দুর্বিষহ জনজীবন by মঠুন গোস্বামী
প্রতিনিয়ত তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির দরুন মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ। দ্রব্যের দাম বাড়লেও মানুষের আয় বাড়ছে না। অন্যদিকে বেকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাছে। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের অবস্থা আরও করুণ হচ্ছে। শহরজুড়ে শুরু হচ্ছে যানজট। জনগণ কী পাচ্ছে?
সেই পুরনো ধাঁচের কিছু আশার বাণী আর বিরোধীদলীয় নেতার সমালোচনা। বিরোধী দলও থেমে নেই। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা না করে শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার আশায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিভিন্ন মিটিং, মিছিল, সমাবেশ করে আসছে। বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দেশের সম্পদ অসম চুক্তির মাধ্যমে বহুজাতিক কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়া, টিপাইমুখ ও সারী নদীতে বাঁধ, তিস্তা চুক্তি, দেশে আমেরিকান সেনার অবস্থান_ এ সম্পর্কে তাদের কোনো কার্যকরী কর্মসূচি নেই।
মানুষের নূ্যনতম মৌলিক অধিকার পূরণে বরাবরের মতো ব্যর্থ হয়ে পড়ছে এ সরকারও। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও আজ 'টাকা যার, শিক্ষা তার'_ নীতি কার্যকর হচ্ছে। প্রতিনিয়ত বেতন-ফি বৃদ্ধি করে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন বলছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তার অভ্যন্তরীণ আয় থেকে চলতে হবে অর্থাৎ ছাত্রবেতন বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু দেখা যায়, আমাদের দেশের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নরত সিংহভাগই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। যাদের পক্ষে উচ্চ বেতন দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বাসস্থানের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। সম্প্রতি সরকার কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অথবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই কড়াইল বস্তি উচ্ছেদ করার কাজে হাত দিয়েছে। সরকার একদিকে বলছে বঞ্চিত মানুষের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, অন্যদিকে সরকারের কর্মকাণ্ডই তাদের বক্তব্যের সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিকিৎসাও আজ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সরকারি হাসপাতালে গেলে কয়েকজন সহকারী ছাড়া ডাক্তারের দেখা মেলে না। তাদের দেখা যায়, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছে অথবা অতি মুনাফার লোভে তারা নিজেরাই কোনো কসাইখানা খুলে বসেছে। সেখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মতো হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এই প্রতিষ্ঠানগুলো চিকিৎসার নামে বাণিজ্য করছে।
স মিঠুন গোস্বামী : শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান
বিভাগ, শাবিপ্রবি, সিলেট
মানুষের নূ্যনতম মৌলিক অধিকার পূরণে বরাবরের মতো ব্যর্থ হয়ে পড়ছে এ সরকারও। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও আজ 'টাকা যার, শিক্ষা তার'_ নীতি কার্যকর হচ্ছে। প্রতিনিয়ত বেতন-ফি বৃদ্ধি করে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন বলছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তার অভ্যন্তরীণ আয় থেকে চলতে হবে অর্থাৎ ছাত্রবেতন বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু দেখা যায়, আমাদের দেশের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নরত সিংহভাগই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। যাদের পক্ষে উচ্চ বেতন দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বাসস্থানের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। সম্প্রতি সরকার কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অথবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই কড়াইল বস্তি উচ্ছেদ করার কাজে হাত দিয়েছে। সরকার একদিকে বলছে বঞ্চিত মানুষের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, অন্যদিকে সরকারের কর্মকাণ্ডই তাদের বক্তব্যের সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিকিৎসাও আজ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সরকারি হাসপাতালে গেলে কয়েকজন সহকারী ছাড়া ডাক্তারের দেখা মেলে না। তাদের দেখা যায়, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছে অথবা অতি মুনাফার লোভে তারা নিজেরাই কোনো কসাইখানা খুলে বসেছে। সেখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মতো হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এই প্রতিষ্ঠানগুলো চিকিৎসার নামে বাণিজ্য করছে।
স মিঠুন গোস্বামী : শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান
বিভাগ, শাবিপ্রবি, সিলেট
No comments