহ আরও কয়েকটি জাতি।
এই বিষয়ে পত্রিকা মারফত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অবস্থান জানা যায়। তারা জানায়, জরিপ করার সময় তাদের সরকারি গেজেট অনুসরণ করতে হবে এবং এই গেজেট অমান্য করে ২৭টির বাইরে কোনো নতুন জনগোষ্ঠীর নাম তারা তালিকায় যুক্ত করতে পারবে না। তাহলে কী হবে বাদ পড়া জাতির মানুষদের?
শঙ্কা আরও আছে। বিগত দুটি জরিপে দেখা গেছে, (১৯৯১ ও ২০০১) পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জাতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসেনি। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে দুর্গম অঞ্চলে বসবাসকারীদের তথ্য যথাযথভাবে না আসার অভিযোগ উঠেছিল। আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় জরিপ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত আদিবাসী কর্মকর্তা ও মাঠপর্যায়ের কর্মীর অভাব থাকার প্রসঙ্গ এসেছে বারবার। গত জরিপগুলোতে আদিবাসীদের তথ্য সংগ্রহে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনীহা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।
সমতলের আদিবাসীদের বেলায় সমস্যাটি আরেকটু জটিল। বিগত দুটি জরিপে অনেকেরই তথ্য নেওয়া হয়েছে ধর্মীয় বর্গ অনুসারে। আবার কোনো কোনো জাতিকে একীভূত করা হয়েছে ‘নিম্নবর্ণ’-এর সঙ্গে। এ কারণে বাংলাদেশে মোট আদিবাসীর জনসংখ্যার সঠিক তথ্য সরকারি জরিপে কখনো পাওয়া যায়নি। দেশের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ দলিলে আদিবাসীদের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে এমন খামখেয়ালিপনা, উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতা মেনে নেওয়া যায় না।
জরিপ শুরু হতে এখনো কয়েক দিন বাকি। সরকার চাইলে এখনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। ১০ লাখ মানুষকে তার জাতিপরিচয়ে চিহ্নিত না করে ভুলভাবে উপস্থাপন করা উচিত নয়। পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, জাতিগোষ্ঠীর তালিকা করা তাদের কাজ নয়। এর দায়িত্ব যারই থাকুক, সব মানুষ যেন নিজের জাতির পরিচয়ে চিহ্নিত হয়, জনশুমারিতে তা নিশ্চিত করতে হবে।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidanasৎeen@gmail.com
এসব অগ্রগতির খবরের মধ্যেও বিশাল হতাশা ও অস্তিত্বহীনতার সংশয় রয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রায় ৪০টির মতো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য। এই জরিপে সরকারের ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিল ২০১০’-এ স্থান পাওয়া মোট ২৭ জাতির মানুষই শুধু স্থান পাচ্ছে, যদিও তা সাংবিধানিক স্বীকৃতির বাইরে। কিন্তু সংসদীয় ককাস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এ দেশে মোট ৭৫টি জাতির মানুষ রয়েছে। কিন্তু আগামী মাসে শুরু হওয়া জরিপে এদের সবার স্থান না হওয়ার মাধ্যমে সরকারিভাবে খারিজ করে দেওয়া হবে প্রায় ১০ লাখ আদিবাসী মানুষের অস্তিত্ব (সূত্র: নিউ এজ, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। অনেকেই তাই শঙ্কিত জরিপ নিয়ে।
গত বছর প্রকাশিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিলে মাত্র ২৭টি জনগোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করার প্রতিবাদ বিভিন্ন জায়গা থেকে হয়েছিল, বিশেষ করে বিভিন্ন এলাকার আদিবাসী মানুষ এই বিলে সব জাতিগোষ্ঠীর স্বীকৃতি চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই চাওয়া অগ্রাহ্য করা হয়েছে। আদিবাসী নেতাদের দাবি, সরকার তাঁদের সঙ্গে আলাপ না করে ২৭টি ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’র নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। যদিও বিলের শুরুতেই স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০-৬০টির মতো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ’ বসবাস করে। আরও বলা হয়েছিল, পার্বত্য জেলাগুলো ও ময়মনসিংহ অঞ্চল ব্যতিরেকে অন্যান্য অঞ্চলে এসব নৃগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বেশি নয়। কিন্তু বিলটিতে মাত্র ২৭টি জনগোষ্ঠীর নাম অন্তর্ভুক্তির মধ্যেই রয়ে গেছে সেই বক্তব্যের বিরোধিতা। কী প্রক্রিয়ায় মাত্র ২৭টি জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত হলো আর বাকিরা বাদ গেল, এর উত্তর পাওয়া গেল না। এ ছাড়া ‘মং’ (তালিকার ২২ নম্বরে স্থান পাওয়া) নামে কোনো জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব না থাকলেও দলিলে জায়গা করে নিয়েছে। ‘ত্রিপুরা’ নামটি দুবার এসেছে। কী প্রক্রিয়ায় তালিকা করা হলো, কারা তালিকা তৈরির পেছনে কাজ করেছেন, এর উল্লেখ নেই বিলে।
আদিবাসী নেতাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে এবং বহু জাতিগোষ্ঠীর সংযোজন ছাড়াই বিলটি সংসদে পাস হয়ে ইতিমধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এর পর সমস্যাটি জটিল আকার ধারণ করেছে, যখন অনুষ্ঠিতব্য শুমারিতেও সেই বিলের বাইরে আর কোনো জাতির তথ্য সংগ্রহে অপারগতা প্রকাশ করা হয়েছে। যদি সরকার এখনই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এই শুমারি থেকে বাদ যাবে ময়মনসিংহ অঞ্চলের বর্মণ, ক্ষত্রিয়, ডালু এবং হদি; বাদ পড়বে বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের বাগদী, রাজবংশী, বুনো, ভূমিজ, কর্মকার, মালি, ঘাসিয়া। গবেষণায় প্রাপ্ত উপাত্ত থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আদিবাসী রয়েছে বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলে। কিন্তু বিলটিতে বাদ পড়ার কারণে জরিপ থেকেও বাদ পড়বে এই অঞ্চলের অধিকাংশ জাতি। এই অঞ্চলের পাহান, মাহাতো, মালো, কুর্মী, রাজোয়ার, মাহালী, তুরী, ভুঁইয়ালী, রাই, তেলি, খয়রা, লুরা, মুসহর, রুথিয়া, লহোড়া, রামদাস, মিখির প্রভৃতি জাতি স্থান পাবে না এই শুমারিতে। জরিপে স্থান না পাওয়ার দলে আরও যোগ হবে বৃহত্তর পাবনার শিসং, বসাক, সিরাজগঞ্জের বেদিরা এবং বক্তি। বিলে বৃহত্তর সিলেটের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে মণিপুরি ও খাসিয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও (যদিও সঠিক নাম হবে ‘খাসি’) ২০১১ সালের জরিপ থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছে খন্দ, খাড়িয়া, সোরা, পাত্রসহ আরও কয়েকটি জাতি।
এই বিষয়ে পত্রিকা মারফত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অবস্থান জানা যায়। তারা জানায়, জরিপ করার সময় তাদের সরকারি গেজেট অনুসরণ করতে হবে এবং এই গেজেট অমান্য করে ২৭টির বাইরে কোনো নতুন জনগোষ্ঠীর নাম তারা তালিকায় যুক্ত করতে পারবে না। তাহলে কী হবে বাদ পড়া জাতির মানুষদের?
শঙ্কা আরও আছে। বিগত দুটি জরিপে দেখা গেছে, (১৯৯১ ও ২০০১) পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জাতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসেনি। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে দুর্গম অঞ্চলে বসবাসকারীদের তথ্য যথাযথভাবে না আসার অভিযোগ উঠেছিল। আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় জরিপ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত আদিবাসী কর্মকর্তা ও মাঠপর্যায়ের কর্মীর অভাব থাকার প্রসঙ্গ এসেছে বারবার। গত জরিপগুলোতে আদিবাসীদের তথ্য সংগ্রহে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনীহা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।
সমতলের আদিবাসীদের বেলায় সমস্যাটি আরেকটু জটিল। বিগত দুটি জরিপে অনেকেরই তথ্য নেওয়া হয়েছে ধর্মীয় বর্গ অনুসারে। আবার কোনো কোনো জাতিকে একীভূত করা হয়েছে ‘নিম্নবর্ণ’-এর সঙ্গে। এ কারণে বাংলাদেশে মোট আদিবাসীর জনসংখ্যার সঠিক তথ্য সরকারি জরিপে কখনো পাওয়া যায়নি। দেশের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ দলিলে আদিবাসীদের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে এমন খামখেয়ালিপনা, উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতা মেনে নেওয়া যায় না।
জরিপ শুরু হতে এখনো কয়েক দিন বাকি। সরকার চাইলে এখনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। ১০ লাখ মানুষকে তার জাতিপরিচয়ে চিহ্নিত না করে ভুলভাবে উপস্থাপন করা উচিত নয়। পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, জাতিগোষ্ঠীর তালিকা করা তাদের কাজ নয়। এর দায়িত্ব যারই থাকুক, সব মানুষ যেন নিজের জাতির পরিচয়ে চিহ্নিত হয়, জনশুমারিতে তা নিশ্চিত করতে হবে।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidanasৎeen@gmail.com
No comments