ঋণখেলাপির তালিকা তৈরির তাগিদ, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু-আইনশৃঙ্খলায় বেশি ব্যয় by হারুন আল রশীদ
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী বাজেটের অর্ধেকের বেশি খরচ হবে আইনশৃঙ্খলা খাতে। বাজেটে নির্বাচন কমিশন এই খাতকেই অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবটি সরকারের অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কমিশন ঋণখেলাপিদের তালিকা তৈরি রাখতে বিভিন্ন ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ
ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে কেউ ঋণখেলাপি কি না, তা শনাক্ত করতে এই তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য ৪০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে থাকবে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার বাহিনী। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা খাতে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে আছে ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম এবং আপিল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের ভাতা ও যাতায়াত ভাড়া। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় দুই কোটি এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, কমিশন আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। বাহিনী কোথায়, কীভাবে মোতায়েন হবে, সে পরিকল্পনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা হচ্ছে। তবে বড় শহর এবং ভোটার সংখ্যা বেশি হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ বা কুমিল্লার মতো বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব হবে না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানোর চেষ্টা থাকবে।
সূত্র জানায়, ঋণখেলাপিরা যাতে প্রার্থী হতে না পারেন, সে জন্য খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো তৈরি রাখতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে লেখা ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের মধ্যে কেউ ঋণখেলাপি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের প্রামাণিক তথ্যসহ মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে হাজির থেকে আপত্তি উত্থাপন করতে হবে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দুই সিটির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২২ ও ২৩ এপ্রিল। নির্বাচন পরিচালনাবিধি অনুযায়ী ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য।
আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার আগে নির্বাচনী প্রচারণা অবৈধ। কিন্তু সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই এই বিধান অমান্য করেছেন। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল রাত ১২টার মধ্যে এসব প্রচারণার উপকরণ অপসারণ করার কথা।
সূত্র জানান, দুই সিটিতে কোনো ধরনের অবৈধ প্রচার উপকরণ আছে কি না, তা শনাক্ত করতে দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে ইসির নিজস্ব দল আজ সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ: ঢাকা দক্ষিণ সিটি থেকে গতকাল প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন মেয়র পদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। একই পদের জন্য ঢাকা উত্তর থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সাবেক সাংসদ এস এ খালেক এবং চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী।
খোকন বলেন, ‘আমার বাবা মোহাম্মদ হানিফ ঢাকাবাসীর সেবা করে গেছেন। আমিও তা অব্যাহত রাখতে চাই। আশা করি, ঢাকাবাসী এবং দলের সমর্থন আমার পক্ষে থাকবে।’
দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা খোন্দকার মিজানুর রহমান জানান, সাইদ খোকন ছাড়াও গতকাল বিকেল পাঁচটার আগ পর্যন্ত সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য ১৩২ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের জন্য নয়জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদ জানান, মেয়র পদে দুজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য ৫০ এবং সংরক্ষিত পদের জন্য সাতজন মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ এপ্রিল। ভোট গ্রহণ ২৪ মে।
কমিশন সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য ৪০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে থাকবে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার বাহিনী। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা খাতে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে আছে ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম এবং আপিল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের ভাতা ও যাতায়াত ভাড়া। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় দুই কোটি এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, কমিশন আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। বাহিনী কোথায়, কীভাবে মোতায়েন হবে, সে পরিকল্পনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা হচ্ছে। তবে বড় শহর এবং ভোটার সংখ্যা বেশি হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ বা কুমিল্লার মতো বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব হবে না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানোর চেষ্টা থাকবে।
সূত্র জানায়, ঋণখেলাপিরা যাতে প্রার্থী হতে না পারেন, সে জন্য খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো তৈরি রাখতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে লেখা ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের মধ্যে কেউ ঋণখেলাপি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের প্রামাণিক তথ্যসহ মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে হাজির থেকে আপত্তি উত্থাপন করতে হবে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দুই সিটির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২২ ও ২৩ এপ্রিল। নির্বাচন পরিচালনাবিধি অনুযায়ী ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য।
আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার আগে নির্বাচনী প্রচারণা অবৈধ। কিন্তু সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই এই বিধান অমান্য করেছেন। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল রাত ১২টার মধ্যে এসব প্রচারণার উপকরণ অপসারণ করার কথা।
সূত্র জানান, দুই সিটিতে কোনো ধরনের অবৈধ প্রচার উপকরণ আছে কি না, তা শনাক্ত করতে দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে ইসির নিজস্ব দল আজ সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ: ঢাকা দক্ষিণ সিটি থেকে গতকাল প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন মেয়র পদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। একই পদের জন্য ঢাকা উত্তর থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সাবেক সাংসদ এস এ খালেক এবং চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী।
খোকন বলেন, ‘আমার বাবা মোহাম্মদ হানিফ ঢাকাবাসীর সেবা করে গেছেন। আমিও তা অব্যাহত রাখতে চাই। আশা করি, ঢাকাবাসী এবং দলের সমর্থন আমার পক্ষে থাকবে।’
দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা খোন্দকার মিজানুর রহমান জানান, সাইদ খোকন ছাড়াও গতকাল বিকেল পাঁচটার আগ পর্যন্ত সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য ১৩২ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের জন্য নয়জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদ জানান, মেয়র পদে দুজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য ৫০ এবং সংরক্ষিত পদের জন্য সাতজন মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ এপ্রিল। ভোট গ্রহণ ২৪ মে।
No comments