চারদিক-কাজীহাটা থেকে কাঁকনপুর by মোকারম হোসেন
ভোরে শিশিরের শব্দ আমাদের ঘুম ভাঙিয়ে দেয়। তখনো কুয়াশা মোড়ানো চারপাশ। কিছুটা বিলম্বেই আমরা রাজশাহী শহরের কাজীহাটা থেকে পদ্মামুখী হই। আমরা মানে, আমি আর খন্দকার যুবায়ের হাসান। তিনি প্রকৃতিপাগল ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। ঢাকা থেকে বেড়ানোর পাকাপোক্ত আয়োজন করেই নিজের বাড়ি রাজশাহীতে এসেছেন। বিশাল বিশাল
আমগাছের নিচ দিয়ে পদ্মাতীরের উদ্দেশে হেঁটে যাচ্ছি আমরা। পথে পড়ল সরকারি আবাসিক এলাকা, বেশ কিছু পুরোনো গাছপালা। আরও খানিকটা এগিয়ে বেড়িবাঁধের কাছে একটি বিরল দৃশ্য চোখে পড়ল। এক সারিতে তিনটি গাছ—জারুল, সোনালু আর কৃষ্ণচূড়া। গ্রীষ্মে একই সময়ে তিনটি গাছে তিন রঙের ফুল ফুটবে। এমন একটি দৃশ্য দারুণ উপভোগ্য। হঠাৎ কয়েকটি সাদা রঙের ফুল আমাদের কাছে ডাকল। গিয়ে দেখি ধুতরা। পাশেই শিয়ালকাঁটার ঝাড়। বাঁধের ওপর মাটি ফেলে প্রশস্ত করা হচ্ছে। সেখানে সংখ্যাধিক্যে বাবলাগাছই বেশি। আমরা বাঁধ পেরিয়ে পদ্মার আরও কাছাকাছি গেলাম। পথে পথে কত বুনোফুল ফুটে আছে—আকন্দ, বাসক, লজ্জাবতী।
পদ্মা সরে গেছে অনেক দূরে। মাঝখানে তলানিতে একটুকু জল। এমন রূপে সেই পুরোনো পদ্মাকে কি চেনা যায়! পদ্মার মতো আমাদের বুকেও হাহাকার। রাজশাহী শহরের প্রধান আকর্ষণ যদিও পদ্মার পাড়, কিন্তু শুকনো মৌসুমে চোখের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য তেমন কিছুই পাওয়া যাবে না এখানে। নদীর ওপারে ধু-ধু চর আমাদের হাতছানি দেয়। আমরা এবার পায়ে চলা সরু পথে নেমে এলাম। এক পাশে প্রেমিক যুগলের জন্য সারি সারি চেয়ার পাতা। অভিনব দৃশ্য! ব্যবসা হিসেবেও মন্দ না। যেতে যেতে পথে পড়ে কোনো এক শিল্পীর প্রিয় ক্যানভাস। গোলাকার উঠানের মতো একটি জায়গা, এক পাশে কিশোর বয়সী সতেজ অশ্বত্থ। নদীমুখী কয়েকটি গাছ, মাঝখানে সবুজ ঘাসের কার্পেট। আরেকটু এগোলেই কাঁটামেহেদি আর বাগানবিলাসের ঝোপ। সামনের ঢালু জায়গা পেরিয়ে শীর্ণ পদ্মা, তারপর বালুচরজুড়ে ডাল কাউন সরষের মাঠ। ওখানে কুয়াশার রহস্যঘেরা মেঘ।
ফিরে এসে দেখি বাসার পাশের বড় পুকুরটিতে ছোটরা মাছ ধরছে। আমাদের ভ্রমণের কনিষ্ঠ সঙ্গী প্রিয় সবচেয়ে বেশি তেলাপিয়া মাছ ধরেছে। দুপুরে সেগুলো মচমচে করে ভাজা হলো। এখানে রান্না এবং আমাদের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন খেজুর। তাঁর চমকপ্রদ রান্নায় ভূরিভোজ হলো। যুবায়ের হাসানের মা খন্দকার জাহানারা বেগম সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। রাজশাহীর সাহিত্যাঙ্গনের অনেকেরই যাতায়াত ছিল এই পুরোনো বাড়িটিতে।
বিকেলে আবার পদ্মার পাড়। এবার আমাদের সঙ্গে যোগ দিলেন লুনা ভাবি এবং প্রিয়। শীতের বিষণ্ন বিকেলের ছায়া পড়েছে পদ্মার ঘোলা জলে। দূরের ঘাটে বাঁধা নৌকাগুলোয় অন্ধকার জমাট বাঁধতে শুরু করেছে। তখন ওপারের নবীন বাবলা আর মধুমটরের ফুলগুলো আমাদের মায়াবী ইশারায় ডাকল। একটি নৌকা আমাদের নিয়ে গেল ওপারের স্বপ্নগুলোর কাছে। এই ধু-ধু চরের সুগন্ধি মৃত্তিকায় প্রথম পা রেখেই শিউরে উঠল গা। আজ থেকে মাত্র ৫০ বছর আগেও কি এখানে চর ছিল! সেখানে এখন মুগ, মসুর, সরষের দানাগুলো দিব্যি বেড়ে উঠছে। আরেকটু দূরে কুলের বাগান, তারপর বিচ্ছিন্ন জনপদ। গ্রামের মানুষগুলো আবছা আলোয় ফিরে যাচ্ছে। ওপাশে কুয়াশা আর নাড়া পোড়ানোর ধোঁয়া গ্রামের কিনারায় মেখলা পরিয়ে রেখেছে। মধুমটরের বেগুনি রঙা ফুলগুলোয় বিন্দু বিন্দু শিশির জমেছে। এই ভরসন্ধ্যায় কিছুক্ষণ আলপাড়ে বসতে পারলে মন্দ হতো না।
পরের দিন সকালে কাঁকনহাটের বাগানবাড়ি দেখতে যাওয়ার প্রস্তুতি। ডা. আকতারুল আলম গাড়ি নিয়ে এলেন বেলা ১১টার দিকে। সুঠামদেহী এই মানুষটির মুখ ভীষণ থমথমে। যুবায়ের ভাই তাঁর প্রাণবন্ততা নিয়ে যে বর্ণনা দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে মেলাতে পারছি না।
সবাই নিঃশব্দে গাড়িতে উঠলাম। কিছুক্ষণ পর জানা গেল তিনি আমাদের জন্য দুুপুরের খাবারের আয়োজন করতে গিয়ে সকালের ঘুমটা মাটি করেছেন। মূলত সে কারণেই তার মন ভালো নেই। অনেক সবুজের সমারোহ ছাড়িয়ে, হাটবাজার, লোকালয় পেরিয়ে আমরা কাঁকনহাটে পৌঁছালাম। দুই পাশে অবারিত সরষের মাঠ। মাঠপারে তালগাছের সারি। ভেবেছিলাম ফিরে যাওয়ার পথে ছবি তুলব। কিন্তু ফিরতি যাত্রা হলো অন্য পথে। এই বরেন্দ্রভূমি অঞ্চল প্রকৃতি আশ্চর্য দক্ষতায় গড়েছে। জমিগুলো আয়তাকারভাবে স্তরে স্তরে ঢালু হয়ে নিচের দিকে নেমেছে। মাঝখানটা বিশাল থালার মতো। অনেকটা গ্রিকদের অ্যামফিথিয়েটার হল বা আমাদের ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরের মতো। আদিবাসী সাঁওতালরা জমির সেই চরিত্র কখনো বদলাতে চেষ্টা করেনি। কোথাও কোথাও রুক্ষতার ছাপ স্পষ্ট।
যুবায়ের দম্পতি যে বৃক্ষপ্রেমে মশগুল, তা বাগানে ঢুকেই বোঝা গেল। বৃক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁরা ভালো-মন্দ বা দামি-অদামি কিছুই বিবেচনা করেননি। ফুল, ফল, বনজ এবং ঔষধিসহ সব ধরনের গাছই কিছু কিছু আছে। বেশ কিছু পাহাড়ি জাতের গাছও ঠাঁই পেয়েছে। আমগাছ দুই শতাধিক। তাঁদের ইচ্ছা, দেশীয় সব ধরনের গাছই দু-একটি করে এখানে থাকবে। ছিমছাম বাংলো ঘরের সামনে থোকা থোকা সাদা বকফুল ঝুলে আছে। অসময়ের টসটসে পেয়ারাগুলো আমাদের লোভ ধরিয়ে দিচ্ছিল। ২২ বিঘা আয়তনের এই বাগানে একটি পুকুরও আছে। পুকুরপাড়ে একটি টংঘর। বিকেলে সেখানে বসে দিব্যি গায়ে হাওয়া লাগানো যায়। পূর্ব প্রান্তে আছে বেশ বড়সড় একটি সুদৃশ্য বাঁশঝাড়। সেখানে বিচিত্র ধরনের বাঁশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এক কোনায় দেখা গেল বিলেতি বেল। এ ফল খাওয়া যায় না। আমলকী ও বিলিম্বিও আছে পর্যাপ্ত। এই বাগানে অনেক গুণীজন এসেছেন। উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও বিপ্রদাশ বড়ুয়া। জানা যায়, বরেন্দ্রর এই এক টুকরো রুক্ষ মাটিতে সবুজ হাসি ফোটানোর নেপথ্যে আকতার ভাইয়ের অবদানই সবচেয়ে বেশি। বাগানের কিশোর বয়সী এসব বৃক্ষ একদিন ধীরে ধীরে মহীরুহে পরিণত হবে।
শীতের বিকেল মানেই সন্ধ্যা। বিকেলের সোনারং আলোয় আমরা বেরিয়ে পড়ি। পথের দুই পাশে মাটির ঘর, গাছের ছাউনি, শস্যের মাঠ। ঘনায়মান সন্ধ্যায় পৌঁছে গেলাম ডা. আকতারুল আলমের কুচপাড়ার বাগানবাড়ি ‘বনছায়ায়’। বাগানে আম আর লিচুর প্রাধান্যই বেশি। বেশ বড়সড় একটি পুকুরও আছে। গরু পালন তাঁর শখ। সবগুলো গরুর আলাদা নামও রেখেছেন। এবার ফিরে যাওয়ার পালা। সন্ধ্যাবেলা আমাদের গাড়ি ছুটে চলল রাজশাহী শহরের দিকে। শীতের ততটা দাপট নেই বলে অনেকটা নির্বিঘ্নেই চলছে আমাদের ঘোরাঘুরির কাজ।
পদ্মা সরে গেছে অনেক দূরে। মাঝখানে তলানিতে একটুকু জল। এমন রূপে সেই পুরোনো পদ্মাকে কি চেনা যায়! পদ্মার মতো আমাদের বুকেও হাহাকার। রাজশাহী শহরের প্রধান আকর্ষণ যদিও পদ্মার পাড়, কিন্তু শুকনো মৌসুমে চোখের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য তেমন কিছুই পাওয়া যাবে না এখানে। নদীর ওপারে ধু-ধু চর আমাদের হাতছানি দেয়। আমরা এবার পায়ে চলা সরু পথে নেমে এলাম। এক পাশে প্রেমিক যুগলের জন্য সারি সারি চেয়ার পাতা। অভিনব দৃশ্য! ব্যবসা হিসেবেও মন্দ না। যেতে যেতে পথে পড়ে কোনো এক শিল্পীর প্রিয় ক্যানভাস। গোলাকার উঠানের মতো একটি জায়গা, এক পাশে কিশোর বয়সী সতেজ অশ্বত্থ। নদীমুখী কয়েকটি গাছ, মাঝখানে সবুজ ঘাসের কার্পেট। আরেকটু এগোলেই কাঁটামেহেদি আর বাগানবিলাসের ঝোপ। সামনের ঢালু জায়গা পেরিয়ে শীর্ণ পদ্মা, তারপর বালুচরজুড়ে ডাল কাউন সরষের মাঠ। ওখানে কুয়াশার রহস্যঘেরা মেঘ।
ফিরে এসে দেখি বাসার পাশের বড় পুকুরটিতে ছোটরা মাছ ধরছে। আমাদের ভ্রমণের কনিষ্ঠ সঙ্গী প্রিয় সবচেয়ে বেশি তেলাপিয়া মাছ ধরেছে। দুপুরে সেগুলো মচমচে করে ভাজা হলো। এখানে রান্না এবং আমাদের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন খেজুর। তাঁর চমকপ্রদ রান্নায় ভূরিভোজ হলো। যুবায়ের হাসানের মা খন্দকার জাহানারা বেগম সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। রাজশাহীর সাহিত্যাঙ্গনের অনেকেরই যাতায়াত ছিল এই পুরোনো বাড়িটিতে।
বিকেলে আবার পদ্মার পাড়। এবার আমাদের সঙ্গে যোগ দিলেন লুনা ভাবি এবং প্রিয়। শীতের বিষণ্ন বিকেলের ছায়া পড়েছে পদ্মার ঘোলা জলে। দূরের ঘাটে বাঁধা নৌকাগুলোয় অন্ধকার জমাট বাঁধতে শুরু করেছে। তখন ওপারের নবীন বাবলা আর মধুমটরের ফুলগুলো আমাদের মায়াবী ইশারায় ডাকল। একটি নৌকা আমাদের নিয়ে গেল ওপারের স্বপ্নগুলোর কাছে। এই ধু-ধু চরের সুগন্ধি মৃত্তিকায় প্রথম পা রেখেই শিউরে উঠল গা। আজ থেকে মাত্র ৫০ বছর আগেও কি এখানে চর ছিল! সেখানে এখন মুগ, মসুর, সরষের দানাগুলো দিব্যি বেড়ে উঠছে। আরেকটু দূরে কুলের বাগান, তারপর বিচ্ছিন্ন জনপদ। গ্রামের মানুষগুলো আবছা আলোয় ফিরে যাচ্ছে। ওপাশে কুয়াশা আর নাড়া পোড়ানোর ধোঁয়া গ্রামের কিনারায় মেখলা পরিয়ে রেখেছে। মধুমটরের বেগুনি রঙা ফুলগুলোয় বিন্দু বিন্দু শিশির জমেছে। এই ভরসন্ধ্যায় কিছুক্ষণ আলপাড়ে বসতে পারলে মন্দ হতো না।
পরের দিন সকালে কাঁকনহাটের বাগানবাড়ি দেখতে যাওয়ার প্রস্তুতি। ডা. আকতারুল আলম গাড়ি নিয়ে এলেন বেলা ১১টার দিকে। সুঠামদেহী এই মানুষটির মুখ ভীষণ থমথমে। যুবায়ের ভাই তাঁর প্রাণবন্ততা নিয়ে যে বর্ণনা দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে মেলাতে পারছি না।
সবাই নিঃশব্দে গাড়িতে উঠলাম। কিছুক্ষণ পর জানা গেল তিনি আমাদের জন্য দুুপুরের খাবারের আয়োজন করতে গিয়ে সকালের ঘুমটা মাটি করেছেন। মূলত সে কারণেই তার মন ভালো নেই। অনেক সবুজের সমারোহ ছাড়িয়ে, হাটবাজার, লোকালয় পেরিয়ে আমরা কাঁকনহাটে পৌঁছালাম। দুই পাশে অবারিত সরষের মাঠ। মাঠপারে তালগাছের সারি। ভেবেছিলাম ফিরে যাওয়ার পথে ছবি তুলব। কিন্তু ফিরতি যাত্রা হলো অন্য পথে। এই বরেন্দ্রভূমি অঞ্চল প্রকৃতি আশ্চর্য দক্ষতায় গড়েছে। জমিগুলো আয়তাকারভাবে স্তরে স্তরে ঢালু হয়ে নিচের দিকে নেমেছে। মাঝখানটা বিশাল থালার মতো। অনেকটা গ্রিকদের অ্যামফিথিয়েটার হল বা আমাদের ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরের মতো। আদিবাসী সাঁওতালরা জমির সেই চরিত্র কখনো বদলাতে চেষ্টা করেনি। কোথাও কোথাও রুক্ষতার ছাপ স্পষ্ট।
যুবায়ের দম্পতি যে বৃক্ষপ্রেমে মশগুল, তা বাগানে ঢুকেই বোঝা গেল। বৃক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁরা ভালো-মন্দ বা দামি-অদামি কিছুই বিবেচনা করেননি। ফুল, ফল, বনজ এবং ঔষধিসহ সব ধরনের গাছই কিছু কিছু আছে। বেশ কিছু পাহাড়ি জাতের গাছও ঠাঁই পেয়েছে। আমগাছ দুই শতাধিক। তাঁদের ইচ্ছা, দেশীয় সব ধরনের গাছই দু-একটি করে এখানে থাকবে। ছিমছাম বাংলো ঘরের সামনে থোকা থোকা সাদা বকফুল ঝুলে আছে। অসময়ের টসটসে পেয়ারাগুলো আমাদের লোভ ধরিয়ে দিচ্ছিল। ২২ বিঘা আয়তনের এই বাগানে একটি পুকুরও আছে। পুকুরপাড়ে একটি টংঘর। বিকেলে সেখানে বসে দিব্যি গায়ে হাওয়া লাগানো যায়। পূর্ব প্রান্তে আছে বেশ বড়সড় একটি সুদৃশ্য বাঁশঝাড়। সেখানে বিচিত্র ধরনের বাঁশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এক কোনায় দেখা গেল বিলেতি বেল। এ ফল খাওয়া যায় না। আমলকী ও বিলিম্বিও আছে পর্যাপ্ত। এই বাগানে অনেক গুণীজন এসেছেন। উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও বিপ্রদাশ বড়ুয়া। জানা যায়, বরেন্দ্রর এই এক টুকরো রুক্ষ মাটিতে সবুজ হাসি ফোটানোর নেপথ্যে আকতার ভাইয়ের অবদানই সবচেয়ে বেশি। বাগানের কিশোর বয়সী এসব বৃক্ষ একদিন ধীরে ধীরে মহীরুহে পরিণত হবে।
শীতের বিকেল মানেই সন্ধ্যা। বিকেলের সোনারং আলোয় আমরা বেরিয়ে পড়ি। পথের দুই পাশে মাটির ঘর, গাছের ছাউনি, শস্যের মাঠ। ঘনায়মান সন্ধ্যায় পৌঁছে গেলাম ডা. আকতারুল আলমের কুচপাড়ার বাগানবাড়ি ‘বনছায়ায়’। বাগানে আম আর লিচুর প্রাধান্যই বেশি। বেশ বড়সড় একটি পুকুরও আছে। গরু পালন তাঁর শখ। সবগুলো গরুর আলাদা নামও রেখেছেন। এবার ফিরে যাওয়ার পালা। সন্ধ্যাবেলা আমাদের গাড়ি ছুটে চলল রাজশাহী শহরের দিকে। শীতের ততটা দাপট নেই বলে অনেকটা নির্বিঘ্নেই চলছে আমাদের ঘোরাঘুরির কাজ।
No comments